অর্থনীতি কাকে বলে ? What is Economics in Bengali

অর্থনীতি কি বা অর্থনীতি কাকে বলে (What is Economics in Bengali), অর্থনীতি শব্দের অর্থ কি এসব বিষয়ে আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা জানবো।

অর্থনীতি কাকে বলে
অর্থনীতি কি ? What is Economics ?

বাংলাদেশ একটি কৃষিপ্রধান দেশ। এদেশের অধিকাংশ মানুষ গ্রামে বাস করে। আর কৃষিই তাদের জীবিকার প্রধান উৎস। তবে শহরাঞ্চলের বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে শিল্প ও বাণিজ্যের ভূমিকাও আমাদের অর্থনীতিতে ক্রমে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।

একটি আধুনিক রাষ্ট্রে কৃষি, শিল্প, ব্যবসা বাণিজ্য কোনো খাতের গুরুত্ব অন্য খাত থেকে কম নয়। দেশকে উন্নত করতে হলে আমাদের জাতীয় অর্থনীতিকে সবল ও গতিশীল করে তুলতে হবে।

তার জন্য কৃষি, শিল্প, ব্যবসা বাণিজ্য সকলক্ষেত্রে আমাদের উন্নতি করতে হবে। বর্তমান প্রতিযোগিতাপূর্ণ বিশ্বে এর কোনো বিকল্প নেই।

অর্থনীতি কাকে বলে বা অর্থনীতি কি ?

অর্থনীতি শব্দটি ইংরেজি “Economics” শব্দের প্রতিশব্দ। Economics শব্দটি গ্রিক শব্দ “Oikonomia” থেকে উদ্ভূত, যার অর্থ গৃহস্থালী পরিচালনা।

অর্থনীতি হলো এমন একটি পরিবর্তনশীল সমাজ বিজ্ঞান, যা মানুষের অসীম অভাব এবং বিকল্প ব্যবহারযোগ্য সীমিত সম্পদের মাঝে সমন্বয় সাধন করে।

চলুন অর্থনীতির সাথে জড়িত বিষয় গুলো সম্পর্কে নিচে জেনে নিই।

বাংলাদেশের গ্রাম ও শহরের অনানুষ্ঠানিক অর্থনৈতিক কার্যাবলি

অর্থনৈতিক মূল্য রয়েছে এমন যে কোনো কাজ, সেবা বা বিনিময়কে অর্থনৈতিক কার্যক্রম বলা হয়। আর যে কোনো দেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রমকে অনানুষ্ঠানিক ও আনুষ্ঠানিক এই দুই ভাগে ভাগ করা যায়।

যে সব কাজের জন্য পূর্ব মজুরি নির্ধারিত নয়, করের আওতায় আনাও কঠিন এবং যে সব অর্থনৈতিক কার্যক্রম।

বাংলাদেশের অর্থনীতি সরকার কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত নয়, সংক্ষেপে অনানুষ্ঠানিক কার্যক্রম বলতে সেগুলোকেই বোঝায়।

যেমন নিজের জমি, দোকান বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কাজ, গৃহস্থালি কর্ম, হকারি, দিনমজুরি প্রভৃতি। অনুন্নত বা উন্নয়নশীল দেশের বেশির ভাগ অর্থনৈতিক কার্যক্রম এই অনানুষ্ঠানিক খাতের মাধ্যমেই হয়ে থাকে।

অতীতকাল থেকে চলে আসছে বলে অনেকে এসব কাজকে অর্থনীতির প্রধাগত খাতও বলে থাকেন।

গ্রামাঞ্চলের অনানুষ্ঠানিক অর্থনৈতিক কাজ

বিশ্বের অন্য যে কোনো উন্নয়নশীল দেশের মতো বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও অনানুষ্ঠানিক খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

গ্রামের একজন চাষি ও তার পরিবারের সদস্যরা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জমিতে কাজ করেন। নিজেদের জমিতে কাজ করার জন্য তারা কোনো মজুরি পান না বা নেন না।

কিন্তু তাদের সে কাজ বা পরিশ্রমের ফলে কেবল তাদের পরিবারই নয়, সমাজ ও রাষ্ট্রও উপকৃত হচ্ছে। দেশের মোট খাদ্য চাহিদার বড় অংশটা তারাই উৎপাদন করছে। এভাবে আমাদের কৃষকরা জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।

কামার কুমোরের কাজ, গ্রামের কুটির শিল্প, দোকান ও অন্যান্য ছোটখাটো ব্যবসাও অনানুষ্ঠানিক অর্থনৈতিক কাজের অন্তর্ভুক্ত।

আমাদের অর্থনীতিকে সচল রাখতে এসব কাজও মূল্যবান ভূমিকা পালন করছে। সাম্প্রতিককাশে কৃষিসহ প্রামীণ অর্থনীতিতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার লক্ষ করা গেলেও প্রথাগত বা অনানুষ্ঠানিক খাতটি এখনও প্রধান ভূমিকায় রয়েছে।

জাতীয় অর্থনীতির দিক থেকে বিবেচনা করলেও এই খাতটি গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।

শহরাঞ্চলের অনানুষ্ঠানিক অর্থনৈতিক কাজ বাংলাদেশের শহরগুলোতে উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত ও বিষহীন সকল শ্রেণির মানুষই বাস করে। বিভহীনদের মধ্যে অনেকে আবার ভাসমান বা অস্থায়ী। অর্থাৎ তাদের নিজস্ব বা স্থায়ী বাসাবাড়ি নেই।

তারা বস্তি, ফুটপাত, পার্ক, রেলস্টেশন ইত্যাদি স্থানে বাস করে। উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির লোকেরা সাধারণত আনুষ্ঠানিক অর্থনৈতিক কাজ যেমন সরকারি ও বেসরকারি চাকরি, ব্যবসা বাণিজ্য ইত্যাদিতে নিয়োজিত।

নিম্নবিত্ত ও বিত্তহীনরা ছোটখাটো দোকান, ফুটপাতে হকারি, ফেরিওয়ালা, রিকশা বা ঠেলাগাড়ি চালক, মুটে, মিস্ত্রি, যোগানি, কিংবা বাসাবাড়ির কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। এগুলোকে শহর অঞ্চলের অনানুষ্ঠানিক অর্থনৈতিক কাজ বলে গণ্য করা হয়।

অর্থনীতিতে অনানুষ্ঠানিক খাতের অবদান

গ্রামপ্রধান বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে বসবাসকারী অধিকাংশ মানুষ নিজস্ব উদ্যোগে ও প্রমে ধান, পাট, রবিশস্য, শাকসবজি ও ফলমূল উৎপাদন, মাছ ধরা, গরু – ছাগল ও হাঁস – মুরগি পালন, কুটিরশিল্প, হাটবাজারে পণ্য বিক্রি করার মাধ্যমে তাদের জীবিকার সংস্থানই করছে।

শুধু তাই নয়, তারা দেশের অর্থনৈতিক জীবনকে সচল রাখার ক্ষেত্রেও প্রধান ভূমিকা পালন করছে। একইভাবে শহরাঞ্চলে বসবাসকারী স্বল্প ও মাঝারি এমন কি উচ্চ আয়ের অনেক মানুষও অনানুষ্ঠানিক খাতের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিজেদের নিয়োজিত রেখেছে।

এভাবে প্রথম থেকেই বাংলাদেশের অর্থনীতি অনানুষ্ঠানিক খাতের উপর বেশি নির্ভরশীল।

সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে আনুষ্ঠানিক খাতের ভূমিকা বৃদ্ধি ও তা জোরদার হওয়ার পরও আমাদের অর্থনীতিতে প্রথাগত বা অনানুষ্ঠানিক খাতের গুরুত্ব কমেনি।

বাংলাদেশের শিল্প গার্মেন্টস কারখানা

বাংলাদেশ একটি কৃষিপ্রধান দেশ হলেও ব্রিটিশ আমল থেকেই এখানে কিছু কিছু শিল্প বা কলকারখানা গড়ে উঠতে থাকে। তার মধ্যে পাট, সুতা ও কাপড়ের কাই ছিল প্রধান।

পাকিস্তান সৃষ্টির পর পূর্ব – বাংলার নারায়ণগঞ্জে প্রতিষ্ঠিত হয় পৃথিবীর সর্ববৃহৎ পাটকল আদমজি জুট মিলস্। পাকিস্তানি আমলে শিল্প বা কলকারখানা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এ অঞ্চলটি শাসকদের বৈষম্য বা বঞ্চনার শিকার হয়।

১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে নতুন নতুন শিল্পকারখানা গড়ে উঠতে শুরু করে। এক সময় আমাদের দেশের পাটশিল্পই ছিল এখান, সেই সঙ্গে ছিল চা, চিনি, সিমেন্ট, সার, চামড়া, রেল ও ইঞ্জিনিয়ারিং কারখানা।

বর্তমানে গার্মেন্টস ও ঔষধ শিল্পেও বাংলাদেশ বিরাট সাফল্য অর্জন করেছে। মূলধন, উৎপাদনের পরিমাণ, কর্মী বা শ্রমিকের সংখ্যা ইত্যাদি বিচারে শিল্প প্রতিষ্ঠানকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায়।

বাংলাদেশের বৃহৎ শিল্প

পাট, বস্ত্র, চিনি, সিমেন্ট, সার, রেল, ইঞ্জিনিয়ারিং, বিদ্যুৎ প্রভৃতি বৃহৎ শিল্প। এসব শিল্প প্রতিষ্ঠানে মূলধন, দক্ষ শ্রমিক ও কারিগর, প্রকৌশলী, বিশেষজ্ঞ ও অভিজ্ঞ ব্যবস্থাপকের প্রয়োজন হয়। এ শিল্পের উৎপাদন ক্ষমতাও অনেক বেশি।

দেশের চাহিদা মিটিয়েও উৎপাদিত সামন্ত্রীর একটা অংশ বিদেশে রপ্তানি হয়। জাতীয় অর্থনীতিতে এ ধরনের বৃহৎ শিল্পের গুরুত্ব অপরিসীম। দেশের অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড মানুষের আর্থিক অবস্থার উন্নতি এবং জাতীয় অর্থনীতিত শক্তিশালী হবে।

বাংলাদেশের আমদানি ও রপ্তানি

সাধারণত কোনো দেশই তার চাহিদার সমস্ত জিনিস নিজেরা উৎপাদন করতে পারে না। অন্য দেশ থেকে কিছু কিছু জিনিস তাকে আমদানি করতে হয়। একইভাবে দেশের চাহিদা মিটিয়ে উৎপাদিত পণ্যের একটা অংশ বিদেশে রপ্তানি করা হয়।

যে দেশে যে সামগ্রী প্রচুর পরিমাণে উৎপন্ন হয় সাধারণত সেগুলোই বিদেশে রপ্তানি করা হয়। এভাবে বিদেশে পণ্য রপ্তানি করে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা যেমন বিদেশ থেকে পণ্য আমদানিতে ব্যয় করা যায় তেমনি দেশের উন্নয়নেও কাজে লাগে।

বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি এবং বিদেশে পণ্য রপ্তানি করার নামই বৈদেশিক বাণিজ্য।

যে কোনো দেশের অর্থনীতিতে বৈদেশিক বাণিজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আধুনিক বিশ্বে বৈদেশিক বাণিজ্যের সুযোগ অনেক বেড়েছে। কোনো দেশই আজ তার চাহিদার সমস্ত জিনিস নিজেরা উৎপাদন করার কথা ভাবে না। বরং দেশের অর্থনীতির কথা বিবেচনা করে যে পণ্যটা আমদানি বা যে পণ্যটি রপ্তানি করা সহজ ও লাভজনক, তাই করা হয়।

একটি পরিকল্পনা ও নীতির আওতায় কাজটা করা হয়। বিভিন্ন দেশের মধ্যে পারস্পরিক চুক্তির আওতায় এই আমদানি – রপ্তানি অর্থাৎ বৈদেশিক বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়। আর এই বাণিজ্যিক কার্যক্রম তদারকি, নিয়ন্ত্রণ ও বাণিজ্য শুল্ক নির্ধারণ ইত্যাদি বিষয়গুলো দেখার জন্য রয়েছে কতগুলো আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সংস্থা বা সংগঠন।

যেমন বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (World Trade Organisation WTO), দক্ষিণ এশীয় মুক্ত বাণিজ্য এলাকা (South Asian Free Trade Area SAFTA) প্রভৃতি।

যে দেশের আমদানির চেয়ে রপ্তানির পরিমাণ বেশি তাকে উন্নত দেশ ধরা হয়।

বাংলাদেশের আমদানি পণ্যসামগ্রী বাংলাদেশ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে নিয়মিত যেসব পণ্য আমদানি করে সেগুলো হলো চাল, গম, ডাল, তৈলবীজ, তুলা, অপরিশোধিত পেট্রোল ও পেট্রোলিয়ামজাত দ্রব্য, ভোজ্যতেল, সার, কৃষি ও শিল্প যন্ত্রপাতি, সুতা প্রভৃতি।

আর যেসব দেশ থেকে এসব সামগ্রী আমদানি করা হয় তার মধ্যে রয়েছে চীন , ভারত , জাপান , সিঙ্গাপুর , দক্ষিণ কোরিয়া , মালয়েশিয়া , যুক্তরাষ্ট্র , যুক্তরাজ্য , ফ্রান্স ও জার্মানি। সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাতেই এই আমদানি বাণিজ্য চলে।

বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা অনুযায়ী গত ২০১২-২০১৩ অর্থ বছরে বাংলাদেশ বিদেশ থেকে ৩৪.০৮৪ মিলিয়ন ডলারের পণ্য সামগ্রী আমদানি করেছে।

২০১৩-২০১৪ অর্থ বছরে আমদানি ব্যয় হয়েছে মোট ৪০,৭৩২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

২০১৪-১৫ অর্থ বছরে আমদানি ব্যয় হয়েছে ৪০, ৭০৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে ৪২.৯২১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে ৪৭,০০৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ৫৬,০৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আমদানি করা হয়েছে চীন থেকে। বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যসামগ্রী এক সময় পাট ও পাটজাত দ্রব্যই ছিল আমাদের প্রধান রপ্তানি পণ্য।

পাট ও পাটজাত দ্রব্য যেমন – চটের ব্যাগ , কার্পেট প্রভৃতি রপ্তানি করে বাংলাদেশ প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করত। কিন্তু কিছু সময়ের জন্য সারা বিশ্বে পাট ও পাটজাত দ্রব্যের চাহিদা কমে যায়।

সম্প্রতি বাংলাদেশি বিজ্ঞানীদের দ্বারা পাটের জেনোম বা জন্মরহস্য আবিষ্কার এবং বিশ্বব্যাপী পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধির ফলে আবারও পাট ও পাটজাত সামগ্রী রপ্তানিতে বাংলাদেশের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়ে উঠছে।

কাঁচা পাট ও পাটজাত পণ্য দ্রব্য ছাড়া আরও যেসব পণ্য বাংলাদেশ বিদেশে রপ্তানি করে থাকে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো তৈরি পোশাক , হিমায়িত চিংড়ি , ঔষধ সামগ্রী , চা , চামড়াজাত দ্রব্য , রাসায়নিক সামগ্রী প্রভৃতি।

বাংলাদেশ থেকে যেসব দেশে পণ্য রপ্তানি করা হয় তার মধ্যে অন্যতম হলো – যুক্তরাষ্ট্র , জার্মানি , যুক্তরাজ্য , ফ্রান্স , বেলজিয়াম , ইটালি , নেদারল্যান্ড , কানাডা , জাপান প্রভৃতি।

বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা অনুযায়ী , ২০১২-২০১৩ অর্থ বছরে বাংলাদেশের মোট রপ্তানি আয় হয়েছে ২৭,০২৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার , ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরে রপ্তানি আয় ছিল ৩৪,২৫৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার , ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৪,৬৫৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে রপ্তানি আয় হয়েছে ৪০,৫৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

এর মধ্যে ২০১২-২০১৩ অর্থ বছরে রপ্তানি আয়ে শীর্ষে ছিল তৈরি পোশাক খাত। এ খাতে আয় হয়েছে ১১,০৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

বাংলাদেশের পণ্যের বড় ক্রেতা হলো যুক্তরাষ্ট্র।

আমদানি ও রপ্তানির গুরুত্ব

বাংলাদেশ বিদেশ থেকে প্রধানত সেসব পণ্যই আমদানি করে যা দেশের মানুষের খাদ্য ও অন্যান্য চাহিদা পূরণের জন্য দরকার । সময় মতো এসব পণ্য আমদানি না করতে পারলে স্বাভাবিকভাবেই দেশে এসব পণ্যের চরম অভাব ও মূল্যবৃদ্ধি ঘটত।

আর তাতে দেশে সামাজিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দিত। পৃথিবীর কোনো দেশই তার চাহিদার সমস্ত সামগ্রী নিজ দেশে উৎপাদন করতে পারে না।

পরিকল্পিত বাণিজ্য বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় নীতির আওতায় অন্য দেশ থেকে প্রয়োজনীয় পণ্য সুবিধাজনক দামে আমদানি করে । বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম নয়। তবে এর পাশাপাশি বাংলাদেশ বেশ কিছু পণ্য নিয়মিত বিদেশে রপ্তানি করছে। তা থেকে মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করছে। এই বৈদেশিক মুদ্রা দেশের অর্থনীতিকে সচলই রাখছে।

সর্বশেষ

তাহলে বন্ধুরা, অর্থনীতি কি বা অর্থনীতি কাকে বলে (What is Economics in Bengali) এ বিষয়ে আশা করি আজকের এই আর্টিকেলে জানতে পেরেছেন।

যদি আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে সোশ্যাল মিডিয়ায় অবশ্যই শেয়ার করবেন।

আর আর্টিকেলের সাথে জড়িত কোন প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই নিচে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।

অবশ্যই পড়ুন –

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *