জীববিজ্ঞান ১ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

আজকের আর্টিকেলে আমরা জানবো জীববিজ্ঞান ১ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

জীববিজ্ঞান ১ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

জীববিজ্ঞান ১ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

জীববিজ্ঞান ১ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
জীববিজ্ঞান ১ম অধ্যায়

১নং প্রশ্নের উত্তর

ক.শ্রেণিবিন্যাসের প্রতিটি ধাপই শ্রেণিবিন্যাসের একক।

খ. জীববিজ্ঞানের যে শাখায় তত্ত্বীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয় তাকে ভৌত জীববিজ্ঞান বলে। বংশগতিবিদ্যায় জীবের বংশগত গুণাবলি কীভাবে এক বংশ থেকে অন্য বংশে সঞ্চারিত হয় তার রীতি- নীতি, সংকর প্রজনন, পরিব্যক্তি, প্রকরণ সৃষ্টির কারণ ইত্যাদি প্রক্রিয়াগুলো আলোচিত হয়। এ প্রক্রিয়াগুলো প্রতিটি জীবের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ এবং এগুলো সবই বংশগতিবিদ্যার তত্ত্বীয় বিষয়াবলি। এ কারণে বংশগতিবিদ্যাকে জীববিজ্ঞানের ভৌত শাখা বলা হয়। চিত্র-২ এর উদ্ভিদটির নামকরণের ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে আমি নিচের বিষয়গুলো অনুসরণ করব- 

১. উদ্ভিদের নামটি হবে দ্বিপদী। প্রথম পদে থাকবে গণ এর নাম এবং দ্বিতীয় পদে থাকবে প্রজাতিক নাম।

২. নামকরণে অবশ্যই ল্যাটিন শব্দ ব্যবহার করব।

৩. গণ নামের প্রথম অক্ষর বড় হাতের এবং প্রজাতিক নামের সব অক্ষরই ছোট হাতের ব্যবহার করব।

৪. নামটি ছাপা অক্ষরে লিখলে ইটালিক (ডানদিকে একটু বাঁকা) হরফে এবং হাতে লিখলে ইংরেজি অক্ষর ব্যবহার করে অংশ দুটির নিচে আলাদা আলাদাভাবে দাগ টানব।

৫. বৈজ্ঞানিক নামের শেষে সর্বপ্রথম বিজ্ঞানসম্মত নাম প্রদানকারীর নাম ও প্রকাশের সনসহ সংক্ষেপে লিখব।

সারকথা : চিত্র-২ এর উদ্ভিদটির নামকরণে ICBN এর নীতির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে।

 

ঘ) উদ্দীপকে উপস্থাপিত চিত্র-১ এর উদ্ভিদটি হলো মাশরুম যা একটি মৃতজীবী এবং চিত্র-২ এর উদ্ভিদটি সপুষ্পক গুপ্তবীজী এবং দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদ। উদ্ভিদ দুটির মধ্যে চিত্র-২ এর উদ্ভিদটি অধিক উন্নত। এর কারণ নিচে বিশ্লেষণ করা হলো-

১. চিত্র-১ এর মাশরুম অপুষ্পক, অর্থাৎ এদের ফুল, ফল কিছু হয় না। কিন্তু চিত্র-২ এর উদ্ভিদটি সপুষ্পক অর্থাৎ এদের ফুল, ফল হয়। সপুষ্পক উদ্ভিদকেই উন্নত হিসেবে ধরা হয় ।

২. চিত্র-১ এর উদ্ভিদটি নিজের খাদ্য নিজে তৈরি করতে পারে না, খাদ্যের জন্য এরা অন্যের ওপর নির্ভরশীল। পক্ষান্তরে চিত্র-২ এর উদ্ভিদটির পাতায় সালোকসংশ্লেষণকারী সবুজ বর্ণকণিকা ক্লোরোফিল থাকে। এ ক্লোরোফিলের সহায়তায় সূর্যের আলো ও পানির সাহায্যে সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় নিজের খাদ্য নিজে তৈরি করতে পারে।

৩. চিত্র-১ এর উদ্ভিদটি স্পোরের মাধ্যমে বংশবৃদ্ধি ঘটায়। কিন্তু চিত্র-২ এর উদ্ভিদটি যৌন জননের মাধ্যমে বংশবৃদ্ধি ঘটায় যা উন্নত উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য।

৪. চিত্র-১ এর উদ্ভিদটিকে মূল, কাণ্ড ও পাতায় বিভক্ত করা যায় না, কিন্তু চিত্র-২ এর উদ্ভিদটিকে মূল, কাণ্ড ও পাতায় বিভক্ত করা যায়।

৫. পরিবহন কলাগুচ্ছ চিত্র-১ এর উদ্ভিদে অনুপস্থিত, কিন্তু চিত্র-২ এর উদ্ভিদে উপস্থিত পরিবহন কলাগুচ্ছ উন্নত উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য বহন করে।

৬. চিত্র-১ এর উদ্ভিদের দেহ নরম, কিন্তু চিত্র-২ এর উদ্ভিদের দেহ বেশ শক্ত । শক্ত উদ্ভিদদেহ উন্নত উদ্ভিদেরই বৈশিষ্ট্য বহন করে।

উপরের বর্ণনার আলোকে স্পষ্টভাবেই প্রমাণিত হয়, চিত্র-২ এর উদ্ভিদটিই অধিক উন্নত।

সারকথা : উদ্দীপকে উপস্থাপিত চিত্র-১ এর উদ্ভিদটি হলো মাশরুম যা একটি মৃতজীবী এবং চিত্র-২ এর উদ্ভিদটি সপুষ্পক গুপ্তবীজী এবং দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদ । উদ্ভিদ দুটির মধ্যে চিত্র-২ এর উদ্ভিদটি অধিক উন্নত।

জীববিজ্ঞান ১ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

সৃজনশীল প্রশ্ন ২.

orca image 1944836395
জীববিজ্ঞান ১ম অধ্যায়

২নং প্রশ্নের উত্তর 

ক.জীববিজ্ঞানের যে শাখায় জীবদেহের বিভিন্ন টিস্যুসমূহের গঠন, বিন্যাস ও কার্যাবলি নিয়ে আলোচনা করা হয় তাকে হিস্টোলজি বলে ।

খ. শৈবাল এক প্রকার জলজ উদ্ভিদ। এর দেহে ক্লোরোফিল উপস্থিত। জলজ উদ্ভিদ হওয়ার কারণে শৈবাল পানি থেকে CO2 গ্রহণ করে। এরা সূর্যালোকের উপস্থিতিতে CO2 এবং পানি থেকে সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় শর্করা জাতীয় খাদ্য প্রস্তুত করে। উৎপাদিত শর্করার কিছু অংশ শৈবাল তার প্রয়োজনীয় বিপাকীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ব্যবহার করে।

গ.উদ্দীপকে X হলো Nastoc, যা সুপার কিংডম। এর মনেরা রাজ্যের জীব এবং Y হলো Penicillium, যা সুপার কিংডম 2 এর ফানজাই রাজ্যের জীব। অর্থাৎ জীব দুটি ভিন্ন সুপার কিংডমের অন্তর্ভুক্ত। নিচে তাদের বৈসাদৃশ্য ব্যাখ্যা করা হলো-

১. মনেরা রাজ্যের জীব ফিলামেন্টাস ও কলোনিয়াল সদৃশ্য।অন্যদিকে ফানজাই রাজ্যের জীব মাইসেলিয়াম সদৃশ্য।

২. মনেরা রাজ্যের জীবদের কোষে ক্রোমাটিন বস্তু থাকে, কিন্তু নিউক্লিওলাস ও নিউক্লিয়ার পর্দা নেই। অপরদিকে ফানজাই রাজ্যের জীবদের নিউক্লিয়াস সুগঠিত এবং কোষ প্রাচীর কাইটিন নির্মিত ।

৩. মনেরা রাজ্যের কিছু সদস্য যেমন Nostoc-এ ক্লোরোপ্লাস্ট উপস্থিত থাকায় খাদ্য প্রস্তুত করতে পারে। অন্যদিকে ফানজাই রাজ্যের জীবদের দেহে ক্লোরোপ্লাস্ট অনুপস্থিত থাকায় এরা খাদ্য প্রস্তুত করতে পারে না।

৪. মনেরা রাজ্যের জীবদের কোষ বিভাজন দ্বিবিভাজন প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হয়। অপরদিকে ফানজাই রাজ্যের জীব হ্যাপ্লয়েড স্পোরের মাধ্যমে বংশবৃদ্ধি ঘটায় ।

৫. মনেরা রাজ্যের সদস্য হলো নীলাভ সবুজ শৈবাল, ব্যাকটেরিয়া ইত্যাদি। অন্যদিকে ফানজাই রাজ্যের সদস্য হলো- ইস্ট, Penicillium, মাশরুম ইত্যাদি।

সারকথা : ‘X’ হলো Nostoc, যা সুপার কিংডম এর মনেরা রাজ্যের জীব এবং ‘Y’ হলো Penicillium, যা সুপার কিংডম 2 এর ফানজাই রাজ্যের জীব।

ঘ. উদ্দীপকে Z হলো Mangifera indica অর্থাৎ আম গাছ। যা প্লানটি রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত এবং Y হলো Penicillium, যা ফানজাই রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত। প্লানটি রাজ্যটি ফানজাই রাজ্য থেকে উন্নত। নিচে তা বিশ্লেষণ করা হলো-

প্লানটি রাজ্যের জীবসমূহ প্রধানত স্থলজ, তবে অসংখ্য জলজ প্রজাতি আছে। এরা প্রকৃত নিউক্লিয়াসযুক্ত সালোকসংশ্লেষণকারী উদ্ভিদ। এরা নিজেদের খাদ্য নিজেরা তৈরি করতে পারে। এদের দেহে উন্নত টিস্যুতন্ত্র বিদ্যমান। এদের ভ্রূণ সৃষ্টি হয় এবং তা থেকে ডিপ্লয়েড পর্যায় শুরু হয়। এদের যৌনজনন অ্যানাইসোগ্যামাস। আর্কিগোনিয়েট অর্থাৎ স্ত্রীজনন অঙ্গ বিশিষ্ট এবং সপুষ্পক উদ্ভিদ ।

অন্যদিকে ফানজাই রাজ্যের জীবসমূহের অধিকাংশই স্থলজ, মৃতজীবী বা পরজীবী। এরা এককোষী অথবা মাইসেলিয়াম দিয়ে গঠিত। এদের নিউক্লিয়াস সুগঠিত। কোষ প্রাচীর কাইটিন বস্তু দিয়ে গঠিত। এদের খাদ্য গ্রহণ শোষণ পদ্ধতিতে ঘটে। ক্লোরোপ্লাস্ট অনুপস্থিত। ক্লোরোফিল না থাকায় এরা খাদ্য উৎপাদন করতে পারে না। এরা হ্যাপ্লয়েড স্পোরের মাধ্যমে বংশবৃদ্ধি ঘটায়।

উপরোক্ত রাজ্য দুটির বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে, প্লানটি রাজ্যের বৈশিষ্ট্যগুলো উন্নত জীবদের বৈশিষ্ট্যের সাথে সদৃশ্যপূর্ণ। অন্যদিকে ফানজাই রাজ্যের বৈশিষ্ট্যে উন্নত জীবদের কোনো বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয় নি। তাই বলা যায়, প্লানটি রাজ্য ফানজাই রাজ্য থেকে উন্নত।

সারকথা : প্লানটি রাজ্যটি ফানজাই রাজ্য থেকে উন্নত। প্লানটি রাজ্যের জীবসমূহ নিজেদের খাদ্য নিজেরা তৈরি করতে পারে। অন্যদিকে ফানজাই রাজ্যের জীবসমূহের ক্লোরোফিল না থাকায় এরা খাদ্য উৎপাদন করতে পারে না।

জীববিজ্ঞান ১ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

কুমিল্লা বোর্ড ২০২০

সৃজনশীল প্রশ্ন ৩.জীববিজ্ঞান ক্লাসে শিক্ষক নীলাভ সবুজ শৈবাল, এককোষী শৈবাল ও ছাতার ন্যায় একটি পরজীবীর শ্রেণিবিন্যাসগত অবস্থান নিয়ে আলোচনা করলেন ।

ক. এন্ডোক্রাইনোলজি কী?

খ. মানুষকে Primate বর্গের প্রাণী বলার কারণ ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত পরজীবীর রাজ্যের বৈশিষ্ট্য লিখ।

ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত প্রথম জীব দুটির মধ্যে তুলনামূলক বিশ্লেষণ কর।

৩ নং প্রশ্নের উত্তর

ক.ভৌত জবিবিজ্ঞানের যে শাখায় জীবদেহে হরমোনের কার্যকারিতা বিষয়ক আলোচনা করা হয় তাই এন্ডোক্রাইনোলজি।

খ.Primate বর্গের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো এদের আঁকড়ে ধরার উপযোগী হাত এবং ঘ্রাণ অপেক্ষা দৃষ্টিশক্তি বেশি উন্নত হয়। আর এ বৈশিষ্ট্যগুলো মানুষের মধ্যে বিদ্যমান থাকার কারণেই মানুষকে Primate বর্গের প্রাণী বলা হয়।

গ. উদ্দীপকে আলোচিত ছাতার ন্যায় পরজীবীটি হলো মাশরুম। যা ফানজাই রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত। নিচে ফানজাই রাজ্যের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ হলো-

১. এদের অধিকাংশই স্থলজ, মৃতজীবী বা পরজীবী।

২. দেহ এককোষী অথবা মাইসেলিয়াম দিয়ে গঠিত।

৩. এদের নিউক্লিয়াস সুগঠিত। ৪. কোষপ্রাচীর কাইটিন বস্তু দিয়ে গঠিত।

৫. খাদ্যগ্রহণ শোষণ পদ্ধতিতে ঘটে।

৬. ক্লোরোপ্লাস্ট অনুপস্থিত। ৭. হ্যাপ্লয়েড স্পোর দিয়ে বংশবৃদ্ধি ঘটে।

সারকথা : মাশরুম ফানজাই রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত। এদের অধিকাংশই স্থলজ, মৃতজীবী বা পরজীবী । ক্লোরোপ্লাস্ট অনুপস্থিত।

ঘ. উদ্দীপকে উল্লেখিত প্রথম জীব দুটি হলো নীলাভ সবুজ শৈবাল ও এককোষী শৈবাল। এদের মধ্যে নীলাভ সবুজ শৈবাল অর্থাৎ Nostoc সুপার কিংডম 1 এর মনেরা রাজ্যের সদস্য এবং এককোষী শৈবাল অর্থাৎ ডায়াটম সুপার কিংডম 2 এর প্রোটিস্টা রাজ্যের সদস্য। নিচে জীব দুটির মধ্যে তুলনামূলক বিশ্লেষণ করা হলো-

১. Nostoc এককোষী, ফিলামেন্টাস ও কলোনিয়াল। অন্যদিকে ডায়াটম এককোষী একক বা কলোনিয়াল বা ফিলামেন্টাস।

২. Nostoc-এর কোষে ক্রোমাটিন বস্তু থাকে কিন্তু নিউক্লিওলাস ও নিউক্লিয়ার পর্দা নেই। অপরদিকে ডায়াটমের কোষে ক্রোমাটিন বস্তু নিউক্লিয়ার পর্দা দ্বারা পরিবৃত্ত থাকে। ক্রোমাটিন বস্তুতে DNA, RNA এবং প্রোটিন থাকে।

৩. Nostoc-এর নিউক্লিয়াস সুগঠিত নয়। কিন্তু ডায়াটমের নিউক্লিয়াসসুগঠিত।

8. Nostoc-এ রাইবোজোম ব্যতীত কোনো কোষীয় অঙ্গাণু নেই।অন্যদিকে ডায়াটমে সকল ধরনের কোষীয় অঙ্গাণু থাকে ।

৫. Nostoc প্রধানত শোষণ পদ্ধতিতে খাদ্যগ্রহণ করে। অপরদিকে ডায়াটম শোষণ, গ্রহণ বা ফটোসিনথেটিক পদ্ধতিতে খাদ্যগ্রহণ করে।

৬. Nostoc দ্বিবিভাজন প্রক্রিয়ায় বংশবৃদ্ধি ঘটায়। অপরদিকে ডায়াটম অযৌন প্রজনন এবং কনজুগেশনের মাধ্যমে বংশবৃদ্ধি ঘটায়।

সারকথা : প্রথম জীব দুটি হলো নীলাভ সবুজ শৈবাল ও এককোষী শৈবাল। এদের মধ্যে Nostoc-এর নিউক্লিয়াস সুগঠিত নয়। কিন্তু ডায়াটমের নিউক্লিয়াস সুগঠিত ।

জীববিজ্ঞান ১ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

সৃজনশীল প্রশ্ন ৪.

 

জীববিজ্ঞান ১ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
সৃজনশীল প্রশ্ন

৪ নং প্রশ্নের উত্তর 

ক.জীববিজ্ঞানের যে শাখায় জীবন সংশ্লিষ্ট প্রায়োগিক বিষয়গুলো আলোচনা করা হয় তাই ফলিত জীববিজ্ঞান

খ. শ্রেণিবিন্যাসের মাধ্যমে একটি জীবরে গঠন, জনন, বাসস্থান, খাদ্য গ্রহণ, উৎপত্তি, বিবর্তন ইত্যাদি সম্পর্কে সম্যক ধারণা পাওয়া যায়। তাছাড়া একই ধরনের বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন একটি জীবের মাধ্যমে ঐ প্রজাতির অসংখ্য জীব সম্পর্কে প্রায় পরিপূর্ণ সাধারণ ধারণা পাওয়া যায়। ফলে জীবজগতে বিদ্যমান বিভিন্ন প্রজাতি সম্পর্কে সহজে ও অনায়াসে জানা যায়। জীবের জন্য শ্রেণিবিন্যাসের প্রয়োজন ।

গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত পদ্ধতিগুলোর মধ্যে (i) নং পদ্ধতিতে দ্বিপদ নামকরণ অনুসরণ করা হয়েছে। তাই আমাদের জাতীয় ফুল শাপলা ও জাতীয় পাখি দোয়েলের নাম আমি এই পদ্ধতি অনুসারেই লিখব। নিচে পদ্ধতিটি অনুসারে এদের নামদ্বয় লেখার প্রক্রিয়া বর্ণনা করা হলো-

১. এদের নাম হবে দ্বিপদী। প্রথমটি গণ ও দ্বিতীয়টি প্রজাতি ।

২. নামের ভাষা হবে ল্যাটিন ।

৩. গণ নামে প্রথম অক্ষর বড় হাতের হবে, প্রজাতিক পদের সব অক্ষরই ছোট হাতের হবে।

৪. নামকরণ ছাপা অক্ষরে ইটালিক হরফে হবে। হাতে লিখলে ইংরেজি অক্ষর ব্যবহার করতে হবে এবং অংশ দুটির নিচে আলাদা আলাদাভাবে দাগ টানতে হবে।

৫. বৈজ্ঞানিক নামের শেষে নামদানকারীর নাম (সংক্ষিপ্ত) লিখতে হয়। তাই দ্বিপদ নামকরণের নিয়ম অনুযায়ী আমাদের জাতীয় ফুল শাপলার বৈজ্ঞানিক নাম হলো- Nymphaea nouchali (নিচে  underline হবে)এবং দোয়েলের বৈজ্ঞানিক নাম Copsychus saularis(নিচে under line হবে).

সারকথা : আমাদের জাতীয় ফুল শাপলা ও জাতীয় পাখি দোয়েলের নাম হবে দ্বিপদী । প্রথমটি গণ ও দ্বিতীয়টি প্রজাতি। গণ নামে প্রথম অক্ষর বড় হাতের হবে, প্রজাতিক পদের সব অক্ষরই ছোট হাতের হবে।

ঘ.উদ্দীপকে উল্লিখিত আমের বৈজ্ঞানিক নামকরণ পদ্ধতিগুলো

হলো- (i) Mangifera indica( under line)(ii) MANGIFERA INDICA ও (iii) Mangifera এ পদ্ধতিগুলোর মধ্যে (ii) ও (iii) নং নামকরণ পদ্ধতি গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ (ii) ও (iii) নং পদ্ধতি দুটিতে দ্বিপদ নামকরণের সঠিক নিয়মাবলী অনুসরণ করা হয় নি। কিন্তু (i) Mangifera indica (underlin হবে) পদ্ধতিতেই আমের সঠিক দ্বিপদ নামকরণের পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে। আমের এ ধরনের নামকরণ পদ্ধতি গ্রহণের কারণ উপস্থাপন করা হলো-

১. জীবের দ্বিপদ নামকরণ হাতে লিখতে গেলে গণ ও প্রজাতির নামের নিচে দাগ দিতে হয়। যা কিনা (i) Mangifera indica (নিচে underline) নিচে পদ্ধতিতে অনুসরণ করা হয়েছে। ফলে আমের কোনটি গণ নাম ও কোনটি প্রজাতি নাম তা সহজেই বুঝা যাচ্ছে।

২.এ ধরনের দ্বিপদ নামকরণের মাধ্যমে পৃথিবীর কোনো বিশেষ জীব বা জীবকূলকে একটি নির্দিষ্ট নামে শনাক্তকরণ করা সম্ভব হয়।

৩. এ পদ্ধতির মাধ্যমে কোনো জীবের দ্বিপদ নাম প্রদানকারীর নাম জানা যায়। যেমন- Mangifera indica( underline) Li. এখানে Li হচ্ছে ক্যারোলাস লিনিয়াসে এর সংক্ষিপ্ত রূপ।

৪. দ্বিপদ নামকরণে ভাষা হবে ল্যাটিন। এর বর্ণনা একই ভাষায় হওয়ায় সকলের ক্ষেত্রে বুঝতে সুবিধা হয় ।

৫. কোন জীব কোন গণের অন্তর্গত তা সহজেই জানা যায়।

৬. জীবের গণের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানা যায়।

সুতরাং দ্বিপদ নামকরণের উপরোক্ত সুবিধাগুলোর কারণেই জীববিজ্ঞানের শিক্ষার্থী হিসেবে আমি আমের দ্বিপদ নামকরণের ক্ষেত্রে উদ্দীপকের (i) Mangifera indica নামকরণ পদ্ধতিটি গ্রহণ করলাম।

সারকথা : উদ্দীপকে উল্লিখিত Mangifera indica পদ্ধতিতেই আমের সঠিক দ্বিপদ নামকরণের পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে।আমের এ ধরনের নামকরণ পদ্ধতি গ্রহণের কারণ হলো- জীবের দ্বিপদ নামকরণ হাতে লিখতে গেলে গণ ও প্রজাতির নামের নিচে দাগ দিতে হয়।

জীববিজ্ঞান ১ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

সৃজনশীল প্রশ্ন ৫.

 

orca image 725953872
সৃজনশীল প্রশ্ন

৫ নং প্রশ্নের উত্তর

ক.ধানের বৈজ্ঞানিক নাম- Oryza sativa.

খ. একটি জীবের বৈজ্ঞানিক নাম দুটি অংশ বা পদ নিয়ে গঠিত হয়। প্রথম অংশটি তার গণের নাম ও দ্বিতীয় অংশটি তার প্রজাতির নাম। যেমন- গোলআলুর বৈজ্ঞানিক নাম Solanum tuberosum । এখানে Solanum গণ নাম ও tuberosum প্রজাতির নাম বুঝায়। এরূপ দুটি পদ নিয়ে গঠিত নামকে দ্বিপদ নাম এবং নামকরণের প্রক্রিয়াকে দ্বিপদ নামকরণ পদ্ধতি বলে।

গ. উদ্দীপকের চিত্র-ক হলো পেনিসিলিয়াম। এটি সুপার কিংডম-২

এর রাজ্য-ফানজাই এর অন্তর্ভুক্ত। রাজ্য ফানজাই-এর বৈশিষ্ট্যসমূহ হলো—

১. এদের অধিকাংশই স্থলজ, মৃতজীবী বা পরজীবী।

২. দেহ এককোষী অথবা মাইসেলিয়াম দিয়ে গঠিত।

৩. এদের নিউক্লিয়াস গঠিত।

৪. কাইটিন বস্তু দিয়ে গঠিত।

৫. খাদ্যগ্রহণ শোষণ পদ্ধতিতে ঘটে ।

৬. ক্লোরোপ্লাস্ট অনুপস্থিত।

৭. হ্যাপ্লয়েড স্পোর দিয়ে বংশবৃদ্ধি ঘটে।

উল্লিখিত সকল বৈশিষ্ট্যই চিত্র-ক অর্থাৎ পেনিসিলিয়ামের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ হওয়ায় পেনিসিলিয়াম ফানজাই রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত। আর ফানজাই রাজ্য জীববিজ্ঞানের ফলিত শাখা মাইক্রোবায়োলজি-এর অন্তর্ভুক্ত।

সারকথা : উদ্দীপকে প্রদর্শিত চিত্র : ক Penicillium কে জীবজগতের রাজ্য- ৩ অর্থাৎ ফানজাই (Fungi) বা ছত্রাক রাজ্যে স্থান দেওয়া হয়েছে।

ঘ. উদ্দীপকে প্রদর্শিত চিত্র : খ দ্বারা ডায়াটমকে নির্দেশ করা হয়েছে। আর ডায়াটমকে কেন অ্যানিমেলিয়া রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি তা নিচে যুক্তিসহ বিশ্লেষণ করা হলো-

কোন জীবকে অ্যানিমেলিয়া রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হতে হলে নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে-

১. প্রকৃত নিউক্লিয়াসবিশিষ্ট বহুকোষী জীব হতে হবে।

২. জড় কোষ প্রাচীর, প্লাস্টিড ও কোষ গহ্বর থাকবে না।

৩. পরভোজী, খাদ্য গলাধঃকরণ ও হজম করতে পারবে।

৪. দেহে জটিল টিস্যুতন্ত্র বিদ্যমান থাকবে ।

কিন্তু ডায়াটম একটি এককোষী জীব। সিলিকা নির্মিত কোষ প্রাচীর বিদ্যমান। এদের কোষে ক্লোরোফিল থাকায় এরা সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিজেদের খাদ্য নিজেরা প্রস্তুত করতে পারে। এদের দেহে কোন টিস্যুতন্ত্র গঠিত হয় না।

উপরিউক্ত বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে বলা যায় খ-চিত্রে প্রদর্শিত জীব অর্থাৎ ডায়াটম অ্যানিমেলিয়া রাজ্যের এর অন্তর্ভুক্ত নয়। তবে এটি একটি শৈবাল যা প্রোটিস্টা রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত।

জীববিজ্ঞান ১ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

সৃজনশীল প্রশ্ন ৬.বিশ্বে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের জাতীয় মাছ এর পূর্ণাঙ্গ জীবন রহস্য উন্মোচন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক।

ক. বায়োইনফরমেটিকস্ কাকে বলে?

খ. জীবপ্রযুক্তিতে গ্লাসমিড গুরুত্বপূর্ণ কেন?

গ. উদ্দীপকে নমুনা জীবের নামকরণ পদ্ধতি ব্যাখ্যা কর।

ঘ. উদ্দীপকের জীবটির কোষের সাথে “আদি কোষের ” বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের ভিন্নতা রয়েছে- বিশ্লেষণ কর।

৬.নং প্রশ্নের উত্তর

ক. কম্পিউটার প্রযুক্তিনির্ভর জীববিজ্ঞানভিত্তিক তথ্য, যেমন ক্যান্সার বিশ্লেষণ বিষয়ক বিজ্ঞানকে বায়োইনফরমেটিকস্ বলে ।

খ.প্লাস্টিড ক্রোমোজোম বহির্ভূত একটি বৃত্তাকার DNA অণু। এই বৃত্তাকার প্লাসমিড জীবপ্রযুক্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। প্লাসমিড এর মাধ্যমে নতুন জিন এর সন্নিবেশন এবং সন্নিবেশিত জিনকে অন্য জীবে স্থানান্তর করা সম্ভব হয়। জিন ক্লোনিং, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ইত্যাদি কাজে প্লাসমিড অত্যন্ত উপযোগী বাহক হিসেবে কাজ করে।

গ.উদ্দীপকে নমুনা জীবটি হলো বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশ। ইলিশ মাছের নামকরণ করতে হবে ICZN কর্তৃক স্বীকৃত দ্বিপদ নামকরণ পদ্ধতিতে। নিচে মাছটির নামকরণ পদ্ধতি ব্যাখ্যা করা হলো-

১. ইলিশের নামকরণে অবশ্যই ল্যাটিন শব্দ ব্যবহার করতে হবে।

২. ইলিশের বৈজ্ঞানিক নামের দুটি অংশ থাকবে, প্রথম অংশ গণ নাম এবং দ্বিতীয় অংশটি প্রজাতি নাম। যেমন- Tenualosa ilisha এটি ইলিশের বৈজ্ঞানিক নাম, এখানে Tenualosa গণ এবং ilisha প্রজাতিক পদ।

৩. ইলিশের বৈজ্ঞানিক নামকে অনন্য হতে হবে। কারণ একই নাম দুটি পৃথক জীবের জন্য ব্যবহারের অনুমতি নেই।

৪. ইলিশের বৈজ্ঞানিক নামের প্রথম অংশের প্রথম অক্ষর বড় অক্ষর হবে, বাকি অক্ষরগুলো ছোট অক্ষর এবং দ্বিতীয় অংশটির নাম ছোট অক্ষর দিয়ে লিখতে হবে।

৫. ইলিশের বৈজ্ঞানিক নাম মুদ্রণের সময় সর্বদা ইটালিক অক্ষরে লিখতে হবে। যেমন- Tenualosa ilisha.

৬. ইলিশের বৈজ্ঞানিক নাম হাতে লিখার সময় গণ ও প্রজাতিক নামের নিচে আলাদা আলাদা দাগ দিতে হবে। যেমন- Tenualosa ilisha.

৭. বৈজ্ঞানিক নামের শেষে নামদানকারীর নাম (সাধারণত সংক্ষিপ্ত) লিখতে হয়। Tenualosa ilisha Li (এখানে Li লিনিয়াসের নামের সংক্ষিপ্ত রূপ)

৮. যদি কয়েকজন বিজ্ঞানী ইলিশ মাছকে বিভিন্ন বিজ্ঞানসম্মত নামকরণ করেন তবে অগ্রাধিকার আইন অনুসারে প্রথম বিজ্ঞানী কর্তৃক প্রদত্ত নামটি গৃহীত হবে।

সারকথা : উদ্দীপকে নমুনা জীবটি হলো বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশ। ইলিশ মাছের নামকরণ করতে হবে ICZN কর্তৃক স্বীকৃত দ্বিপদ নামকরণ পদ্ধতিতে। ইলিশের বৈজ্ঞানিক নামের দুটি অংশ থাকবে, প্রথম অংশ গণ নাম এবং দ্বিতীয় অংশটি প্রজাতি নাম । যেমন- Tenualosa ilisha.

ঘ. উদ্দীপকের উল্লেখিত জীবটি হলো ইলিশ মাছ, যা প্রকৃতকোষী প্রকৃতকোষের সাথে আদিকোষের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের ভিন্নতা রয়েছে। নিচে তা বিশ্লেষণ করা হলো-

আদিকোষে কোনো সুগঠিত নিউক্লিয়াস থাকে না। এসব কোষের নিউক্লিয়াস কোনো পর্দা দিয়ে আবৃত থাকে না, তাই নিউক্লিও বস্তু সাইটোপ্লাজমে ছড়ানো থাকে। এসব কোষে মাইটোকন্ড্রিয়া, প্লাস্টিড, এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম ইত্যাদি অঙ্গাণু থাকে না তবে রাইবোজোম থাকে। ক্রোমোজোমে কেবল DNA থাকে। অন্যদিকে, প্রকৃতকোষের নিউক্লিয়াস সুগঠিত এবং নিউক্লিয়ার ঝিল্লি দিয়ে নিউক্লিও-বস্তু পরিবেষ্টিত ও সুসংগঠিত। এসব কোষে রাইবোজোমসহ সকল অঙ্গাণু উপস্থিত থাকে। ক্রোমোজোমে DNA, হিস্টোন, প্রোটিন এবং অন্যান্য উপাদান থাকে ।

অতএব বলা যায় যে, উদ্দীপকের জীবটির কোষের সাথে আদিকোষের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের সুস্পষ্ট ভিন্নতা রয়েছে ।

সারকথা : প্রকৃতকোষের সাথে আদিকোষের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের ভিন্নতা রয়েছে। । আদি কোষে কোনো সুগঠিত নিউক্লিয়াস থাকে না। তবে রাইবোজোম থাকে । প্রকৃতকোষের নিউক্লিয়াস সুগঠিত এবং নিউক্লিয়ার ঝিল্লি দিয়ে নিউক্লিও-বস্তু পরিবেষ্টিত ও সুসংগঠিত।

জীববিজ্ঞান ১ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

সৃজনশীল প্রশ্ন ৭।আলম সাহেব ‘ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট’ এর একজন স্বনামধন্য বিজ্ঞানী। তিনি উদ্ভিদবিদ্যা বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন পূর্বক উদ্ভিদ প্রজনন ও সংকরায়ন সম্পর্কিত শাখায় উচ্চতর ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। তিনি সাফল্যের সাথে বহু রোগ প্রতিরোধী ও বন্যাসহনীয় ফসলের জাত উদ্ভাবনে সক্ষম হয়েছেন।

ক. জীববিজ্ঞানকে ইংরেজিতে কী বলে?

খ. জীববিজ্ঞানকে কেন ভৌত ও ফলিত শাখায় বিভক্ত করা হয়?

গ. আলম সাহেব জীববিজ্ঞানের কোন শাখার চর্চার মাধ্যমে উক্ত জাতগুলো উদ্ভাবনে সক্ষম হলেন- ব্যাখ্যা কর ।

ঘ. আলম সাহেবের সাফল্য অর্জনে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের জ্ঞানই মুখ্য ভূমিকা রেখেছে— বিশ্লেষণ কর।

৭ নং প্রশ্নের উত্তর

ক. জীববিজ্ঞানকে ইংরেজিতে Biology বলে ।

খ. জীববিজ্ঞানে জীবের গঠন, জৈবনিক ক্রিয়া, জীবনধারণ ইত্যাদি মৌলিক বিষয়গুলো আলোচনার এ মৌলিক জ্ঞানকে কীভাবে জীবের কল্যাণে বা প্রয়োজনে কাজে লাগানো যায় তা আলোচিত হয়। জীবের এ সকল মৌলিক জ্ঞানকে প্রয়োগের নিমিত্তে আরও বিশদভাবে আলোচনার জন্য পৃথকভাবে বিভিন্ন ভৌত শাখার প্রায়োগিক শাখা বা ফলিত শাখা ভিন্ন ভিন্ন শিরোনামে তৈরি করা হয়েছে। মূলত জীবের অধ্যয়ন ও প্রয়োগের প্রয়োজনীয়তার জন্য জীববিজ্ঞানকে ভৌত ও ফলিত শাখায় ভাগ করা হয় ।

গ. আলম সাহেব জীববিজ্ঞানের ফলিত শাখার প্রয়োগের মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধী ও বন্যাসহনীয় ফসলের জাত উদ্ভাবন করতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে উদ্ভিদের গঠন, জৈবনিক ক্রিয়া, জীবনধারণ ও এদের প্রজনন পদ্ধতি সম্পর্কে ভালোভাবে জ্ঞান লাভ করেছিলেন। বিশেষ করে প্রজননের মাধ্যমে কৃত্রিম সংকরায়ন ঘটিয়ে নতুন সৃষ্ট জাতে উন্নত বৈশিষ্ট্যের সমন্বয় সাধনের মৌলিক জ্ঞান এ সময়েই তিনি অর্জন করেছিলেন। অতঃপর সেই জ্ঞানকে প্রয়োগ করার দক্ষতা অর্জন করলেন যখন তিনি ফলিত শাখার মাধ্যমে উচ্চতর ডিগ্রি লাভ করলেন। কারণ ফলিত শাখায় জীবের মৌলিক জ্ঞানের প্রয়োগ ক্ষেত্র সম্পর্কে আলোচনা করা হয় এবং জীব কল্যাণমূলক বিষয়গুলোকে আরও পরিবর্ধিত করে আলোচনা করা হয়। তাই ফলিত জীববিজ্ঞানের শাখার মাধ্যমে বিভিন্ন উদ্ভিদ ও প্রাণীর উন্নত জাত যেমন— খরাসহনীয় জাত, বন্যাসহনীয় জাত, উচ্চফলনশীল জাত এবং রোগ প্রতিরোধী জাত উদ্ভাবন করতে সক্ষম হয়েছেন। আর এভাবেই আলম সাহেব সফল হয়েছিলেন বলে ধারণা করা যায় ।

সারকথা : জীবন-সংশ্লিষ্ট প্রায়োগিক বিষয়সমূহ জীববিজ্ঞানের ফলিত শাখার অন্তর্ভুক্ত। এসব শাখা উচ্চ ফলনশীল ফল ও ফসল উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে ।

ঘ.আলম সাহেব বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে উদ্ভিদবিদ্যার মৌলিক বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করেছিলেন। মৌলিক শাখার জ্ঞান না থাকলে, কখনই ফলিত শাখায় ভালো অবদান রাখা যায় না। কারণ একটি জীবের গঠন, জৈবনিক কার্যাবলি, জীবনধারণ ইত্যাদি সম্পর্কে জানা থাকলে, সে জীব সম্পর্কে উচ্চতর গবেষণা করা সম্ভব এবং তা ফলিত শাখার সাফল্যের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।

আলম সাহেব বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে বিভিন্ন উদ্ভিদের গঠন প্রকৃতি, বৈচিত্র্য, আবাস, পরিবেশীয় অভিযোজন বা অভিব্যক্তি, জিনগত গঠন, জেনেটিক্যাল রিকম্বিনেশন তৈরি, সংকরায়ন পদ্ধতি ইত্যাদি সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান অর্জন করেছিলেন বলে তা উচ্চতর গবেষণাকালে প্রধান ভূমিকা পালন করেছিল। তাই উচ্চতর গবেষণার মাধ্যমে তিনি আরও দক্ষ হলেন। অতঃপর কর্মরত অবস্থায় পর্যাপ্ত সরঞ্জামাদির প্রাপ্ততা, পর্যাপ্ত শ্রম ও ইচ্ছার মাধ্যমে ফলিত ক্ষেত্রে সাফল্য লাভ করলেন। বিশ্ববিদ্যালয়কালীন জ্ঞান না থাকলে তার পক্ষে এ কাজ কখনই সম্ভব হতো না। তাই বলা যায়, উক্ত রোগ প্রতিরোধকারী ও বন্যাসহনীয় জাত উদ্ভাবনের পেছনে আলম সাহেবের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্জিত জ্ঞানই মুখ্য ভূমিকা রেখেছে।

সারকথা : আলম সাহেব বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে বিভিন্ন উদ্ভিদের গঠন প্রকৃতি, বৈচিত্র্য, আবাস, পরিবেশীয় অভিযোজন বা অভিব্যক্তি, জিনগত গঠন, জেনেটিক্যাল রিকম্বিনেশন তৈরি, সংকরায়ন পদ্ধতি ইত্যাদি সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান অর্জন করেছিলেন বলে তা উচ্চতর গবেষণাকালে প্রধান ভূমিকা পালন করেছিল।

জীববিজ্ঞান ১ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

সৃজনশীল প্রশ্ন ৮.

orca image 2027660562
সৃজনশীল প্রশ্ন
জীববিজ্ঞান ১ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

সৃজনশীল প্রশ্ন ৯. বৃক্ষপ্রেমিক নাজমুল সাহেব ঠিক করলেন তার গ্রামের বিভিন্ন ধরনের উদ্ভিদের একটি তালিকা তৈরি করবেন। কিন্তু এ বিষয়ে সঠিক ধারণা না থাকায় তিনি সঠিকভাবে কাজটি করতে পারছিলেন না। এ ব্যাপারে নাজমুল সাহেব স্থানীয় কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞানের শিক্ষকের দ্বারস্থ হলে তিনি শ্রেণিবিন্যাসের ভিত্তিতে তালিকা করার পরামর্শ দেন।

ক. প্রকৃতি বিজ্ঞানের প্রাচীনতম শাখা কোনটি?

খ. ক্যারোলাস লিনিয়াস বিখ্যাত কেন?

গ. শিক্ষক শ্রেণিবিন্যাসের ভিত্তিতে তালিকা তৈরি করার পরামর্শ দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা কর।

ঘ. শ্রেণিবিন্যাসের ভিত্তিতে তালিকা তৈরি না করলে নাজমুল সাহেব কী ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হবেন— বিশ্লেষণ কর।

ক.প্রকৃত বিজ্ঞানের প্রাচীনতম শাখা জীববিজ্ঞান ।

খ.ক্যারোলাস লিনিয়াস ছিলেন সুইডেনের একজন প্রকৃতি বিজ্ঞানী। তিনিই সর্বপ্রথম জীবের পূর্ণ শ্রেণিবিন্যাসের এবং নামকরণের ভিত্তি প্রবর্তন করেন। অসংখ্য জীব নমুনার বৈশিষ্ট্য পর্যবেক্ষণ করে তিনি জীবজগতকে দুটি ভাগে যথা— উদ্ভিদজগৎ ও প্রাণিজগৎ হিসেবে বিন্যস্ত করেন। জীবের দ্বিপদ নামকরণ পদ্ধতিও তিনিই প্রবর্তন করেন। এসব কারণেই তিনি বিখ্যাত।

গ. নাজমুল সাহেব গ্রামের সকল উদ্ভিদের তালিকা তৈরি করতে চেয়েছেন । একটি গ্রামে বিভিন্ন ধরনের নানা প্রজাতির উদ্ভিদ জন্মাতে পারে। স্বাভাবিক নিয়মে যদি এসব উদ্ভিদের তালিকা তৈরি করা হয় তবে সকল ধরনের উদ্ভিদই একই তালিকাভুক্ত হয়ে যাবে। পক্ষান্তরে যদি এ তালিকা তৈরিতে বিজ্ঞানসম্মত শ্রেণিবিন্যাস পদ্ধতি অনুসরণ করা হয় তবে অল্প সময়ে এবং অল্প পরিসরে গ্রামের সকল উদ্ভিদজগতের পরিচয় লাভ করা যাবে। তিনি তালিকায় উপকারী, অপকারী, ঔষধি, উদ্যান জাতীয়, বনজ, কৃষিজ ইত্যাদি সব ধরনের উদ্ভিদগুলো আলাদাভাবে তালিকাভুক্তির কথা বলেন। এতে করে যেকোনো উদ্ভিদের বাসস্থান, পরিবেশ, অভিব্যক্তির ধারণা সম্পর্কেও সহজেই জানা যাবে। একই সাথে উদ্ভিদসমূহের পরস্পরের সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য সম্পর্কেও সম্যক জ্ঞান লাভ করা যাবে। এসব সুবিধার কথা বিবেচনা করেই শিক্ষক নাজমুল সাহেবকে শ্রেণিবিন্যাসের ভিত্তিতে তালিকা করার পরামর্শ দিয়েছেন।

সারকথা: শ্রেণিবিন্যাসের ভিত্তিতে এ বিশাল ও বৈচিত্র্যময় জীবজগতকে সহজভাবে অল্প পরিশ্রমে এবং অল্প সময়ে সঠিকভাবে জানা সম্ভ

ঘ. শ্রেণিবিন্যাসের ভিত্তিতে তালিকা তৈরি না করলে নাজমুল সাহেব যেসব সমস্যার সম্মুখীন হবেন তা হলো-

১. তালিকাভুক্ত উদ্ভিদগুলোর সঠিক নাম ও পরিচয় জানা সম্ভব হবে না।

২. অসংখ্য উদ্ভিদের মধ্য থেকে প্রয়োজনীয় উদ্ভিদটিকে সহজে খুঁজে বের করা যাবে না ।

৩. একটি উদ্ভিদের সাথে অন্য উদ্ভিদ ও উদ্ভিদগোষ্ঠীর পারস্পরিক সম্পর্ক নির্ণয় করা সম্ভব হবে না।

৪. উদ্ভিদগুলো কোন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অথবা এর অর্থনৈতিক গুরুত্ব কতটুকু সে সম্পর্কে জানা সম্ভব হবে না।

৫. উপকারী ও অপকারী বা বিষাক্ত উদ্ভিদগুলো একই তালিকাভুক্ত হয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করবে।

৬. তালিকাভুক্ত উদ্ভিদগুলোর সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য সম্পর্কে জানা যাবে না । মোটকথা শ্রেণিবিন্যাসের ভিত্তিতে তালিকা তৈরি না করলে তালিকাটি শুধু একটি তালিকাই থেকে যাবে। এর দ্বারা কোনো ধরনের সুবিধা বা কাঙ্ক্ষিত উদ্দেশ্য অর্জিত হবে না।

সারকথা: শ্রেণিবিন্যাসের ভিত্তিতে তালিকা না করলে এ বিশাল ও বৈচিত্র্যময় উদ্ভিদ জগতকে সহজভাবে অল্প সময়ে এবং অল্প আয়াসে সঠিকভাবে জানা ও সংরক্ষণ সম্ভব হবে না।

জীববিজ্ঞান ১ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

সৃজনশীল প্রশ্ন ১০. পৃথিবীতে কোটি কোটি প্রজাতির জীব রয়েছে। বিজ্ঞানীরা তাদের নামকরণের জন্য বিশেষ এক পদ্ধতির আবিষ্কার করেছেন। এ পদ্ধতিতে সকল জীবের আলাদা আলাদা নামকরণ করা যায়। উদাহরণস্বরূপ-A একটি ফুলের গাছ এবং B একটি মাছ হলে, এদের নামকরণ হবে আলাদা ।

ক. শ্রেণিবিন্যাস কী?

খ. প্রতিটি জীবের শ্রেণিবিন্যাস করা প্রয়োজন কেন?

গ. উদ্দীপকে বর্ণিত পদ্ধতিতে জীবের নামকরণ কিভাবে করা যায়, ব্যাখ্যা কর।

ঘ. উদ্দীপকে উল্লেখিত A ও B শ্রেণিবিন্যাসে ভিন্ন রাজ্যে অবস্থানের কারণ বিশ্লেষণ কর।

ক.পারস্পরিক সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্যের উপর ভিত্তি করে জীবকে বিভিন্ন দলে বিভক্তকরণই হলো শ্রেণিবিন্যাস।

খ. প্রতিটি জীবের শ্রেণিবিন্যাস করা প্রয়োজন কারণ— ১. প্রতিটি জীবের দল ও উপদল সম্পর্কে জ্ঞান আহরণ।

২. জীবজগতের ভিন্নতার প্রতি আলোকপাত করে আহোরিত জ্ঞানকে সঠিকভাবে সংরক্ষণ।

৩. পূর্ণাঙ্গ জ্ঞানকে সংক্ষিপ্তভাবে উপস্থাপন ।

৪. প্রতিটি জীবকে শনাক্ত করে তার নামকরণের ব্যবস্থা করা ।

গ) উদ্দীপকে নামকরণের যে পদ্ধতির কথা বলা হয়েছে, তার নাম দ্বীপদ নামকরণ। এ পদ্ধতিতে নিম্নোক্ত উপায়ে নামকরণ করা হয়-

১. নামকরণ ল্যাটিন ভাষায় অথবা ল্যাটিন ভাষার মত করেউপস্থাপন করতে হবে।

২. বৈজ্ঞানিক নামে দুটি অংশ থাকবে। এর মধ্যে একটি গণ, অপরটি প্রজাতি। যেমন- Oryza sativa ধানের বৈজ্ঞানিক নাম। এর মধ্যে Oryza হলো গণ ও sativa হলো প্রজাতি ।

৩. জীবজগতের প্রতিটি বৈজ্ঞানিক নামকে অনন্য হতে হবে। কারণ একই নাম দুটি পৃথক জীবে ব্যবহারের অনুমতি নেই ।

৪. জীবের নামের প্রথম অংশের প্রথম অক্ষর বড় হবে, বাকি অক্ষরগুলো ছোট হাতের হবে। দ্বিতীয় অংশটির নাম ছোট অক্ষর দিয়ে লিখতে হবে । যেমন- সিংহ – Panthera leo.

৫. বৈজ্ঞানিক নাম মূদ্রণের সময় অবশ্যই ইটালিক অক্ষরে লিখতে হবে।

৬. হাতে লিখার সময় গণ ও প্রজাতির নিচে আলাদা আলাদা দাগ দিতে হবে।

৭. যদি কয়েকজন বিজ্ঞানী একই জীবের বিভিন্ন নামকরণ করেন, তবে অগ্রাধিকার আইন অনুসারে প্রথম বিজ্ঞানী কর্তৃক প্রদত্ত নামটি গৃহিত হবে।

৮. যিনি প্রথম কোনো জীবের বিজ্ঞানসম্মত নাম দিবেন, তাঁর নাম প্রকাশের সালসহ উক্ত জীবের বৈজ্ঞানিক নামের শেষে সংক্ষেপে সংযোজন করতে হবে। যেমন- Oryza sativa L., 1753,

সারকথা : উদ্দীপকে নামকরণের যে পদ্ধতির কথা বলা হয়েছে, তার নাম দ্বীপদ নামকরণ। নামকরণ ল্যাটিন ভাষায় অথবা ল্যাটিন ভাষার মত করে উপস্থাপন করতে হবে।

ঘ. জীবের বৈশিষ্ট্যের পারস্পরিক সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্যের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন জীবকে বিভিন্ন শ্রেণিতে বিভক্ত করে তাদের শ্রেণিবিন্যাস করা হয়। উদ্দীপকে উল্লেখিত A একটি সপুষ্পক উদ্ভিদ এবং B একটি মাছ, তথা বহুকোষী প্রাণী। তাদের পারস্পরিক বৈশিষ্ট্যের অনেক পার্থক্য পাওয়া যায়। A ও B উভয়ই সুপার কিংডম ২ : ইউক্যারিওটা তে অবস্থান করে। তবে তাদের বৈশিষ্ট্যের পার্থক্যের কারণে তাদের রাজ্য আলাদা। নিচে এ বিষয়ে আলোচনা করা হলো- সপুষ্পক উদ্ভিদ A এর বৈশিষ্ট্য হলো-

১. এদের দেহে সালোকসংশ্লেষণ ঘটে।

২. এদের ভ্রূণ সৃষ্টি হয়, যা থেকে ডিপ্লয়েড পর্যায় শুরু হয়।

৩. এদের যৌন জনন অ্যানাইসোগ্যামাস, অর্থাৎ আকার আকৃতি বা শারীরবৃত্তীয় পার্থক্যবিশিষ্ট ভিন্ন ধর্মী দুটি গ্যামেটের মিলনের মাধ্যমে যৌন জনন সম্পন্ন হয়।

উপরিউক্ত বৈশিষ্ট্যের কারণে তারা প্লানটি রাজ্যে অবস্থান করে। অপরদিকে B এর বৈশিষ্ট্যগুলো হলো-

১. এদের দেহে সালোকসংশ্লেষণ ঘটে না।

২. এদের কোষে কোনো কোষপ্রাচীর, প্লাস্টিড ও কোষ গহ্বর নেই।

৩. পরিণত ডিপ্লয়েড পুরুষ এবং স্ত্রী প্রাণীর জননাঙ্গ থেকে হ্যাপ্লয়েড গ্যামেট সৃষ্টি হয়। উপরিউক্ত বৈশিষ্ট্য থেকে জানা যায় B প্রাণীটি রাজ্য অ্যানিমেলিয়াতে করে। সুতরাং বলা যায়, শুধুমাত্র বৈশিষ্ট্যের ভিন্নতার কারণেই A ও Bশ্রেণিবিন্যাসে ভিন্ন রাজ্যে অবস্থান করে।

সারকথা : জীবের বৈশিষ্ট্যের পারস্পরিক সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্যের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন জীবকে বিভিন্ন শ্রেণিতে বিভক্ত করে তাদের শ্রেণিবিন্যাস করা হয় । তবে তাদের বৈশিষ্ট্যের পার্থক্যের কারণে তাদের রাজ্য আলাদা

 

জীববিজ্ঞান ১ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন

সৃজনশীল প্রশ্ন ১.সোহেলের একবন্ধু আছে, সে তুরস্কের নাগরিক। ইন্টারনেট, মোবাইল, ফেসবুক বা চিঠি আদান-প্রদানের মাধ্যমে তাদের যোগাযোগ হয়। একদিন সোহেল তাদের বাড়ির পাশে জন্মানো সাদা ছাতার মতো এবং সূক্ষ্ম সুতার জালের মতো মূলবিশিষ্ট এক ধরনের উদ্ভিদের কথা বন্ধুকে জানাল, কিন্তু নাম বলল না। সোহেলের বন্ধু পরবর্তীতে ঠিকই এর নাম পরিচয় জেনে নিতে পেরেছিল।

ক.দোয়েল পাখির বৈজ্ঞানিক নাম কি?

খ.ব্যাকটেরিয়া কে আদিকোষী জীব বলা হয় কেন?

(গ) সোহেলের বন্ধু কীভাবে ঐ উদ্ভিদটির নাম পরিচয় জানতে পারল ব্যাখ্যা কর।

(ঘ) শ্রেণিবিন্যাস উদ্ভিদ বৈচিত্র্যকে সহজে আয়ত্ত করার মাধ্যম, উদ্দীপকের আলোকে বিশ্লেষণ কর।

সৃজনশীল প্রশ্ন ২ : জীবজগৎকে ৫ টি রাজ্যে ভাগ করা যায়। যেমন- মনেরা > ১ > ২ > ৩ > ৪ > অ্যানিমেলিয়া।

ক. ICZN এর পূর্ণরূপ লিখ।

খ. লিনিয়াসের একটি চমৎকার উদ্ভাবন বলতে কী বুঝ?

গ. উদ্দীপকের কোন রাজ্যে ডায়াটমের অবস্থান হতে পারে? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. জীবের বৈজ্ঞানিক নাম নির্ধারণে আন্তর্জাতিক কোন নিয়মগুলো মেনে চলা দরকার? আলোচনা কর।

সৃজনশীল প্রশ্ন৩,৪,৫,৬

orca image 1664234232
সৃজনশীল প্রশ্ন

সৃজনশীল প্রশ্ন ৭: বিজয় দশম শ্রেণীর ছাত্র। সে জীববিজ্ঞান বই পড়ে অ্যামিবা, মাশরুম এবং হরিণ সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করলো। এগুলো জীব জগতের অন্তর্ভুক্ত।

ক. আরশোলার বৈজ্ঞানিক নাম কী?

খ. ইস্ট ফানজাই রাজ্যতুক্ত কেন? ব্যাখ্যা করো।

গ. উদ্দীপকে বর্ণিত প্রথম জীবটি কোন রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত? ব্যাখ্যা করো।

ঘ. উদ্দীপকের প্রতিটি জীব শ্রেণিবিন্যাসগতভাবে বিভিন্ন_ যুক্তি সহকারে আলোচনা করো।

জীববিজ্ঞান ১ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন

সৃজনশীল প্রশ্ন ৮

orca image 179640399

সৃজনশীল প্রশ্ন ৯ : জগৎ – পর্ব – শ্রেণি – বর্গ – গোত্র – গণ – প্রজাতি

ক. অ্যানিমিয়া কি?

খ. রেনাল পিরামিড বলতে কি বোঝায়?

গ. উদ্দীপকে উল্লেখিত হায়ারার্কি অনুযায়ী মানুষের শ্রেণিতাত্বিক অবস্থান বর্ণনা কর।

ঘ. জীবজগৎ সম্পর্কে জ্ঞানার্জনের জন্য কিভাবে আমরা উল্লেখিত নেস্টেড হায়ারার্কি ব্যবহার করতে পারি? ব্যাখ্যা কর।

সৃজনশীল প্রশ্ন ১০.জীববিজ্ঞান ক্লাসে ফারুক স্যার জীবের শ্রেণিবিন্যাস সম্পর্কে পড়াচ্ছিলেন। তিনি বললেন এ পৃথিবীর সমস্ত উদ্ভিদ ও প্রাণী সম্পর্কে কারো একার পক্ষে জানা সম্ভব নয়। সে কারণে বিজ্ঞানীরা এদেরকে বিভিন্ন দলে ও উপদলে বিন্যস্ত করেছেন। তিনি আরো বলেন, সুইডিস বিজ্ঞানী ক্যারোলাস লিনিয়াস তাঁর ‘System Nature’ গ্রন্থের ১০ম সংস্করণে জীবের দ্বিপদ নামকরণ নীতি প্রবর্তন করেন এবং গণ ও প্রজাতির সংজ্ঞা দেন।

ক.জীববিজ্ঞান কি?

খ.দ্বিপদ নামকরণ বলতে কি বুঝ?

(গ) ফারুক স্যার যে বিষয় সম্পর্কে পড়াচ্ছিলেন তার প্রয়োজনীয়তা লিখ।

(ঘ) উদ্দীপকে উল্লেখিত নামকরণ এর নিয়মাবলী সম্পর্কে আলোচনা কর।

আরও জানুন :

বিজ্ঞান কি বা বিজ্ঞান কাকে বলে? বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা

এইডস কি ? এইডস এর লক্ষণ ও কারণ এবং প্রতিরোধের উপায়

কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার | কিডনি রোগ কেন হয়?

মোটা হওয়ার সহজ উপায় কি ?

জীবাশ্ম জ্বালানি কাকে বলে ? জীবাশ্ম জ্বালানি কিভাবে তৈরি হয়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *