জীবন সঙ্গীত কবিতায় কবি কিসের আশা করতে নিষেধ করেছেন?
জীবন সঙ্গীত কবিতায় কবি কীসের আশা করতে নিষেধ করেছেন?
১. জীবন সঙ্গীত কবিতায় কবি কিসের আশা করতে নিষেধ করেছেন?
ক. সম্পদের
খ. সুখের
গ. লাভের
ঘ. দীর্ঘায়ুর
সঠিক উত্তর খ.সুখের
২. কবি মানুষের আয়ুকে ‘শৈবালের নীর’ বলেছেন কেন?
ক. মানুষ মরণশীল বলে
খ. মানুষ ক্ষণজীবী বলে
গ. জীবন দুর্লভ বলে
ঘ. জীবন অস্থির বলে
সঠিক উত্তর : ক. মানুষ মরণশীল বলে
৩.জীবন সঙ্গীত’ কবিতায় কবি কোথায় পদাঙ্ক অঙ্কিত করে অমর হওয়ার আশা ব্যক্ত করেছেন?
ক. জীবন সাগর তীরে
খ. সুখের সাগর তীরে
গ. সমর-সাগর তীরে
ঘ. সংসার সাগর তীরে
সঠিক উত্তর : গ.সমর -সাগর তীরে
৩. মিথ্যা সুখের কল্পনা কী বাড়িয়ে দেয়?
ক. হতাশা
খ. দুঃখ
গ. চিন্তা
ঘ. নৈরাজ্য
সঠিক উত্তর : খ. দুঃখ
৪. ‘দারা পুত্র পরিবার, তুমি কার কে তোমার’—এসব বলে কবি কী করতে নিষেধ করেছেন?
ক. আনন্দ
খ. ক্রন্দন
গ. দান
ঘ. উল্লাস
সঠিক উত্তর : খ. ক্রন্দন
৫. ভবের উন্নতি করার জন্য অপরিহার্য কোনটি?
ক. সংসারে বৈরাগ্য ধারণ করা
খ. নিত্য নিজ কাজ করা
গ. সুখের আশা করা
ঘ. যুদ্ধ করা
সঠিক উত্তর : খ. নিত্য নিজ কাজ করা
৬.‘জীবন–সংগীত’ কবিতায় কোনটিকে দুর্লভ বলা হয়েছে?
ক. সম্পদ
খ. সুস্বাস্থ্য
গ. মহিমা
ঘ. শিক্ষা
সঠিক উত্তর : গ. মহিম
৭. কবি সুখের আশায় কী পরতে নিষেধ করেছেন?
ক. দামি পোশাক
খ. দুখের ফাঁস
গ. সংসারী সাজ
ঘ. যুদ্ধের পোশাক
সঠিক উত্তর : খ. দুখের ফাঁস
জীবন সঙ্গীত’ কবিতায় কবি কীসের আশা করতে নিষেধ করেছেন?
জীবন সঙ্গীত’ কবিতায় কবি সুখের আশা করতে নিষেধ করেছেন।

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
■ কবি-পরিচিতি
জীবন সঙ্গীত কবিতার কবি কে?
উত্তর : জীবন সঙ্গীত কবিতার কবি হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রশ্ন-১. হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ১৮৩৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন।
প্রশ্ন-২. হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় হুগলি জেলার গুলিটা রাজবল্লভহাট গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
প্রশ্ন-৩, হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিতার নাম কী?
উত্তর: হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিতার নাম কৈলাশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ।
প্রশ্ন-৪. হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় কত সালে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন?
উত্তর: হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ১৮৫৯ সালে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন ।
প্রশ্ন-৫. মাইকেল মধুসূদন দত্তের সমসাময়িককালে তাঁর পরে কাব্য৷ রচনায় কে সবচেয়ে খ্যাতিমান ছিলেন?
উত্তর: মাইকেল মধুসূদন দত্তের সমসাময়িককালে তাঁর পরে হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় কাব্য রচনায় সবচেয়ে খ্যাতিমান ছিলেন ।
প্রশ্ন-৬. স্বদেশপ্রেমের অনুপ্রেরণায় হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় কোন মহাকাব্য রচনা করেন?
উত্তর: স্বদেশপ্রেমের অনুপ্রেরণায় হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ‘বৃত্রসংহার’ রচনা করেন
প্রশ্ন-৭, কবি হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত মহাকাব্যের নাম কী?
উত্তর: কবি হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত মহাকাব্যের নাম ‘বৃত্রসংহার’।
প্রশ্ন-৮, ‘ছায়াময়ী’ কাব্যগ্রন্থটি কার লেখা?
উত্তর: ‘ছায়াময়ী’ কাব্যগ্রন্থটি হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা।
প্রশ্ন-৯. হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় কত সালে মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তর: হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯০৩ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
মূল-পাঠ
প্রশ্ন-জীবন সঙ্গীত কবিতাটি কোন কবিতার ভাবানুবাদ?
উত্তর :জীবন সঙ্গীত’ কবিতাটি হেনরি ওয়ার্ডস ওয়ার্থের ‘A Psalm of Life’ শীষর্ক ইংরেজি কবিতার ভাবানুবাদ।
প্রশ্ন-কবি কোন দৃশ্য ভুলতে নিষেধ করেছেন?
উত্তর : কবি বাহ্যদৃশ্য ভুলতে নিষেধ করেছেন।
প্রশ্ন-জীবন সঙ্গীত কবিতার কবি কে?
উত্তর : জীবন সঙ্গীত কবিতার কবি হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রশ্ন-১০. কবি ‘তুমি কার কে তোমার’ বলে জীবকে কী করতে নিষেধ করেছেন?
উত্তর: কবি ‘তুমি কার কে তোমার’ বলে জীবকে ক্রন্দন করতে নিষেধ করেছেন ।
প্রশ্ন-১১. কবি হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় মনকে কীসে ভুলতে নিষেধ করেছেন?
উত্তর: কবি হেমচন্দ্র মনকে বাহ্যদৃশ্যে ভুলতে নিষেধ করেছেন।
প্রশ্ন-১২. কবি সুখের আশা করে কীসের ফাঁস পরতে নিষেধ করেছেন?
উত্তর: কবি সুখের আশা করে দুখের ফাঁস পরতে নিষেধ করেছেন।
প্রশ্ন-১৩. জীবনের উদ্দেশ্য কী নয়? (সি. বো. ১৯)
উত্তর: সুখের আশায় বিপদ ডেকে আনা জীবনের উদ্দেশ্য নয়।
প্রশ্ন-১৪.আয়ুকে কবি কীসের সঙ্গে তুলনা করেছেন?
উত্তরা: আয়ুকে কবি শৈবালের নীরের সঙ্গে তুলনা করেছেন।
প্রশ্ন-১৫. আমাদের জীবন কীসের মতো ক্ষণস্থায়ী ?
উত্তরা: আমাদের জীবন শৈবালের নীরের মতো ক্ষণস্থায়ী।
প্রশ্ন-১৬.‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় কবি কোথায় যুদ্ধ করতে বলেছেন?
উত্তরা: ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় কবি সংসার-সমরাজানে বলেছেন।
প্রশ্ন-১৯. কারা প্রাতঃস্মরণীয় হয়েছেন?
উত্তর: মহাজ্ঞানী-মহাজনেরা প্রাতঃস্মরণীয় হয়েছেন ।
প্রশ্ন ২০. কোন পথ লক্ষ্য করে নিজের কাজের নিশানায় আমরা বরণীয় হই?
উত্তর: মহাজ্ঞানী-মহাজনের পথ লক্ষ্য করে নিজের কাজের নিশানা আমরা বরণীয় হব।
প্রশ্ন-২১. কোথায় পদাঙ্ক অঙ্কিত করে আমরা অমর হব?
উত্তর: সমর-সাগর তীরে পদাঙ্ক অঙ্কিত করে আমরা অমর হব ।
প্রশ্ন-২২. কবি কাকে বৃথা জীবন ক্ষয় করতে নিষেধ করেছেন?
উত্তর: কবি মানবগণকে বৃথা জীবন ক্ষয় করতে নিষেধ করেছেন ।
প্রশ্ন-২৩. কীসের সাধন করতে হবে?
উত্তর: সংকল্পের সাধন করতে হবে।
প্রশ্ন-২৪, কীভাবে সংকল্প সাধন করতে হবে?
উত্তর: নিজ কাজে রত হয়ে সংকল্প সাধন করতে হবে।
■ শব্দার্থ
প্রশ্ন-২৫. ‘দারা’ শব্দের অর্থ কী?( রা. বো. ১৭)
উত্তরা: ‘দারা’ শব্দের অর্থ- স্ত্রী।
প্রশ্ন-২৬.এ পৃথিবীতে বাঁচতে হলে কী করতে হবে?
উত্তর: এ পৃথিবীতে বাঁচতে হলে সাহসী যোদ্ধার মতো সংগ্রাম করতে হবে।
প্রশ্ন-২৭. ‘বাহ্যদৃশ্য’ শব্দের অর্থ কী?(য. বো. ১৯)
উত্তর: ‘বাহ্যদৃশ্য” শব্দের অর্থ— বাইরের জগতের চাকচিক্যময় রূপ বা জিনিস।
প্রশ্ন-২৮, ‘জীবাত্মা’ শব্দটির অর্থ কী?
উত্তর: ‘জীবাত্মা’ শব্দের অর্থ— মানুষের আত্মা ।
প্রশ্ন-২৯. ‘অনিত্য’ শব্দটির অর্থ কী?
উত্তর: ‘অনিত্য’ শব্দটির অর্থ- অস্থায়ী বা যা চিরকালের নয়।
প্রশ্ন-৩০. ‘আকিঞ্চন’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: ‘আকিঞ্চন’ শব্দের অর্থ— চেষ্টা বা আকাঙ্ক্ষা।
প্রশ্ন-৩১. ‘সমরাঙ্গনে’ অর্থ কী?
উত্তরা: ‘সমরাঙ্গনে’ অর্থ যুদ্ধক্ষেত্রে।
প্রশ্ন-৩২, ‘বীর্যবান’ শব্দের অর্থ কী?(ব. বো. ১৫)
উত্তর: ‘বীর্যবান’ শব্দের অর্থ— শক্তিমান।
প্রশ্ন-৩৩. ‘মহিমা’ শব্দটির অর্থ কী?
উত্তর: ‘মহিমা’ শব্দটির অর্থ— গৌরব।
প্রশ্ন-৩৪. ‘প্রাতঃস্মরণীয়’ অর্থ কী? (রাজশাহী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ)
উত্তরা: ‘প্রাতঃস্মরণীয়’ অর্থ সকলের শ্রদ্ধা ও সম্মানের পাত্র।
প্রশ্ন-৩৫. ‘ধ্বজা’ শব্দের অর্থ কী? (দি. বো. ১৫)
উত্তর: ধ্বজা শব্দের অর্থ— পতাকা।
৩৫.জীবন সঙ্গীত’ কবিতায় কবি কীসের আশা করতে নিষেধ করেছেন?
উত্তর :জীবন সঙ্গীত’ কবিতায় কবি সুখের আশা করতে নিষেধ করেছেন।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন-১. বৃথা জন্ম এ সংসারে’- কথাটি কেন বলা হয়েছে?
উত্তর: নৈরাশ্যবাদীদের মনোভাবের প্রকাশ ঘটাতে ‘বৃথা জন্ম এ সংসারে’ কথাটি বলা হয়েছে।
কবি হেমচন্দ্ৰ বন্দ্যোপাধ্যায় ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় মানব সম্প্রদায়কে উদ্দেশ্য করে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপদেশমূলক কথা রয়েছে। এখানে বৃথা জন্ম এ সংসারে’ পঙক্তিটির মাধ্যমে তেমনই একটি উপদেশের প্রকাশ ঘটেছে। মানবজন্ম অত্যন্ত মূল্যবান। করুণ কণ্ঠে কেবল বৃথা জন্ম বলে কেঁদে লাভ নেই। বরং আমাদের ক্ষণস্থায়ী এ জীবনকে কাজের মধ্য দিয়ে মহিমান্বিত ও অর্থপূর্ণ করে তুলতে হবে।
প্রশ্ন-২. ‘এ জীবন নিশার স্বপন’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন তা ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: ‘এ জীবন নিশার স্বপন’ বলতে কবি মানুষের জীবন যে নিছক অলীক স্বপ্ন নয় তা নির্দেশ করেছেন।
এ জীবন, জগৎ-সংসার কোনো কিছুই চিরস্থায়ী নয়। অত্যন্ত স্বল্প সময়ের জন্য মানুষকে এ পৃথিবীতে বসবাস করতে হয়। তাই এ স্বল্প সময়ের জীবনকে অলীক, মিথ্যা না ভেবে মহাজ্ঞানী, মহাজনের আদর্শ পথ অনুসরণ করে তাকে সার্থক করে তুলতে হবে। অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে, দুঃখ দারিদ্র্যকে জয় করে জীবনকে জয় করে নিতে হবে। মূলত মানুষের ভুল ধারণাকে অপসারণ করে জীবনের বাস্তবতাকে মেনে নেওয়ার দিকে সচেতন করার জন্য কবি আলোচ্য উক্তিটি করেছেন।
প্রশ্ন-৩. কবি জীবকে ‘তুমি কার কে তোমার’ বলে কাঁদতে নিষেধ করেছেন কেন? (গভ. মুসলিম হাই স্কুল, চট্টগ্রাম)
উত্তর: পৃথিবীকে শুধু স্বপ্ন ও মায়ার জগৎ মনে করলে জীবন ব্যর্থ হবে । কবি তাই জীবকে ‘তুমি কার কে তোমার’ একথা বলে কাঁদতে নিষেধ করেছেন।
মানুষ মরণশীল ও জীব জগৎ নশ্বর বলে আমরা অনেক সময় বলে থাকি যে, স্ত্রী-পুত্র, পরিবার কেউ আমার আপন নয়। কবি বলছেন, এটা ভুল ধারণা। মানবজীবন অত্যন্ত মূল্যবান। এ জীবনে স্ত্রী-পুত্র-কন্যা ও পরিবারের গুরুত্ব অসীম। কেউ কারো নয়, এমন নেতিবাচক চিন্তা করতে কবি বারণ করেছেন । কবি জীবনসংসারকে এবং আপনজনদের বরণ করে
প্রশ্ন-৪. কবি সুখের আশা করে দুঃখের ফাঁস পরতে নিষেধ করেছেন কেন?
উত্তর: মিথ্যা সুখের কল্পনা করলে শুধু দুঃখই বাড়বে বলে কবি সুখের
আশা করে দুঃখের ফাঁস পরতে নিষেধ করেছেন। মানবজন্ম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও মূল্যবান। মানুষের মৃত্যু অনিবার্য কিন্তু তার জন্মও শুধু একবারই সম্ভব। মিথ্যা সুখের কথা কল্পনা করলে একদিকে যেমন হতাশার সৃষ্টি হয়, অন্যদিকে তা মানুষকে তার উদ্দেশ্য থেকে সরিয়ে দেয়। মিথ্যা সুখের কল্পনা করলে তাতে যেমন দুঃখ বাড়ে, তেমনি কোনো ফলও আসে না।
প্রশ্ন-৫. ‘সময় কাহারো নয়’- কবি কথাটি কেন বলেছেন?
উত্তর: সময় তার আপন গতিতেই চলে, কারো জন্য অপেক্ষা করে না,
বোঝাতে— কবি প্রশ্নোক্ত কথাটি বলেছেন। সময় গতিশীল। কারো জন্য অপেক্ষা করে না। তাই সময় অনুযায়ী সকল কাজ সমাধান করা উচিত। কেননা, জীবন ক্ষণস্থায়ী। তাই বৃথা সময় নষ্ট না করতে কবি সময়ের সদ্ব্যবহার করার নির্দেশ দিতে গিয়ে প্রশ্নোক্ত উক্তিটি করেছেন।
প্রশ্ন-৬. ‘সংসার-সমরাঙ্গনে যুদ্ধ কর দৃঢ়পণে – পক্তিটি বুঝিয়ে লেখো।
উত্তর: জীবনে সফল হতে চাইলে সংসারকে সমরাঙ্গন বা যুদ্ধক্ষেত্র ভেবে দৃঢ় মানসিকতার সঙ্গে যুদ্ধ করতে হবে— এটাই কবির ভাবনা । পৃথিবী নামক আমাদের এ জগৎ-সংসার অত্যন্ত কঠিন জায়গা। এখানে কোনো কিছু সহজে লাভ করা যায় না। সমরাঙ্গনে যেমন প্রতিটি মুহূর্তে যুদ্ধ করে টিকে থাকতে হয়, সংসারেও ঠিক তেমনি ভূমিকা নিতে হবে। তাই কবি সংসার নামক সমরাঙ্গনে দৃঢ়ভাবে যুদ্ধ করার কথা বলেছেন।
প্রশ্ন-৭. কবি মানবকে ভয়ে ভীত না হওয়ার কথা বলেছেন কেন?( ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা।)
উত্তর: জগতে মহিমা লাভের পথে অনুপ্রেরণা দিতেই কবি মানবকে ভয়ে ভীত না হওয়ার কথা বলেছেন।
সংসার সমরাঙ্গনে যথাযোগ্য ভূমিকা রাখলেই মানবজীবন অর্থবহ হয়ে সাথে জীবনপথে এগিয়ে গেলে প্রাণ হারালেও তা আত্মদান বলে বিবেচিত ওঠে। এক্ষেত্রে হেরে যাওয়ার ভয়ে ভীত হলে চলবে না। কেননা, সততার হবে। এভাবে নিজ কাজের মাধ্যমে মহিমান্বিত হওয়ার উদাহরণ জগতে দুর্লভ। আর তাই মহত্ত্ব অর্জনের পথে উৎসাহ প্রদানের উদ্দেশ্যেই কবি মানুষকে কোনোরূপ ভয়ে ভীত হতে নিষেধ করেছেন।
সুভা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর – (গুরুত্বপূর্ণ ১৫টি)
মানুষ কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত?
সুভার গ্রামের নাম কী ? সুভা গল্পের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন
শব্দার্থ ও টীকা : কাতর স্বরে– দুর্বল কণ্ঠে, করুণভাবে। দারা – স্ত্রী। বাহ্যদৃশ্যে -বাইরের জগতের চাকচিক্যময় রূপে বা জিনিসে। জীবাত্মা – মানুষের আত্মা, আত্মা যদিও অমর, কিন্তু মানুষের মৃত্যু অনিবার্য, কাজেই দেহ ছেড়ে আত্মা একদিন চলে যাবে, চিরকাল দেহকে আঁকড়ে থাকতে পারবে না। অনিত্য – অস্থায়ী, যা চিরকালের নয়। আকিঞ্চন – চেষ্টা, আকাঙ্ক্ষা; আশ – আশা। ভবের- জগতের, সংসারের। সমরাঙ্গনে – যুদ্ধক্ষেত্রে (কবি মানুষের জীবনকে যুদ্ধক্ষেত্রের সঙ্গে তুলনা করেছেন)। বীর্যবান – শক্তিমান। মহিমা – গৌরব। প্রাতঃস্মরণীয় – সকাল বেলায় স্মরণ করার যোগ্য, অর্থাৎ সকলের শ্রদ্ধা ও সম্মানের পাত্র। ধ্বজা – পতাকা, নিশান। বরণীয়- সম্মানের যোগ্য। সংসারে- সমরাঙ্গনে- যুদ্ধক্ষেত্রে সাহসী সৈনিকের মতো সংসারেও নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মোকাবেলা করে বেঁচে থাকতে হবে।স্বপন – রাতের স্বপ্নের মতোই মিথ্যা বা অসার।আয়ু যেন শৈবালের নীর- শেওলার ওপর পানির ফোঁটার মতো ক্ষণস্থায়ী। স্বীয় – নিজ, আপন। পদাঙ্ক – কোনো মহৎ ব্যক্তির কৃতকর্ম বা চরিত্র। যশোদ্বারে – খ্যাতির দ্বারে।
জীবন সঙ্গীত’ কবিতায় কবি কীসের আশা করতে নিষেধ করেছেন?
জীবন সঙ্গীত’ কবিতায় কবি সুখের আশা করতে নিষেধ করেছেন।
অনেক সুন্দর পোষ্ট।