ক্ষার কাকে বলে / ক্ষারক কাকে বলে | ক্ষার ও ক্ষারকের মধ্যে পার্থক্য
ক্ষার কাকে বলে ও ক্ষারক কাকে বলে এবং ক্ষার ও ক্ষারকের মধ্যে পার্থক্য এসব বিষয়ে আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে। তাহলে চলুন ক্ষার ও ক্ষারকের সংজ্ঞা অথবা ক্ষার এবং ক্ষারক কাকে বলে এ বিষয়ে আগে জেনে নেওয়া যাক।

ক্ষার কাকে বলে ?
ধাতু বা ধাতুর মতো ক্রিয়াশীল যৌগমূলকের হাইড্রোক্সাইড যৌগ, যা পানিতে দ্রবীভূত হয় তাদেরকে ক্ষার বলে।
কোন যৌগের ক্ষার হওয়ার জন্য দুইটি শর্ত রয়েছে।
- যৌগটিতে হাইড্রোক্সাইড (OH⁻) যৌগমূলক থাকতে হবে এবং
- ঐ যৌগ পানিতে দ্রবীভূত হতে হবে।
ক্ষারের উদাহরণ:
NaOH ক্ষার, কারণ সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড যৌগে OH⁻ মূলক আছে এবং এটি পানিতে দ্রবীভূত হয়।
Fe(OH)₂ কে ক্ষার বলা যায় না। কারণ এটিতে OH⁻ গ্রুপ আছে কিন্তু এটি পানিতে দ্রবণীয় নয়, এটি শুধু ক্ষারক।
বাসাবাড়িতে ক্ষার জাতীয় অনেক পদার্থ ব্যবহার করা হয়। যেমন: টয়লেট পরিষ্কার করার জন্য যে টয়লেট ক্লিনার ব্যবহার করা হয় তার মধ্যে সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড ক্ষার থাকে।
কাচ পরিষ্কার জন্য যে গ্লাস ক্লিনার ব্যবহার করা হয় তার মধ্যে অ্যামোনিয়াম হাইড্রোক্সাইড (NH₄OH) ক্ষার থাকে।
ক্ষার চার ধরনের হয়। যেমন –
- দূর্বল ক্ষার
- লঘু ক্ষার
- সবল ক্ষার
- গাঢ় ক্ষার
দূর্বল ক্ষার: যে ক্ষার জলীয় দ্রবণে আংশিক আয়নিত হয়ে হাইড্রোক্সাইড আয়ন দেয় তাই দূর্বল ক্ষার।
দূর্বল ক্ষারের বৈশিষ্ট্য
- আংশিকভাবে আয়নিত হয়।
- জলীয় দ্রবণে কম পরিমাণে OH⁻ থাকে।
লঘু ক্ষার: যে ক্ষারে পানির পরিমাণ তুলনামূলকভাবে বেশি থাকে সেই ক্ষারকে লঘু ক্ষার বলে।
লঘু ক্ষারের বৈশিষ্ট্য
- লিটমাস পরীক্ষা।
- ধাতব লবণের সাথে বিক্রিয়া।
- অ্যামোনিয়াম লবণের সাথে বিক্রিয়া।
- এসিডের সাথে বিক্রিয়া।
- বিদ্যুৎ পরিবহন করে।
সবল ক্ষার: যে ক্ষার জলীয় দ্রবণে সম্পূর্ণরূপে আয়নিত হয়ে হাইড্রোক্সাইড আয়ন দেয় তাকে সবল ক্ষার বলে।
সবল ক্ষারের বৈশিষ্ট্য
- সম্পূর্ণরূপে আয়নিত হয়।
- জলীয় দ্রবণে অধিক পরিমাণে OH⁻ আয়ন দেয়।
গাঢ় ক্ষার: যে ক্ষারে পানির পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কম থাকে সেই ক্ষারকে গাঢ় ক্ষার বলে।
গাঢ় ক্ষারের বৈশিষ্ট্য
- অত্যন্ত ক্ষয়কারক পদার্থ।
- বিপজ্জনক।
তাহলে ক্ষার কি বা ক্ষার কাকে বলে এ বিষয়ে আশা করি আপনারা জানতে পেরেছেন।
ক্ষারক কাকে বলে ?
ধাতু বা ধাতুর মতো ক্রিয়াশীল যৌগমূলকের অক্সাইড এবং হাইড্রোক্সাইড যা এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে লবণ ও পানি উৎপন্ন করে তাকে ক্ষারক বলে।
যেমন:
- CaO + 2HCl ➞ CaCl₂ + H₂O
- 2KOH + H₂SO₄ ➞ K₂SO₄ + 2H₂O
- NH₄OH + HCl ➞ NH₄Cl + H₂O
CaO এবং KOH ছাড়াও ক্ষারকের উদাহরণ হচ্ছে: সোডিয়াম অক্সাইড (Na₂O), কপার অক্সাইড (CuO), ফেরাস অক্সাইড (FeO), সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড (NaOH), ক্যালসিয়াম হাইড্রোক্সাইড Ca(OH)₂, ফেরাস হাইড্রোক্সাইড Fe(OH)₂, অ্যামোনিয়াম হাইড্রোক্সাইড (NH₄OH) ইত্যাদি।
অ্যামোনিয়াম আয়ন (NH₄⁺), ফসফোনিয়াম আয়ন (PH₄⁺) এগুলো ধাতুর মতো ক্রিয়াশীল মূলক।
কেননা ধাতব আয়ন, যেমন Na⁺, K⁺ ইত্যাদি অধাতব আয়ন Cl⁻, SO₄²⁻ ইত্যাদির সাথে যুক্ত হয়ে আয়নিক যৌগ NaCl, KCl, Na₂SO₄, K₂SO₄ উৎপন্ন করে তেমনই NH₄⁺, PH₄⁺ আয়ন Cl⁻, SO₄²⁻ ইত্যাদির সাথে যুক্ত হয়ে আয়নিক যৌগ NH₄Cl, PH₄Cl, (NH₄)₂SO₄ ইত্যাদি উৎপন্ন করে।
এসিডের সাথে ক্ষারের বিক্রিয়ায় লবণ ও পানি উৎপন্ন হওয়ার বিক্রিয়াকে এসিড-ক্ষারক প্রশমন বিক্রিয়া বলে। তাই বলা হয় এসিড ক্ষারককে আর ক্ষারক এসিডকে প্রশমিত করে।
ক্ষারক কি বা ক্ষারক কাকে বলে এ বিষয়ে উপরে আশা করি আপনারা ভালোভাবে জানতে পেরেছেন।
ক্ষার ও ক্ষারকের মধ্যে পার্থক্য
(i) ক্ষারক হলাে মূলত ধাতব অক্সাইড CaO বা হাইড্রোক্সাইড [NaOH, KOH, Ca(OH)₂, Al(OH)₃]। ক্ষারক এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে লবণ ও পানি উৎপন্ন করে।
Ca(OH)₂ একটি ক্ষারক, কারণ ক্যালসিয়াম হাইড্রোক্সাইড এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে লবণ পানি উৎপন্ন করে। বিক্রিয়াটি হলো:
- Ca(OH)₂ +HCl ➞ CaCl₂ +H₂O
এখন কথা হলো, কিছু কিছু ক্ষারক আছে যারা পানিতে দ্রবীভূত হয় না আর কিছু ক্ষারক আছে যারা পানিতে দ্রবণীয়।
(ii) যে সব ক্ষারক পানিতে দ্রবীভূত হয়, তাদেরকে ক্ষার বা অ্যালকালি বলে। তাহলে বোঝা যাচ্ছে যে, ক্ষার হতে হলে ক্ষারক কে অবশ্যই পানিতে দ্রবণীয় হতে হবে।
(iii) ক্ষারক পানিতে দ্রবীভুত হতে পারে কিংবা নাও হতে পারে। কিন্তু ক্ষারকে অবশ্যই পানিতে দ্রবীভুত হতে হবে।
(iv) ক্ষারের pH মান সাধারনত 7 এর বেশি হয়। অন্যদিকে ক্ষারকের pH মান 7 অপেক্ষা কম।
(v) রাসায়নিকভাবে অম্লের বিপরীতধর্মী পদার্থ হলো ক্ষারক। কিন্তু ক্ষারক অম্লের বা এসিডের সাথে প্রশমন বিক্রিয়া করে লবণ এবং পানি উৎপন্ন করে।
(vi) ক্ষার হলো বিশেষ ধরনের ক্ষারক। সকল ক্ষারক ক্ষার নয় কিন্তু সকল ক্ষারই ক্ষারক।
(vii) ক্ষার দীর্ঘ সময় রেখে দিলে তলানি জমে না। যেমন – NaOH। কিন্তু ক্ষারক দীর্ঘ সময় ধরে রেখে দিলে তলানি পড়ে ও পানি পরিস্কার হয়। যেমন – CaCO₃।
সকল ক্ষারই ক্ষারক কিন্তু সকল ক্ষারক ক্ষার নয় কেন ?
ধাতু বা ধাতুর মতো ক্রিয়াশীল যৌগমূলকের হাইড্রোক্সাইড যৌগ , যা পানিতে দ্রবণীয় তাদেরকে ক্ষার বলে। কোনো যৌগের ক্ষার হবার জন্য 2 টি শর্ত রয়েছে। যেমন –
(i) যৌগটিতে হাইড্রোক্সাইড (OH⁻) যৌগমূলক থাকতে হবে এবং (ii) ঐ যৌগ পানিতে দ্রবীভূত হতে হবে।
NaOH ক্ষার, কারণ সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড যৌগে OH মূলক আছে এবং এটি পানিতে দ্রবণীয়। Fe(OH)₂ কে ক্ষার বলা যায় না। কারণ এটিতে OH⁻ গ্রুপ থাকলেও এটি পানিতে দ্রবণীয় নয়। তাই Fe(OH)₂ শুধু ক্ষারক।
CaO ক্ষারক, ক্ষার নয় কারণ CaO এ OH⁻ মূলক নেই। অর্থাৎ হাইড্রোক্সাইড মূলকধারী পানিতে দ্রবণীয় ক্ষারকগুলোই হলো ক্ষার।
তাই বলা যায়, সব ক্ষারকই ক্ষার নয় কিন্তু সব ক্ষারই ক্ষারক।
PH₃ ক্ষারধর্মী কেন? ব্যাখ্যা কর।
যেসব যৌগ বিক্রিয়াকালে ইলেকট্রন দান করতে পারে বা প্রোটন গ্রহণ করতে পারে তাদেরকে ক্ষারধর্মী যৌগ বলে। PH₃ অণুর P পরমাণুর ওপর মুক্ত ইলেকট্রনজোড় থাকে বলে ইলেকট্রন দাতা ও গ্রহীতা হিসেবে কাজ করতে পারে।
PH₃ + HCl ➞ PH₄ + Cl
এ বিক্রিয়ায় PH₃ প্রোটন গ্রহণ করে PH₄⁺ আয়নে পরিণত হয়। তাই PH₃ একটি ক্ষারধর্মী যৌগ।
NH₃ ক্ষারধর্মী – ব্যাখ্যা কর।
যেসব যৌগ বিক্রিয়াকালে ইলেকট্রন দান করতে পারে বা প্রোটন গ্রহণ করতে পারে তাদেরকে ক্ষারধর্মী যৌগ বলে।
NH₃ + HCl ➞ NH₄⁺ + Cl⁻ অণুর N পরমাণুর উপর মুক্ত ইলেকট্রনজোড় থাকে বলে ইলেকট্রন দাতা ও গ্রহিতা হিসেবে কাজ করতে পারে।
এ বিক্রিয়ায় NH₃ প্রোটন গ্রহণ করে NH₄⁺ আয়নে পরিণত হয়। তাই NH₃ একটি ক্ষারধর্মী যৌগ।
প্রাত্যহিক জীবনে ক্ষারের ব্যবহার ও সাবধানতা
মৌমাছি হুল ফুটালে, পিপড়া কামড় দিলে জ্বলে কেন, ফুলে যায় কেন? কারণ হলো, পিপড়ার কামড়ের মাধ্যমে মূলত ফরমিক এসিড নিঃসৃত হয়, যা আমাদের শরীরে জ্বালা – পােড়া সৃষ্টি করে।
আর মৌমাছি হুল ফুটালে ফরমিক এসিড, মেলিটিন (Melitin) ও অ্যাপামিন (Apamin) নামক এসিডিক পদার্থ নিঃসৃত হয়, যার কারণে জালা পােড়াও হয় আবার আক্রান্ত স্থান ফুলেও যায়।
এখন প্রশ্ন পিপড়া কামড়ালে বা মৌমাছি হুল ফুটালে করণীয় কী?
যেহেতু এসব ক্ষেত্রে জ্বালা – পােড়ার কারণ হচ্ছে এসিড, তাই আমরা এসিডকে নিক্রিয় করতে পারে এরকম মলম, লােশন বা চুন ব্যবহার করতে পারি ।
এরকম একটি লােশন হলাে ক্যালামিন (Calamine), যা মূলত জিংক কার্বোনেট (ZnCO₃)।
বেকিং সোডা ব্যবহার করেও ভালাে ফল পাওয়া যায়।
মাটির এসিডিটি দূর করতে ক্ষার
তােমরা আগেই জেনেছ, মাটিতে এসিডিটি বাড়লে উর্বরতা নষ্ট হয়। তখন ক্ষারক ব্যবহার করে এসিডিটিকে প্রশমিত করা যায় ও উর্বরতা ফিরিয়ে আনা যায়।
এক্ষেত্রে বহুল ব্যবহৃত ক্ষারক হলাে চুন (CaO) এবং মিল্ক অব লাইম Ca(OH)₂।
অবশ্য এ কাজে চুনাপাথরও CaCO₃ ব্যবহার করা হয়। বাসাবাড়িতে পরিষ্কারক হিসেবে অ্যামােনিয়াম হাইক্সাইড বহুল ব্যবহৃত হয়।
টুথপেস্ট বা টুথ পাউডার আমাদের নিত্যদিনের একটি অত্যন্ত প্রয়ােজনীয় বস্তু, যা ক্ষারীয়। খাওয়ার পরে সাধারণত আমাদের মুখে এসিডিয় অবস্থা তৈরি হয় ।
আর টুথপেস্ট বা পাউডার দিয়ে ব্রাশ করলে একদিকে যেমন দাত পরিষ্কার হয়, অন্যদিকে তেমনি পেস্ট বা পাউডারের ক্ষার সৃষ্ট এসিডকে নিষ্ক্রিয় করে। ফলে দাঁতের ক্ষয় রােধ হয়।
আবার থালা – বাসন পরিষ্কার করার জন্য যে শক্ত সাবান, তরল সাবান ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়, সেগুলােতেও ক্ষারক থাকে।
এমনকি আমরা যে কাপড় কাচার সাবান ব্যবহার করি, তা তৈরি করা হয় সােডিয়াম হাইড্রক্সাইড ও চর্বি বা তৈল থেকে।
একইভাবে সেভিং ফোম বা নরম সাবান তৈরি করা হয় পটাসিয়াম হাইড্রক্সাইভ ও চর্বি বা তৈল থেকে।
তােমরা জান যে গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা বা এসিডিটির কারণে আমরা যে এন্টাসিড খাই তা হলাে ম্যাগনেসিয়াম হাইড্রক্সাইড ও অ্যালুমিনিয়াম হাইড্রক্সাইড Al(OH)₃ নামের ক্ষার।
তাহলে দেখা যাচ্ছে যে ক্ষারক বা ক্ষারসমূহ আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের অনেক কাজে লাগে। তাই এগুলাে ব্যবহারে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে এবং অপচয় রােধে সবাইকে সচেতন হতে হবে।
ক্ষার ও ক্ষারক ব্যবহারে সাবধানতা
তােমরা নিজের হাতে কখনাে নিজেদের জামাকাপড় পরিষ্কার করে দেখেছ কী ঘটে? একটু বেশি কাপড় একসাথে পরিষ্কার করলে দেখা যায়, হাতের তালু থেকে ছােট ছােট চামড়া উঠে যায়।
এর জন্য দায়ী হলাে সাবানে থাকা ক্ষার। এসিড যেমন মানুষের শরীরে ছুড়লে ক্ষতি হয়, তেমনি ক্ষারও শরীরের ক্ষতি করে।
তাই ক্ষারীয় দ্রব্যাদি নিয়ে কাজ করার সময় হাতে রবারের মােজা ও গায়ে অ্যাপ্রােন পরে নেওয়া উত্তম।
প্রশমন এবং এর প্রয়ােজনীয়তা
পরিপাক: পাকস্থলীর এসিডিটির জন্য পেটের ব্যথা হলে ম্যাগনেসিয়াম হাইড্রক্সাইড বা অ্যালুমিনিয়াম হাইড্রক্সাইড নামক এন্টাসিড খেলে ব্যথা সেরে যায় কেন?
কারণ হলাে, এসিডিটির জন্য দায়ী হাইড্রোক্লোরিক এসিডের সাথে ম্যাগনেসিয়াম হাইড্রক্সাইড বা অ্যালুমিনিয়াম হাইড্রক্সাইডের প্রশমন বিক্রিয়া ঘটে যার ফলে অতিরিক্ত হাইড্রোক্লোরিক এসিড নিষ্ক্রিয় হয়ে যায় এবং ব্যথা আর থাকে না।
বিক্রিয়াটি নিচে দেখানাে হলাে :
- 2HCl + Mg(OH)₂ ➞ MgCl₂ + 2H₂O
- 3HCl + Al(OH)₃ ➞ AICl₃ + 3H₂0
কৃষিক্ষেত্রে: আবার চুন (CaO) ও স্ন্যাক লাইম [Ca(OH)₂] দিয়ে মাটির যে এসিডিটি দূর করে উর্বরতা বৃদ্ধি করা হয়, সেটিও হয় প্রশমন বিক্রিয়ার মাধ্যমে, যা নিচে দেখানাে হলো।
- CaO + H₂SO₄ ➞ CaSO₄ + H₂O
- Ca(OH)₂ + H₂SO₄ ➞ CaSO₄ + 2H₂0
দাঁতের যত্নে: তােমরা ইতিমধ্যেই জেনেছ খাওয়ার পরে আমাদের মুখে এসিড তৈরি হয় আর টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত ব্রাশ করলে এসিডজনিত কারণে দাঁতের ক্ষয়রােধ হয়।
এখানেও কিন্তু একধরনের প্রশমন বিক্রিয়াই ঘটে। টুথপেস্টের pH সাধারণত ৯-১১ এর মধ্যে হয় অর্থাৎ এরা ক্ষারীয় এবং এতে ক্যালসিয়াম হাইড্রক্সাইড, বেকিং সােডা, টেট্রাসােডিয়াম পাইরােফসফেট জাতীয় পদার্থ থাকে।
তাহলে বলা যাচ্ছে, প্রশমন বিক্রিয়া আমাদের জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলছে।
তাহলে ক্ষার কাকে বলে এবং ক্ষারক কাকে বলে? ক্ষার এবং ক্ষারকের মধ্যে পার্থক্য নিয়ে লেখা আজকের আর্টিকেলটি এখানেই শেষ হলো।
ক্ষার এবং ক্ষারক কাকে বলে বিষয়ে যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই নিচে কমেন্ট করবেন। আর আর্টিকেলটি ভালো লাগলে শেয়ার করবেন।