ছেলেদের ইসলামিক নাম অর্থসহ – (৩০০+)
ছেলেদের ইসলামিক নাম অর্থসহ
বন্ধুরা আজকে আমি এই আর্টিকেলের বলতে চলেছি ছেলেদের ইসলামিক নাম অর্থসহ।
আজকাল ছোট ছোট ছেলেদের ইসলামিক নাম রাখা ভালো। আর অনেক লাভ আছে যেমন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “তোমরা তোমাদের ছেলে মেয়েদের এমন নাম রেখো যাতে সে তার সেই নামের অসিলায় আল্লাহ তাআলা রব্বুল আলামীন তাকে বিনা হিসেবে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন” (সুবহানাল্লাহ)
তেমন বন্ধুরা দেখেন, মহান আল্লাহ তাআলা বলবেন মরিয়ম দাড়াও তখন এই পৃথিবীতে যত মরিয়ম নামের নারী আছে সবাই কিন্তু দাড়িয়ে যাবে। তখন মহান আল্লাহ তাআলা রব্বুল আলামীন বলবেন না না আমি এতো গুলো মরিয়ম কে দাড়াতেই বলি নাই আমি সেই মরিয়ম কে দারাতেই বলছি যে মরিয়ম ইসা নবির মা।
বন্ধুরা মহান আল্লাহ তাআলা রব্বুল আলামীন জিনি এতোই দয়ালু সিষ্টির সেরা জিনি গোটা পৃথিবীর মালিক দোজাহানের বাদশাহ তিনি শেই পরোম করুনাময় অসিম দয়ালু সেদিন এক জন মরিয়মের অছিলয় সব গুলি মরিয়ম কে জান্নাতি বানিয়ে দেবেন (সুবহানাল্লাহ)
বন্ধুরা শুধু এই নামের উসিলায় যে মহান আল্লাহতালা তাকে বিনা হিসেবে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন তা কিন্তু হয় না জান্নাত পেতে হলে নামাজ, রোজা, হজ্ব, যাকাত, ভালো আমল একটাই কিন্তু থাকা দরকার। বন্ধুরা ভালো নাম রেখে জান্নাত পাওয়ার আশায় থাকা যাবে না?
ছেলেদের ইসলামিক নাম অর্থসহ রাখার গুরুত্ব
একজন শিশু জন্মগ্রহণ করার ৫/৭ দিন পর তার নাম রাখা হয়/নাম করণ করা হয়।
শিশুর নাম করণের ক্ষেত্রে কতিপয় বিষয় লক্ষ্য রাখা আমাদের কাছে প্রয়োজন।
- সুন্দর নাম, মার্জিত, শ্রুতিমধুর ও অর্থবহ হওয়া আমাদের প্রয়োজন।
- আব্দুল্লাহ বা আব্দুর রাজ্জাক তথা আল্লাহর সত্তাবাচক বা গুণবাচক নামের আগে আবদ বা অন্য শব্দ যোগ করে নামকরণ করা ভালো। তবে এ ক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে নাম ধরে ডাকার সময় যেন আবদ বা অন্য শব্দ যোগ করে ডাকা হয় না। শুধু রহমান, রহীম, রাজ্জাক ইত্যাদি গুণবাচক নামে যেন ডাকা না হয়।
- নামের আগে কুনিইয়া রাখা সুন্নত। আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ(সা:) এ ধরনের কুনিইয়া রাখতেন।
- মুসলিম শিশুর এমন নাম রাখা উচিত যা শোনার সাথে সাথে বুঝা যায় এটা এক জন মুসলিম শিশুর নাম। অনেক সময় দেখা যায় এমন নাম রাখা হয় যা শুনে বুঝা যায় না এটা কি মুসলিম শিশুর নাম না অন্ন্য কোন ধর্মের শিশুর নাম?
- আবার অনেক সময় ছেলে বা মেয়ের নামের মধ্যে ফারাক করা যায়না। যেমন কাজল, নিশাত,মিম, ময়না, টিংকু, শীতল, রীতা, অভি ইত্যাদি।
- যে সকল গুণবাচক নামের হকদার একমাত্র রাসুলে কারীম (সঃ) সে সব নামে কারও নামকরণ করা ঠিক নয়। যেমন খাতামুন্নাবীয়্যীন (সর্বশেষ নবী), সাইয়েদুল মুরসালীন (রাসুলগণের নেতা) ইত্যাদি।
- আল্লাহ পাকের নামে কারও নাম রাখা হারাম। শুধু আল্লাহ কারও নাম রাখা জায়েয নাই। অনুরূপভাবে আল্লাহর সাথে খাস এমন কোন নাম কারো সাথে লাগোনো যাবে না। যেমন মালেকুল মুলক (জগতের বাদশাহ) সুলতানুস সালাতীন (বাদশাহদের বাদশাহ) ইত্যাদি।
- ফেরেশতাদের নামে নামে নাম রাখাও অধিকাংশ আলেমদের মতে নিষিদ্ধ। তাই জিবরীল, ইসরাফীল, আজরাঈল, মীকরাইল ইত্যাদি নামে নাম রাখাও ঠিক নয় বা ইসলামে জায়েজ নাই।
- যে সকল নাম ইসলামের ইতিহাসে খুবই ঘৃণিত সে সকল নামে কোন শিশুর নামকরণ করা ঠিক নয়। যেমন ইবলীশ, শাদ্দাদ, কারুন, ফেরাউন, আবু জাহেল, আবু লাহাব প্রভৃতি নাম রাখা উচিত নয়।
- যে সব নামে আল্লাহর সাথে বিদ্রোহের অর্থ বুঝা যায় সে ধরনের নাম রাখাও ইসলামে ঠিক নয়, যেমন আচিয়া (বিদ্রোণী)।
- শিশুর একটি সুন্দর নাম রাখা ভালো। তবে কোন কারণে একাধিক নাম রাখা যেতে পারে।
- কারও নাম যদি অসুন্দর হয়, সে বড় হয়ে গেলেও তার নাম টি পরিবর্তন / অন্ন্য নাম রাখতে পারেন।
- এমন কোন নাম রাখা ঠিক নয় যার অর্থ আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও আবদ্দ বা গোলাম হওয়া বুঝায়। যেমন গোলাম মোস্তফা, গোলাম নবী, গোলাম রাসুল, আব্দুন্নবী, আব্দুস শামস ইত্যাদি।
বন্ধুরা চলুন আর কথা না বাড়িয়ে চলেজাই মূল বিষয়ে
ছেলেদের ইসলামিক নাম অর্থসহ । শিশুদের ইসলামিক নাম অর্থসহ বাংলায়
১. লাবীব (বুদ্ধিমান)
২. উসামা (সিংহ)
৩. হামদান (প্রশংসাকারী)
৪. রাযীন (গাম্ভীর্যশীল)
৫. রাইয়্যান (জান্নাতের দরজা বিশেষ)
৬. সাবেত (অবিচল)
৭. জারীর (রশি)
৮. খালাফ (বংশধর)
৯. জুনাদা (সাহায্যকারী)
১০. ইয়াদ (শক্তিমান)
১১. ইয়াস (দান)
১২. যুবাইর (বুদ্ধিমান)
১৩. শাকের (কৃতজ্ঞ)
১৪. আব্দুল মুজিব ( উত্তরদাতার বান্দা)
১৫. আব্দুল মুমিন ( নিরাপত্তাদাতার বান্দা)
১৬. কুদামা (অগ্রণী)
১৭. সুহাইব (যার চুল কিছুটা লালচে)
১৮. মামদুহ (প্রশংসিত)
১৯. নাবহান ( খ্যাতিমান)
২০. নাবীল (শ্রেষ্ঠ)
২১. নাদীম (অন্তরঙ্গ বন্ধু)
২২. ইমাদ (সুদৃঢ়স্তম্ভ)
২৩. মাকহুল (সুরমাচোখ)
২৪. মাইমূন (সৌভাগ্যবান)
২৫. তামীম (দৈহিক ও চারিত্রিকভাবে পরিপূর্ণ)
২৬. হাম্মাদ (অধিক প্রশংসাকারী)
২৭. হামদান (প্রশংসাকারী)
২৮. সাফওয়ান (স্বচ্ছ শিলা)
২৯. গানেম (গাজী বিজয়ী)
৩০. খাত্তাব (সুবক্তা)
৩১. ইহসান (দয়া)
৩২. ইমতিয়াজ (সু পরিচিতি)
৩৩. আজম (সবচেয়ে বেশি সম্মানিত)
৩৪. দাইয়ান (বিচার কর্তা)
৩৫. ওয়াহাব (সবচেয়ে বেশি দান শিল)
৩৬. যাকি (মেধাবী)
৩৭. গফুর (খমাশিল)
৩৮. ওয়াহেদ (একলা)
৩৯. আফিফ (হালকা)
৪০. হাফিজ (হিফাজত কারী)
৪১. সাকিফ (সুসভ্য)
৪২. আহরার (স্বাধীন)
৪৩. জাওয়াত (দাতা)
৪৪. সাইফুল (প্রকীরিতি)
৪৫. সালিম (স্বাথ্যবান)
র দিয়ে ছেলেদের ইসলামিক নামের তালিকা
১. রাদ শাহামাত (বজ্র সাহসিকতা)
২. রাব্বানী (স্বর্গীয়)
৩. রাব্বানী রাশহা (স্বর্গীয় ফলের রস)
৪. রবীউল হাসান (ইসলামের বসন্তকাল)
৫. রাকা (পূর্নিমা)
৬. রফিক (বন্ধু)
৭. রফিকুল হাসান (সুন্দেরের উচ্চ)
৮. রফিকুল ইসলাম (ইসলামের মহত্ত্ব)
৯. রফিউদ্দীন (দ্বীনের সুগন্ধী ফুল)
১০. রাগীব আবিদ (আকাঙ্গ্ক্ষিত এবাদতকারী)
১১. রাগীব আখলাক (আকাঙ্গ্ক্ষীত চারিত্রিক গুনাবলি)
১২. রাগীব আখইয়ার (আকাঙ্গ্ক্ষি চমৎকার মানুষ)
১৩. রাগীব আখতার (আকাঙ্ক্ষিত তারা)
১৪. রাগীব আমের (আকাঙ্গ্ক্ষিত শাসক)
১৫. রাগীব আনিস (আকাঙ্গ্ক্ষিত বন্ধু)
১৬. রাগীব আনজুম (আকাঙ্ক্ষিত তারা)
১৭. রাগীব আনসার (আকাঙ্গ্ক্ষিত ব্ন্ধু)
১৮. রাগীব আসেব (আকাঙ্গ্ক্ষি যোগ্যব্যক্তি)
১৯. রাগীব আশহাব (আকাঙ্গ্ক্ষিত বীর)
২০. রাগীব বরকত (আকাঙ্গ্ক্ষিত সৌভাগ্য)
২১. রাগীব হাসিন (আকাঙ্গ্ক্ষিত সুন্দর)
২২. রাগীব ইশরাক (আকাঙ্ক্ষিত সকাল)
২৩. রাগীব মাহতাব (আকাঙ্ক্ষিত চাঁদ)
২৪. রাগীব মোহসেন (আকাঙ্ক্ষিত উপকারী)
২৫. রাগীব মুবাররাত (আকাঙ্ক্ষিত ধার্মিক)
২৬. রাগীব মুহিব (আকাঙ্ক্ষিত প্রেমিক)
২৭. রাগীব নাদের (আকাঙ্ক্ষিত প্রিয়)
২৮. রাগীব নিহাল (আকাঙ্ক্ষিত চারা গাছ)
২৯. রাগীব নূর (আকাঙ্ক্ষিত আলো)
৩০. রাগীব রহমত (আকাঙ্ক্ষিত দয়া)
৩১. রাগীব রওনক (আকাঙ্ক্ষিত সৌন্দর্য)
৩২. রশিদ (ধার্মিক)
৩৩. রাশিদ আবিদ (সঠিক পথে পরিচালিত ইবাদতকারী)
৩৪. রশিদ আবরার (সঠিক পথে পরিচালিত ন্যায়বান)
৩৫. রাশিদ আহবাব (সঠিক পথে পরিচালিত বন্ধু)
৩৬. রশিদ আমের (সঠিক পথে পরিচালিত শাশক)
৩৭. রাশিদ আনজুম (সঠিক পথে পরিচালিত তারা)
৩৮. রাশিদ আরিফ (সঠিক পথে পরিচালিত জ্ঞানী)
৩৯. রাশিদ আসেফ (সঠিক পথে পরিচালিত যোগ্যব্যক্তি)
৪০. রাশিদ লুকমান (সঠিক পথে পরিচালিত জ্ঞানী ব্যক্তি)
৪১. রাশিদ মুবাররাত (সঠিক পথে পরিচালিত ধার্মিক)
৪২. রাশিদ মুজাহিদ (সঠিক পথে পরিচালিত ধর্ম যোদ্ধা)
৪৩. রাশিদ মুতাহাম্মিল (সঠিক পথে পরিচালিত ধৈর্যশীল)
৪৪. রাশিদ মুতারাদ্দীদ (সঠিক পথে পরিচালিত চিন্তাশীল)
৪৫. রাশিদ মুতারাসসীদ (সঠিক পথে পরিচালিত লক্ষ্যকারী)
৪৬. রাশীদ নাইব (সঠিক পথে পরিচালিত প্রতিনিধি)
৪৭. রাশিদ শাবাব (সঠিক পথে পরিচালিত জীবনের শ্রেষ্ঠ)
৪৮. রাশিদ শাহরিয়ার (সঠিক পথে পরিচালিত রাজা)
৪৯. রাশিদ তাজওয়ার (সঠিক পথে পরিচালিত রাজা)
৫০. রাশিদ তালিব (সঠিক পথে পরিচালিত অনুসন্ধানকারি)
৫১. রাশিদ তকী (সঠিক পথে পরিচালিত ধার্মিক)
৫২. রউফ (স্নেহশীল)
৫৩. রাগীব আবসার (আকাঙ্ক্ষিত দৃষ্টি)
৫৪. রুকুনদ্দীন (দ্বীনের স্ফুলিঙ্গ)
৫৫. রাগীব সাহরিয়ার (আকাঙ্ক্ষিত রাজা)
৫৬. রাগীব শাকিল (আকাঙ্ক্ষিত সুপরুষ)
৫৭. রাগীব ইয়াসার (আকাঙ্ক্ষিত সম্পদ)
৫৮. রাগীব নাদিম (আকাঙ্ক্ষিত সংগী)
৫৯. রাহাত (স্বাচ্ছন্দ্য)
৬০. রাশীদ (সরল,শুভ)
খ দিয়ে ছেলেদের অর্থসহ ইসলামিক নাম
১. খায়ের Khair (উত্তম)
২. খাজা khaja (নেতা)
৩. খাদিম khadim (সেবক)
৪. খাযিন Khazin (কোষাধ্যক্ষ)
৫. খালিদ Khalid (চিরস্থায়ী)
৬. খালিস Khalis (খাঁটি, নির্ভেজাল)
৭. খুবাইব KHubaib (একজন সাহাবীর নাম, সাগরের ঢেউ)
৮. খুদাইজ Khudaij (অপূর্ণাঙ্গ)
ফ দিয়ে ছেলে ইসলামিক নাম
১. ফাহাদ (সিংহ)
২. ফাহিম আবরার (বুদ্ধিমান ন্যায়বান)
৩. ফাহিম আজমল (বুদ্ধিমান অতি সুন্দর)
৪. ফাহিম আনিস (বুদ্ধিমান নেতা)
৫. ফারহান ফুয়াদ (প্রফুল্ল অন্তর)
৬.ফারহান হাসিন (প্রফুল্ল সুন্দর)
৭. ফারহান হাসিন (প্রফুল্ল অনুভূতি)
৮. ফারহান ইশরাক (প্রফুল্ল সকাল)
৯. ফারহান ইশরাক (প্রফুল্ল বন্ধু)
১০. ফারহান লাবিব (প্রফুল্ল বুদ্ধিমান)
১১. ফারহান লতিফ (প্রফুল্ল পবিত্র)
১২. ফারহান মাহতাব (প্রফুল্ল চাঁদ)
১৩. ফারহান মনসুর (প্রফুল্ল বিজয়ী)
১৪. ফারহান মাশুক (প্রফুল্ল প্রেমাস্পদ)
১৫. ফারহান মাসুদ (প্রফুল্ল সৌভাগ্যবান)
১৬. ফারহান মুহিব (প্রফুল্ল প্রেমিক)
১৭. ফারহান নাদিম (প্রফুল্ল সঙ্গী)
১৮. ফারহান রফিক (প্রফুল্ল বন্ধু)
১৯. প্রফুল্ল সত্যবান (প্রফুল্ল সত্যবান)
২০. ফারহান তাজওয়া (প্রফুল্ল রাজা)
২১. ফারহান তানভীর (প্রফুল্ল আলোকিত)
২২. ফরহাতুল হাসান (সুন্দর উৎস)
২৩. ফাহিম আসাদ (বুদ্ধিমান সিংহ)
২৪. ফাহিম আশহাব (বুদ্ধিমান বীর)
২৫. ফাহিম ফয়সাল (বুদ্ধিমান বিচারক)
২৬. বুদ্ধিমান অন্তর (বুদ্ধিমান অন্তর)
২৭. ফাহিম হাবিব (বুদ্ধিমান বন্ধু)
২৮. ফাহিম মোসলেহ (বুদ্ধিমান সংস্কারক)
২৯. ফাহিম মুরশেদ (বুদ্ধিমান প্রথপ্রদর্শক)
৩০. ফাহিম শাহরিয়ার (বুদ্ধিমান রাজা)
৩১. ফয়েজ (সম্পদ)
৩২. ফয়জুল ইসলাম (ইসলামের মহত্ব)
৩৩. ফয়জুর রহমান (দয়াময়ের সম্মানী)
৩৪. ফারহান আমের (প্রফুল্ল শাসক)
আ দিয়ে ছেলেদের ইসলামিক নাম
১. আবদুল্লাহ (আল্লাহর দাস)
২. আবদুল আলি (মহানের গোলাম)
৩.আবদুল আলিম (মহাজ্ঞানীর গোলাম)
৪.আবদুল আযীম (মহাশ্রেষ্ঠের গোলাম)
৫.আবদুল আযীয (মহাশ্রেষ্ঠের গোলাম)
৬.আশা (সুখী জীবন)
৭.আশিকুল ইসলাম (ইসলামের বন্ধু)
৮.আবাদ (অনন্ত কাল)
৯.আব্বাস (সিংহ)
১০.আবদুল বারী (সৃষ্টিকর্তার গোলাম)
১১.আয়মান আওসাফ (নির্ভীক গুনাবলী)
১২.আইউব (একজন নবীর নাম)
১৩.আজম (শ্রেষ্ঠতম)
১৪.এজাজুল হক (প্রকৃত অলৌকিকতা)
১৫.আযহার (সুস্পষ্ট)
১৬.আজীমুদ্দীন (দ্বীনের মুকুট)
১৭.আজিজ (ক্ষমতাবান)
১৮.আজীজ আহমদ (প্রশংসিত নেতা)
১৯.আজিজুল হক (প্রকৃত প্রিয় পাত্র)
২০.আজীজুল ইসলাম (ইসলামের কল্যাণ)
২১.আজিজুর রহমান (দয়াময়ের উদ্দেশ্য)
২৩.আবদুল বাছেত (বিস্তৃতকারীর গোলাম)
২৪.আবদুল দাইয়ান (সুবিচারের দাস)
২৫.আবদুল ফাত্তাহ (বিজয়কারীর গোলাম)
২৬.আবদুল গাফফার (মহাক্ষমাশীলের গোলাম)
২৮.আবদুল গফুর (ক্ষমাশীলের গোলাম)
২৯.আবদুল হাদী (পথপ্রর্দশকের গোলাম)
৩০.আবদুল হাফিজ (হিফাজতকারীর গোলাম)
৩১.আবদুল হাকীম (মহাবিচারকের গোলাম)
৩২.আবদুল হালিম (মহা ধৈর্যশীলের গোলাম)
৩৩.আবদুল হামি (রক্ষাকারী সেবক)
৩৪.আবদুল হামিদ (মহা প্রশংসাভাজনের গোলাম)
৩৫.আবদুল হক (মহাসত্যের গোলাম)
৩৬.আবদুল হাসিব (হিসাব গ্রহনকারীর গোলাম)
৩৭.আবদুল জাব্বার (মহাশক্তিশালীর গোলাম)
৩৮.আবদুল জলিল (মহাপ্রতাপশালীর
গোলাম)
৩৯.আবদুল কাহহার (পরাত্রুমশীলের গোলাম)
৪০.আবদুল কারীম (দানকর্তার গোলাম)
৪১.আবদুল খালেক (সৃষ্টিকর্তার গোলাম)
৪২.আবদুল লতিফ (মেহেরবানের গোলাম)
৪৩.আবদুর রাহিম (দয়ালুর গোলাম)
৪৪.আবদুর রহমান (করুনাময়ের গোলাম)
৪৫.আবদুর রশিদ (সরল সত্যপথে পরিচালকের গোলাম)
৪৬.আদুর রউফ (মহাস্নেহশীলের গোলাম)
৪৬.আবদুর রাজ্জাক (রিযিকদাতার গোলাম)
৪৮.আবদুস সবুর (মহাধৈর্যশীলের গোলাম)
৪৯.আবদুস সালাম (শান্তিকর্তার গোলাম)
৫০.আবদুস সামাদ (অভাবহীনের গোলাম)
৫১.আকরাম (অতিদানশীল)
৫২.আহনাফ মুজাহিদ (ধর্মবিশ্বাসী ধর্মযোদ্ধা)
৫২.আহনাফ মুরশেদ (ধর্মবিশ্বাসী পথপ্রদর্শক)
৫৩.আহনাফ মুত্তাকী (ধর্মবিশ্বাসী ধর্মযোদ্ধা)
৫৪.আহনাফ শাকিল (ধর্মবিশ্বাসী সুপুরুষ)
৫৫.আহনাফ শাহরিয়ার (ধর্মবিশ্বাসী রাজা)
৫৬.আহনাফ তাহমিদ (ধর্মবিশ্বাসী প্রতিনিয়ত আল্লাহর প্রশংসাকারী)
৫৭.আহনাফ তাজওয়ার (ধর্মবিশ্বাসী রাজা)
৫৮.আহনাফ ওয়াদুদ (ধর্মবিশ্বাসী বন্ধু)
৫৯.আহরার আজাদী (প্রাপ্তদান)
৬০.এসানুল হক (প্রকৃত দয়া)
৬১.ইহতেরামুল হক (প্রকৃত সম্মান)
৬২.আইনুদ্দীন (দ্বীনের আলো)
৬৩.আতিক ফয়সাল (সম্মানিত বিচারক)
৬৪.আতিক ইশরাক (সম্মানিত প্রভাত)
৬৫.আতিক জামাল (সম্মানিত সৌন্দর্য্য)
৬৬.আতিক জাওয়াদ (সম্মানিত দানশীল)
৬৭.আতিক মাহবুব (সম্মানিত প্রিয় বন্ধু)
৬৮.আতিক মনসুর (সম্মানিত বিজয়ী)
৬৯.আতিক মাসুদ (সম্মানিত সৌভাগ্যবান)
৭০.আতিক মোসাদ্দেক (সম্মানিত প্রত্যয়নকারী)
৭১.আতিক মুহিব (সম্মানিত প্রেমিক)
৭২.আতিক মুজাহিদ (সম্মানিত ধর্মযোদ্ধা)
৭৩.আতিক মুরশেদ (সম্মানিত পথ প্রদর্শক)
৭৪.আতিক শাকিল (সম;মানিত সুপুরুষ)
৭৫.আতিক শাহরিয়ার (সম্মানিত রাজা)
৭৬.আতিক তাজওয়ার (সম্মানিত রাজা)
৭৭.আতিক ওয়াদুদ (সম্মানিত বন্ধু)
৭৮.আতিক ইয়াসির (সম্মানিত ধনবান)
৭৯.আতওয়ার (চাল-চলন)
৮০.আওলা (ঘনিষ্ঠতর)
৮১.আউলিয়া (আল্লাহর বন্ধু)
৮২.আউয়াল (প্রথম)
৮৩.আয়মান (অত্যন্ত শুভ)
৮৪. আহনাফ (ধার্মিক)
৮৫. আমান (নিরাপদ)
৮৬. আনিস (আনন্দিত)
৮৭. আমির (নেতা)
৮৮. আহসান (উৎকৃষ্টতম)
ও দিয়ে ছেলে শিশুদের ইসলামিক নাম অর্থসহ
১. ওয়াজিদ (প্রাপক)
২.ওয়াহশী (হিংস্র)
৩.ওয়াসীম (সুদর্শন )
৪.ওয়াসিক (জ্ঞানী)
৫.ওয়াক্কার (সম্মান)
৬.ওয়াদুদ (বন্ধু)
৭.ওয়াজীহ (সুন্দর)
৮.ওয়াকিল (প্রতিনিধি)
৯.ওয়াসীত (মধ্যস্থতাকারী)
১০.ওয়াহী (ইশারা)
১১.ওসমান গনি (এক জন ছাহাবির নাম)
ই দিয়ে অর্থসহ ছেলেদের ইসলামিক নাম
১. এনায়েতুল হক (প্রকৃত বা ন্যায্য দান)
২. ইসফার (আলোকিত হওয়া)
৩.ইসরার (রহস্য,গোপন কথা)
৪. ইত্তেসাফ (প্রশংসা,গুণ বর্ণনা)
৫. ইত্তেসাম ( অংকন করা)
৬. ইয়ানাত (সহযোগিতা করা)
৭. ইবলাগ (পৌছানো)
৮.ইব্রাহীম (একজন নবীর নাম)
৯. ইবতিদা (কোন কাজ আরম্ভ করা)
১০. ইবতিসাম (মুচকি হাসি দেওয়া)
১১.ইদরাক (বুদ্ধি দৃষ্টি)
১২. ইদ্রীস (শিক্ষা দীক্ষায় ব্যস্ত ব্যক্তি)
১৩. ইহতেশামুল হক (প্রকৃত বা ন্যায্য দান)
১৪. ইকবাল হুসাইন (সুন্দর অপ্রতিরোধ্য)
১৫.ইকরাম (সম্মান করা)
১৬. ইলিয়াস (একজন নবীর নাম)
ম দিয়ে ছেলেদের ইসলামিক নাম
১. মুবারক (শুভ)
২. মুজাহিদ (ধর্ম যোদ্ধা)
৩. মামুন (সুরক্ষিত)
৪. মাসুম (নিসপাপ)
৫. মাকহুল (সুরমাচোখ)
স দিয়ে ছেলেদের ইসলামিক নাম অর্থসহ
১. সালিক (সাধক)
২. সালাম (শান্তি)
৩. সামিহ (খমাকারি)
৪. সাবাহ (সকাল)
৫. সাফওয়াক (মহান)
৬. সিরাজ (প্রদিপ)
৭. সফিকুল হক (প্রকৃত গোলাম)
৮. সিরাজুল ইসলাম (ইসলামের বিশিষ্ট ব্যক্তি)
৯. শাকিল (শূপুরুশ)
১০. সাইফুল ইসলাম (ইসলামের প্রিয়)
১১. সাইফুল হাসান (সুন্দর কল্যান)
১২.সাইফুদ্দিন (দিনের সূর্য)
১৩. সাইফুল হক (প্রকৃত তরবারি)
১৪. সৈয়দ আহমদ (প্রশংসিত ভয় প্রদর্শন)
১৬. সাকিব সালিম (দিপ্ত স্বাথ্যবান)
১৭. সালাউদ্দিন (দ্বিনের ভদ্র)
ইসলামে যেসব নাম রাখা হারাম
আল্লাহর নাম নয় এমন কোন নামের সাথে গোলাম বা আব্দ (বান্দা) শব্দটিকে সম্বন্ধ করে নাম রাখা হারাম। যেমন,
• গোলাম নবী (নবীর দাস),
• আব্দুস শামছ (সূর্যের দাস),
• আব্দুল কামার (চন্দ্রের দাস),
• আব্দুল আলী (আলীর দাস),
• গোলাম কাদের (কাদেরের দাস)
• আব্দুল মোত্তালিব (মোত্তালিবের দাস),
• আব্দুল কালাম (কথার দাস),
• আব্দুল কাবা (কাবাগৃহের দাস),
• আব্দুন নবী (নবীর দাস),
• গোলাম রসূল (রসূলের দাস),
• আব্দুল হুসাইন (হোসাইনের দাস),
• আব্দুল আমীর (গর্ভনরের দাস),
• গোলাম মুহাম্মদ (মুহাম্মদের দাস), ইত্যাদি?
অনুরূপভাবে যেসব নামকে কেউ কেউ আল্লাহর নাম মনে করে ভুল করেন অথচ সেগুলো আল্লাহর নাম নয় সেসব নামের সাথে আব্দ বা দাস শব্দকে সম্বন্ধিত করে নাম রাখাও হারাম।
যেমন- আব্দুল মাবুদ (মাবুদ শব্দটি আল্লহর নাম হিসেব কুরআন ও হাদীছে আসেনি, বরং আল্লাহর বিশেষণ হিসেবে এসেছে) আব্দুল মাওজুদ (মাওজুদ শব্দটি আল্লহর নাম হিসেব কুরআন ও হাদীছে আসেনি)
- অনুরূপভাবে শাহেনশাহ (জগতের বাদশাহ) নাম রাখা হারাম। [মুসলিম] মালিকুল মুলক (রাজাধিরাজ) নাম রাখা হারাম। সাইয়্যেদুন নাস (মানবজাতির নেতা) নাম রাখা হারাম। [তুহফাতুল মাওলুদ ১/১১৫]
- সরাসরি আল্লাহর নামে নাম রাখা হারাম। যেমন- আর-রাহমান, আর-রহীম, আল-আহাদ, আস-সামাদ, আল-খালেক, আর-রাজেক, আল- আওয়াল, আল-আখের ইত্যাদি।
তো বন্ধুরা (ছেলেদের ইসলামিক নাম) আর্টিকেল টি এখানেই শেষ করছি আমাদের আর্টিকেল টি যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানান এবং আমাদের আর্টিকেল টি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
অবশ্যই পড়ুন –