অভাগীর স্বর্গ জ্ঞানমূলক প্রশ্ন

আজকে আমরা জানবো অভাগীর স্বর্গ জ্ঞানমূলক প্রশ্ন।

লেখক-পরিচিতি

প্রশ্ন. কাঙালির বাবার নাম কি?

উত্তর :কাঙালির বাবার নাম-রসিক বাঘ।

অভাগীর স্বর্গ জ্ঞানমূলক প্রশ্ন
অভাগীর স্বর্গ

অভাগীর স্বর্গ জ্ঞানমূলক প্রশ্ন

প্রশ্ন-১. শরত্চন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কোন গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন?

উত্তর: শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় দেবানন্দপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ।

প্রশ্ন-২. শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?

উত্তর: শরত্চন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ১৮৭৬ সালে ১৫ই সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন।

প্রশ্ন-৩. শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কত সালে বার্মা যান?

উত্তর: শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ১৯০৩ সালে বার্মা যান।

প্রশ্ন-৪. “শরৎ সাহিত্যসমগ্র’ গ্রন্থের সম্পাদক কে?

উত্তর: ‘শরৎ সাহিত্যসমগ্র’ গ্রন্থের সম্পাদক সুকুমার সেন ।

প্রশ্ন-৫. কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় শরত্চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে কোন পদক প্রদান করেছিল? 

উত্তর: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে জগত্তারিণী পদক প্রদান করেছিল।

প্রশ্ন-৬. ‘গৃহদাহ’ উপন্যাস কার রচনা?

উত্তর: ‘গৃহদাহ’ উপন্যাসের রচয়িতা শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।

প্রশ্ন-৭. শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কত সালে মৃত্যুবরণ করেন?

উত্তর: শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ১৯৩৮ সালের ১৬ই জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন ।

অভাগীর স্বর্গ জ্ঞানমূলক প্রশ্ন

মূলপাঠ

প্রশ্ন-৮. ঠাকুরদাস মুখুয্যের স্ত্রী কয়দিনের অসুখে মারা গেলেন?ঢা. বো. ১৭. সি. বো. ১৭.

উত্তর: ঠাকুরদাস মুখুয্যের স্ত্রী সাতদিনের অসুখে মারা গেলেন ।

প্রশ্ন-৯. ঠাকুরদাস মুখুয্যের সন্তান কতজন?

উত্তর: ঠাকুরদাস মুখুয্যের সন্তান সাতজন।

প্রশ্ন-১০. মুখোপাধ্যায় মহাশয়ের কীসের কারবার ছিল? 

উত্তর: মুখোপাধ্যায় মহাশয়ের ধানের কারবার ছিল।

প্রশ্ন-১১. কাঙালীর মা কোথায় উঠে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া দেখতে লাগল?

উত্তর: কাঙালীর মা উঁচু ঢিপিতে উঠে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া দেখতে লাগল।

প্রশ্ন-১২. দূর থেকে শবযাত্রার সঙ্গী হয়েছিল কে? 

উত্তর: দূর থেকে শবযাত্রার সঙ্গী হয়েছিল কাঙালীর মা।

প্রশ্ন-১৩.মেয়েরা কাঁদতে কাঁদতে মায়ের দুই পায়ে কী লেপে দিয়েছিল?

উত্তর: মেয়েরা কাঁদতে কাঁদতে মায়ের দুই পায়ে আলতা লেপে দিয়েছিল ।

প্রশ্ন-১৪. প্রজ্বলিত চিতার নীল রঙের ধোঁয়ার মধ্যে কাঙালীর মা কীসের চেহারা দেখতে পেয়েছিল?

উত্তর: প্রজ্বলিত চিতার নীল রঙের ধোঁয়ার মধ্যে কাঙালীর মা রথের চেহারা দেখতে পেয়েছিল।

প্রশ্ন-১৫. কাঙালীর মা কোন বংশের মেয়ে ছিল? 

উত্তর: কাঙালীর মা দুলে বংশের মেয়ে ছিল ।

প্রশ্ন-১৬.কাঙালীকে জলপানির জন্য প্রতিদিন কয় পয়সা দেওয়া হতো?

উত্তর: কাঙালীকে জল পানির জন্য প্রতিদিন দুই পয়সা দেওয়া হতো।

প্রশ্ন-১৭. কাঙালী কীসের কাজ শিখতে আরম্ভ করেছিল?

উত্তর: কাঙালী বেতের কাজ শিখতে আরম্ভ করেছিল।

প্রশ্ন-১৮. বামুন মা রথে চড়ে কোথায় যাচ্ছেন?

উত্তর: বামুন মা রথে চড়ে স্বর্গে যাচ্ছেন।

প্রশ্ন-১৯.মাকে বিশ্বাস করা কার অভ্যাস?

উত্তর: মাকে বিশ্বাস করা কাঙালীর অভ্যাস।

প্রশ্ন-২০. কীসের প্রস্তাব কাঙালীর ভালো লাগত?

উত্তর: কাজ কামাই করার প্রস্তাব কাঙালীর ভালো লাগত।

অভাগীর স্বর্গ জ্ঞানমূলক প্রশ্ন

 

প্রশ্ন-২১.কার মতো সতী-লক্ষ্মী দুলে পাড়ায় আর নেই?

উত্তর: কাঙালীর মা’র মতো সতী-লক্ষ্মী দুলে পাড়ায় আর নেই।

প্রশ্ন-২২. অভাগীর সন্তানের নাম কী? 

উত্তর: অভাগীর সন্তানের নাম কাঙালী।

প্রশ্ন-২৩. কাঙালীর বাবার নাম কী?

উত্তর: কাঙালীর বাবার নাম- রসিক দুলে।

প্রশ্ন-২৪. কাঙালী কবিরাজকে কয় টাকা প্রণামী দিয়েছিল? 

উত্তর: কাঙালী কবিরাজকে এক টাকা প্রণামী দিয়েছিল।

প্রশ্ন-২৫. কাঙালী ঘটি বাঁধা দিয়ে কী করেছিল? 

উত্তর: কাঙালী ঘটি বাঁধা দিয়ে কবিরাজকে এক টাকা প্রণামী দিলো ।

প্রশ্ন-২৬. কবিরাজ কাঙালীকে কয়টি বড়ি দিয়েছিল?

উত্তর: কবিরাজ কাঙালীকে গোটা চারেক বড়ি দিয়েছিল।

প্রশ্ন-২৭. কাঙালীদের ঘরের আঙিনায় কী গাছ ছিল?

উত্তর: কাঙালীদের ঘরের আঙিনায় বেলগাছ ছিল।

প্রশ্ন-২৮.গ্রামে কে নাড়ি দেখতে জানত? (সকল বোর্ড-২০১৮, রা. বো. ১৭)

উত্তর: গ্রামে ঈশ্বর নাপিত নাড়ি দেখতে জানত ।

প্রশ্ন-২৯. জমিদারের দারোয়ান কাকে চড় মেরেছিল?

উত্তর: জমিদারের দারোয়ান রসিককে চড় মেরেছিল।

প্রশ্ন-৩০. কুটির প্রাঙ্গণে বেলগাছটা কে লাগিয়েছিল?

উত্তর: কুটির প্রাঙ্গণে বেলগাছটা লাগিয়েছিল কাঙালীর মা।

প্রশ্ন-৩১. দারোয়ান কোন জাতের ছিল?

উত্তর: দারোয়ান হিন্দুস্থানি ছিল।

প্রশ্ন-৩২. অধর রায় গাছের দাম কত টাকা দাবি করে?

উত্তর: অধর রায় গাছের দাম পাঁচ টাকা দাবি করে।

প্রশ্ন-৩৩. কাঙালীর কথায় কে বিস্মিত ও বিরক্ত হয়েছিল?

উত্তর: কাঙালীর কথায় মুখুয্যে মহাশয় বিস্মিত ও বিরক্ত হয়েছিল।

প্রশ্ন-৩৪. কাঙালীকে গলাধাক্কা দিয়েছিল কে?

উত্তর: কাঙালীকে গলাধাক্কা দিয়েছিল পাড়ে নামক জমিদারের এক কর্মচারী

প্রশ্ন-৩৫. ‘সব ব্যাটারাই এখন বামুন কায়েত হতে চায়’- কথাটি কে বলেছিল? (দি, বো. ১৭)

উত্তর: মুখোপাধ্যায় মহাশয়ের বড়ো ছেলে বলেছিল— ‘সব ব্যাটারাই এখন বামুন কায়েত হতে চায়’।

প্রশ্ন-৩৬. অভাগীকে নদীর চড়ায় মাটি দিতে বলেছিল কে? (ঢা. বো. ১৯)

উত্তর: অভাগীকে নদীর চড়ায় মাটি দিতে বলেছিল ভট্টাচার্য মহাশয়।

প্রশ্ন-৩৭. কে মুখুয্যে বাড়ির শ্রাদ্ধের আয়োজন তত্ত্বাবধান করেছিলেন?

উত্তর: বৃদ্ধ ঠাকুরদাস মুখুয্যে বাড়ির শ্রাদ্ধের আয়োজন তত্ত্বাবধান করেছিলেন।

প্রশ্ন-৩৮. পাড়ে কার নাম? 

উত্তর: জমিদারের পেয়াদার নাম পাঁড়ে।

প্রশ্ন-৩৯. জমিদারের গোমস্তার নাম কী?

উত্তর: কাছারির গোমস্তার নাম অধর রায়।

অভাগীর স্বর্গ জ্ঞানমূলক প্রশ্ন

 

প্রশ্ন-৪০. জমিদারের কাছারির কর্তা কে? 

উত্তর: জমিদারের কাছারির কর্তা অধর রায়।

প্রশ্ন-৪১, কোথায় গর্ত খুঁড়ে অভাগীকে শোয়ানো হলো?

উত্তর: নদীর চরে গর্ত খুঁড়ে অভাগীকে শোয়ানো হলো ।

প্রশ্ন-৪২. ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পে অভাগীর মৃতদেহ কী করা হয়েছিল?

উত্তর: ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পে অভাগীর মৃতদেহ নদীর চরে গর্ত খুঁড়ে পুঁতে ফেলা হয়েছিল ।

প্রশ্ন-৪৩. কোন নদীর তীরে শ্মশানঘাট অবস্থিত?

উত্তর: গরুড় নদীর তীরে শশ্মশানঘাট অবস্থিত ।

প্রশ্ন-৪৪. কাঙালীর হাতে খড়ের আঁটি জ্বেলে দিলো কে?

উত্তর: কাঙালীর হাতে খড়ের আঁটি জ্বেলে দিলো রাখালের মা।

অভাগীর স্বর্গ জ্ঞানমূলক প্রশ্ন

শব্দার্থ ও টীকা

প্রশ্ন-৪৫. ‘ক্রোড়’ শব্দের অর্থ কী?

উত্তর: ‘ক্রোড়’ শব্দের অর্থ কোল ।

প্রশ্ন-৪৬. ‘অন্তরিক্ষ’ শব্দের অর্থ কী?অর্ঘ শব্দের অর্থ কি?

উত্তর: ‘অন্তরিক্ষ’ শব্দের অর্থ আকাশ বা গগন।

প্রশ্ন-৪৭. ‘ইন্দ্ৰজাল’ শব্দের অর্থ কী?

উত্তর: ‘ইন্দ্রজাল’ শব্দের অর্থ জাদুবিদ্যা।

প্রশ্ন-৪৮. ‘রোমাঞ’ শব্দের অর্থ কী?

উত্তর: ‘রোমাঞ’ শব্দের অর্থ শিহরণ।

প্রশ্ন-৪৯. প্রণামী কী ?

উত্তর: প্রণামী হচ্ছে পুরোহিত বা দেব-দেবীর উদ্দেশ্যে অর্পিত অর্থ সম্পদ।

প্রশ্ন-৫০, ‘মুষ্টিযোগ’ কী?

উত্তর:মুষ্টিযোগ হলো টোটকা চিকিৎসা।

প্রশ্ন-৫১. ‘অশন’ মানে কী?

উত্তর: ‘অশন’ মানে খাদ্যদ্রব্য ।

অভাগীর স্বর্গ জ্ঞানমূলক প্রশ্ন

পাঠ-পরিচিতি

প্রশ্ন-৫২. কাঙালী কোন শ্রেণির ছেলে?

উত্তর: গরিব-দুঃখী-নিচু শ্রেণির ছেলে কাঙালী।

 

অভাগীর স্বর্গ জ্ঞানমূলক প্রশ্ন

অভাগীর স্বর্গ জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন

 

প্রশ্ন-১. বৃদ্ধ মুখোপাধ্যায়ের স্ত্রীর শোকের ব্যাপার মনে হলো না কেন?

উত্তর: মৃতের শবযাত্রার আড়ম্বর ও সৎকারের ব্যাপকতা থাকায় বৃদ্ধ মুখোপাধ্যায়ের স্ত্রীর মৃত্যুকে শোকের ব্যাপার মনে হলো না। বৃদ্ধ মুখোপাধ্যায়ের স্ত্রীর মৃত্যুতে তাঁর চার ছেলে, তিন মেয়ে, নাতি- নাতনি, জামাইরা, প্রতিবেশীর দল সবাই মিলে ভিড় করে দেখতে আসল। পুষ্পে, পত্রে, গন্ধে, মাল্যে, কলরবে মনে হলো না এ কোনো শোকের ব্যাপার— এ যেন বড়ো বাড়ির গৃহিণী পাশ বর্ষ পরে আর একবার নতুন করে তার স্বামীগৃহে যাত্রা করছেন।

প্রশ্ন-২. ‘ভাগ্যিমানী মা, তুমি সগ্যে যাচ্চো আমাকেও আশীর্বাদ করে যাও’ – এখানে কাঙালীর মা কী ধরনের আশীর্বাদ চেয়েছিল?

উত্তর: উক্তিটির মাধ্যমে কাঙালীর মা মুখুয্যের স্ত্রীর আত্মার কাছে প্রার্থনা

করেছিল তার মতো যেন সেও নিজ ছেলের হাতের আগুনটুকু পায় মুখোপাধ্যায়ের স্ত্রীর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় বহুকষ্ঠের হরিধ্বনির সাথে যখন ছেলের হাতের মন্ত্রপুত আগুন মৃতের মুখে সংযোজিত হয়েছিল তখন কাঙালীর মার চোখ থেকে ঝরঝর করে জল পড়তে থাকে। মনে মনে সে তাই মৃত আত্মার প্রতি প্রার্থনা করে, ‘ভাগ্যিমানী মা, তুমি সগ্যে যাচ্চো— আমাকেও আশীর্বাদ করে যাও, আমিও যেন এমনি কাঙালীর হাতের আগুনটুকু পাই।

 

প্রশ্ন-৩. নীল রঙের ধোঁয়ার মধ্যে কাঙালীর মা কেমন রথযাত্রীর দেখা পেয়েছিল?

উত্তর: নীল রঙের ধোঁয়ার মধ্যে কাঙালীর মা তার কাঙ্ক্ষিত রথযাত্রীর দেখা পেয়েছিল। প্রজ্বলিত ধোঁয়ার মধ্যে কাঙালীর মা যেমন রথযাত্রীর স্বপ্ন দেখত ঠিক সেরকম রথযাত্রীই সে দেখতে পায়। গায়ে নানা ছবি আঁকা, চূড়ায় লতাপাতা জড়ানো রথের ভিতরে কে যেন বসে আছে, চেনা যায় না। কিন্তু সিথিতে সিঁদুর রেখা, পা দুটি আলতা রাঙানো। এমন একটি রথযাত্রার ছবি তার চোখে স্পষ্ট হয়ে উঠলে তার চোখ বেয়ে অবিরল ধারায় অশ্রু বয়ে চলে।

প্রশ্ন-৪. ঊর্ধ্বদৃষ্টে চাহিয়া কাঙালীর মায়ের চোখে অশ্রুর ধারা বহিতেছিল’ কেন?

উত্তর: ধর্মীয় অনুভূতির কারণে কাঙালীর মায়ের মনে হয় ঠাকুরদাস মুখুয্যের মৃত স্ত্রী রথে চড়ে স্বর্গে যাচ্ছে, এমন ভাবনায় কাঙালীর মায়ের চোখ পানি চলে আসে।

সাতদিনের জ্বরে মুখুয্যের স্ত্রী মারা গেলেন। তার সৎকারের মহা আয়োজন হতে লাগল। পুষ্পে, পত্রে, গন্ধে, মাল্যে চারদিক মুখরিত হলো। মহাসমারোহে তাকে শ্মশান ঘাটে নিয়ে আসা হলো। কাঠের ভার, চন্দনের টুকরা, ঘৃত। মধু, ধূপ, ধুনা প্রভৃতি দিয়ে চিতায় মন্ত্রপূত অগ্নি সংযোজিত হলো। কাঙালীর মা দূরে থেকে এসব দৃশ্য দেখছিল। সদ্য-প্রজ্বলিত চিতার অজস্র ধুয়ার ভেতর রথে চড়ে বামুন মা স্বর্গে যাচ্ছে, কাঙালীর মায়ের কাছে এমন মনে হলো। তাই ঊর্ধ্বদৃষ্টে চেয়ে কাঙালীর মায়ের দুচোখে অশ্রুর ধারা বয়ে যাচ্ছিল।

প্রশ্ন-৫. অভাগী সন্তানের হাতে মুখাগ্নি চায় কেন?

উত্তর: মৃত্যুকালে সন্তানের হাতে মুখাগ্নি পাওয়া হিন্দুমতে সৌভাগ্যের বিষয়— এমন ধারণা থেকেই অভাগী সন্তানের হাতে মুখাগ্নি চায়। কাঙালীর মা অভাগী মুখোপাধ্যায়ের স্ত্রীর মতো একইরূপ অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার কামনা করে। মনে মনে সে মৃত্যুর পর কাঙালীর হাতের আগুন প্রার্থনা করে। তার বিশ্বাস, বাঙালীর হাতের আগুন পেলে সে স্বর্গবাসী হবে। এ কারণেই অভাগী সন্তানের হাতে মুখাগ্নি চায় ।

প্রশ্ন-৬. “ইস ছেলের হাতের আগুন, রথকে যে আসতেই হবে’- কেন?

উত্তর: ছেলের হাতের আগুন পেলে স্বর্গে যাবার রথ আসবেই এমন ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে কাঙালীর মা অভাগী মন্তব্যটি করেছিল।

কাঙালীর মা অভাগী মনে করে, সে মারা গেলে যদি তার ছেলে মন্ত্রপূত আগুন দেয় তাহলে সেও স্বর্গে যাবে। আর তাহলে কেউ তাকে ছোটো জাত বলে ঘৃণা করতে পারবে না। এমনকি দুঃখী বলে তাকে কেউ ঠেকিয়েও রাখতে পারবে না। এজন্য অভাগী প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি করেছিল।

প্রশ্ন-৭. ‘মড়া-পোড়ানো বলতে নেই, পাপ হয় – কেন ?

উত্তর: প্রচলিত লোকবিশ্বাস থেকে মৃত ব্যক্তিকে সম্মান প্রদর্শনের জন্য

অভাগী আলোচ্য উক্তিটি করে। অভাগী ঠাকুরদাস মুখুয্যের স্ত্রীর অন্ত্যোষ্টিক্রিয়া স্বচক্ষে দেখেছিল। সেই জাঁকজমকপূর্ণ অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার কথা সে তার পুত্র কাঙালীকে শোনাচ্ছিল । কাঙালী দেখল তার মায়ের শরীর গরম তাই সে জিজ্ঞেস করে এই শরীর নিয়ে সে কেন মড়া-পোড়া দেখছে। তখন অভাগী সম্ভ্রমের সাথে কাঙালীকে বলে যে ‘মড়া-পোড়া বলতে নেই, পাপ হয়। এটি একটি প্রচলিত লোকবিশ্বাস যে কেউ মারা গেলে বলতে হয় যে তিনি স্বর্গে গেছেন, এতে মৃতের প্রতি সম্মান দেখানো হয় ।

প্রশ্ন-৮. কাঙালীর মা কেন কাঙালীকে ভাত রেঁধে খাওয়ার জন্য বলেছিল?

উত্তর: মৃত্যুর পূর্বে সাংসারিক কাজকর্মে ছেলে কতটা পারলাম তা দেখতেই অভাগী তার ছেলেকে রেঁধে খাওয়ার নির্দেশ দেয়। প্রত্যেক মা-ই চায় তার ছেলে স্বাবলম্বী হোক। কাঙালীর মা-ও তার ছেলের দক্ষতা দেখতে তাকে রেঁধে খাওয়ার জন্য বলে। কাঙালী অপটু হাতে রাঁধলেও তা স্বয়ংসম্পূর্ণতা পায়নি। তাই চোখের জল ফেলে দুঃখ প্রকাশ করে কাঙালীর মা কীভাবে রান্না করতে হয় তা শিখিয়ে দেয়।

প্রশ্ন-৯. নাপিত কাঙালীর মায়ের হাত দেখে মুখ গম্ভীর করল কেন?

 উত্তর: কাঙালীর মায়ের বাঁচার আশা না থাকায় নাপিত কাঙালীর মায়ের হাত দেখে মুখ গম্ভীর করল। ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পে বর্ণিত গ্রামে ঈশ্বর নাপিত মানুষের নাড়ি দেখতে জানত। কাঙালীর মায়ের শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে খবর দেওয়া হলো। তিনি এসে কাঙালীর মায়ের হাত দেখে দীর্ঘশ্বাস ফেলে মুখ গম্ভীর করলেন। কেননা কাঙালীর মায়ের বাঁচার আশা ছিল না এটা নাপিত বুঝতে পেরেছিলেন।

প্রশ্ন-১০. ঈশ্বর নাপিতের মুখ গম্ভীর দেখে অভাগী কী বুঝতে পারল?

উত্তর: ঈশ্বর নাপিতের মুখ গম্ভীর দেখে অভাগী বুঝতে পারল, তার অন্তিম সময় এসে গিয়েছে। অভাগীর অসুস্থতার সংবাদ গ্রামে প্রচারিত হলে ঈশ্বর নাপিত আসে তার নাড়ি পরীক্ষা করতে। গ্রামের মধ্যে সেই একমাত্র নাড়ি দেখতে জানত অভাগীর নাড়ি দেখে পরিস্থিতি বিবেচনায় সে মুখ গম্ভীর করে। ঈশ্বর নাপিতের মুখের এ গম্ভীর ভাব দেখে অভাগী বুঝতে পারে যে তার অন্তিম সময় এসে গেছে।

প্রশ্ন-১১.রসিক দুলে তার পায়ের ধুলো দিতে গিয়ে কেঁদে ফেলল কেন ?

উত্তর: অভাগীর পতিভক্তির পরিচয় পেয়ে রসিক দুলে তার পায়ের ধুলো দিতে গিয়ে কেঁদে ফেলল।একসময় রসিক দুলে তার স্ত্রী অভাগী ও পুত্র কাঙালীকে ফেলে চলে যায়। পরবর্তীতে সে আর তাদের খোঁজ নেয় না। স্ত্রীর প্রাপ্য ভালোবাসা বা তার প্রতি দায়িত্ব পালন কিছুই সে করেনি। তবুও মৃত্যুশয্যায় থাকা অবস্থায় অভাগী রসিক দুলেকে খবর পাঠিয়ে বাড়ি আসতে বলে এবং তার অবশ বাহুখানা বাড়িয়ে দেয় স্বামীর পায়ের ধুলোর জন্য। তাই রসিক দুলে শত উপেক্ষা আর বঞ্ছনা সত্ত্বেও নিজের প্রতি স্ত্রী অভাগীর ভক্তির পরিচয় পেয়ে আবেগে কেঁদে ফেলল ।

 

আরও জানুন 

সুভার গ্রামের নাম কী ? সুভা গল্পের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন

সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতি: যেভাবে উত্তর করে পুরো ১০ মার্কস পাবেন

সুভা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর – (গুরুত্বপূর্ণ ১৫টি)

বহিপীর নাটক কত সালে প্রকাশিত হয়? বহিপীর নাটকের জ্ঞানমূলক

বঙ্গবাণী কবিতায় নিরঞ্জন শব্দটি কী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে

অর্ঘ শব্দের অর্থ কি?

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী রচনা – (মুজিববর্ষ)

 

One Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *