নতুন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন আবেদন ফরম পূরণ করার নিয়ম
নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন মাত্র ১৫ মিনিটে:

পৃথিবীতে প্রত্যেক মানুষেরই একটি জন্ম নিবন্ধন সনদ বা birth certificate থাকে। একটি শিশুর জন্মের পর তার জন্ম নিবন্ধন করা হলো একটি শিশুর মৌলিক অধিকার।
আমরা জানি, বাংলাদেশ প্রত্যেক জনের ঐ বয়স যখন 18 বছর হয় তখন সে দেশের নাগরিকত্ব লাভ করতে পারে এবং সে একটি NID কার্ড (National ID Card) বা ভোটার আইডি কার্ড পেতে পারে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে।
জাতীয় পরিচয় পত্র না পাওয়া পর্যন্ত তার স্কুল, কলেজ অথবা প্রয়োজনীয় যে কোন জায়গায় জন্ম নিবন্ধন কপি বা সনদ ব্যবহার করা হয়, যা এনআইডি কার্ড এর বিকল্প হিসেবে কাজ করে থাকে।
আগেকার সময়ে আমাদের জন্ম নিবন্ধন করতে অনেক সমস্যার সৃষ্টি হতো। কিন্তু এখনকার সময়ে ডিজিটাল সেবার উন্নতির ফলে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন আবেদন করা যায়।
তো কিভাবে জন্ম নিবন্ধন অনলাইন আবেদন করতে হয় এ বিষয়ে আজকের আর্টিকেলে আমি আপনাদের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ছবি সহ দেখিয়ে দিব।
তার আগে চলুন জেনে নিই জন্ম নিবন্ধন সনদ কি এবং কেন জন্ম নিবন্ধন করতে হয়?
জন্ম নিবন্ধন কি ? (What is birth registration)
জন্ম নিবন্ধন হলো এমন একটি প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে একটি নবজাতক শিশুর জন্মের পর তার নাম প্রথম সরকারি খাতায় লেখা হয়। এতে সে যে নামটি লাভ করে, সেটির মাধ্যমে সে সারাজীবন দেশ ও জাতির কাছে পরিচিতি লাভ করে।
জন্ম নিবন্ধনের মাধ্যমে একটি শিশুর জন্ম সম্পর্কে নিজের দেশকে ও বিশ্বকে আইনগতভাবে অবহিত করা হয়। এর মাধ্যমে একটি নবজাতক শিশুর জাতীয়তা নিশ্চিত করা হয়।
সুতরাং একটি শিশুর জন্মের পর birth certificate এর মাধ্যমে সে প্রথম রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি লাভ করে।
কেন একটি শিশুর জন্ম নিবন্ধন করা প্রয়োজন?
2004 সালে বাংলাদেশের নতুন জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন প্রণয়ন করা হয় এবং এটি 2006 সালে কার্যকর করা হয়। এই আইনে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশের জন্মগ্রহণকারী প্রত্যেকেরই জন্ম নিবন্ধন (birth registration) করা আবশ্যক।
এছাড়া জাতিসংঘ শিশু সনদ একটি শিশুর জন্ম নিবন্ধনের অধিকারের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
এজন্য আপনি যদি আপনার সন্তান বা শিশুর অথবা অন্য কারো জন্ম নিবন্ধন করতে চান, তাহলে নিচে আমি আপনাদের দেখিয়ে দিব কিভাবে নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে হয় এবং জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম পূরণ করার নিয়ম এর বিষয়ে।
নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার নিয়ম – (Notun Jonmo Nibondhon)
পূর্বে জন্ম নিবন্ধন করতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হতো। তাছাড়াও মোট কথা হলো, অনেক আগেকার করা জন্ম নিবন্ধন সনদ গুলো হচ্ছে হাতে লেখা।
এই তথ্য গুলো অনলাইনে বা ইন্টারনেটে সংরক্ষিত নেই। কিন্তু, আমরা এটা জানি যে, এখনকার দিনে আর পুরনো জন্ম নিবন্ধন কপি যেকোনো প্রয়োজনীয় কাজে গ্রহণ করা হয় না।
এর পরিবর্তে এখন ব্যবহার করা হয় অনলাইন জন্ম নিবন্ধন বা ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন। ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন হলো সেটাই, যে জন্ম নিবন্ধন সনদ ইন্টারনেট ডাটাবেজে লিপিবদ্ধ রয়েছে এবং যে জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে যাচাই করে দেখলে এর তথ্য গুলো ইন্টারনেটে খুঁজে পাওয়া যাবে।
তাই বর্তমানে অনলাইন জন্ম নিবন্ধন এর চাহিদা প্রচুর। এজন্য আপনি যদি একটি নবজাতক শিশুর প্রথম জন্ম নিবন্ধন করতে চান, তাহলে অনলাইনে নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার মাধ্যমে সহজে জন্ম নিবন্ধন করতে পারবেন এবং সেটি ডিজিটাল হিসেবে বিবেচিত হবে।
এই আবেদনের পুরো নিয়ম বা পদ্ধতি নিচে আমি আপনাদের দেখিয়ে দিব। তাছাড়া যদি আপনি এমন একজনের জন্ম নিবন্ধন করতে চাচ্ছেন, যার জন্য অনেক আগেই হয়েছে কিন্তু তার বার্থ সার্টিফিকেট অনলাইনে নেই বা ডিজিটাল নয়, তাহলেও নিচের পদ্ধতিতে আপনি নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
তাছাড়াও আপনি যদি জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম কি? এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চাচ্ছেন, তাহলে নিচের স্টেপ গুলোর মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধন ডিজিটাল করতে পারবেন।
তাহলে চলুন জেনে নিই অনলাইনে নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার নিয়ম বা পদ্ধতির বিষয়ে।
জন্ম নিবন্ধন অনলাইন আবেদন – (Jonmo Nibondhon Online)
এ বিষয়ের আগে আপনার কিছু বিষয়ে জেনে নেওয়া দরকার। অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার জন্য আপনাকে একটি জন্ম নিবন্ধন ফরম পূরণ করতে হবে।
তো এই ফরমটি আপনি কম্পিউটার বা মোবাইল ফোন দিয়েই পূরণ করতে পারবেন। তবে, যদি আপনি পিসি দিয়ে জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম পূরণ করেন, তাহলে আবেদনের পর ফরমটি আপনি প্রিন্টারের মাধ্যমে সরাসরি প্রিন্ট করে নিতে পারবেন।
আর যদি স্মার্টফোনের মাধ্যমে আবেদন করেন তাহলে আপনাকে অতিরিক্ত একটি কাজ করতে হবে। এ বিষয়েও নিচে আপনাদের ভালোভাবে বুঝিয়ে বলব।
তাহলে এখন আমরা চলে এসেছি আসল জায়গায়। তাই নিচের অংশটি ভালোভাবে পড়ার চেষ্টা করুন।
অনলাইনে নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম পূরণ করার নিয়ম
ঘরে বসে নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে স্টেপ গুলো ভালোভাবে follow করুন।
স্টেপ ১:
প্রথমে আপনার কম্পিউটার বা মোবাইল ফোনে একটি ব্রাউজার ওপেন করতে হবে। এরপর https://bdris.gov.bd ওয়েব সাইটে প্রবেশ করতে হবে।
এই ওয়েবসাইটে আমরা জন্ম নিবন্ধন সম্পর্কিত যাবতীয় কাজ যেমন, জন্ম নিবন্ধন আবেদন, সংশোধন, যাচাই এবং নিবন্ধন করতে পারি। তো এই সাইটে প্রবেশ করার পর নিচের ছবির মত একটি ওয়েব পেজ চলে আসবে।
এখানে নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন সম্পর্কিত একটি নোটিশ (notice) দেখতে পারবেন। এর নিচে জন্ম নিবন্ধন সনদ আপনার কোন ঠিকানার অফিস থেকে সংগ্রহ করতে চান তা এখানে সিলেক্ট করুন।
জন্মস্থান হলে জন্মস্থান, স্থায়ী ঠিকানা হলে স্থায়ী ঠিকানা এবং বর্তমান ঠিকানা হলে বর্তমান ঠিকানায় টিক মার্ক করতে হবে।
এরপর পরবর্তী বাটনে ক্লিক করতে হবে
স্টেপ ২:
পরবর্তী বাটনে ক্লিক করার পর নিচের মত একটি ওয়েবপেজ চলে আসবে।
এখানে আপনি যার নামে birth registration application করতে চান তার নাম বা নিবন্ধনাধীন ব্যক্তির পরিচিতি এবং জন্মস্থান এর ঠিকানা প্রদান করতে হবে।
প্রথমে নামের প্রথম অংশ এবং শেষ অংশ বাংলায় লিখতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, যদি নাম মোঃ ফাহিম আহমেদ হয় তাহলে প্রথম অংশে দিতে হবে মোঃ ফাহিম এবং শেষ অংশে দিতে হবে আহমেদ।
এরপরে নামের প্রথম এবং শেষ অংশ ইংরেজি বড় হাতের অক্ষরে লিখতে হবে।
এর পরে জন্ম তারিখ সিলেক্ট করতে হবে। জন্ম তারিখ অবশ্যই টিকা কার্ড অথবা মেডিকেল ডকুমেন্টস অনুসারে সঠিক ভাবে দিতে হবে।
আর জন্মের অনেকদিন পরে অথবা 10 বছর পরে জন্ম নিবন্ধন করলে birth date স্কুল সার্টিফিকেট এবং অন্যান্য ডকুমেন্টস (documents) অনুযায়ী সিলেক্ট করতে হবে।
এরপর নির্ভুলভাবে জন্মস্থানের ঠিকানা গুলো প্রদান করতে হবে। এক্ষেত্রে একটি বিষয় হলো, যদি জন্মস্থান পৌরসভা হয় তাহলে পৌরসভা দিতে হবে, আর যদি ইউনিয়ন পরিষদ হয় তাহলে ইউনিয়ন সিলেক্ট করতে হবে এবং পৌরসভা দেওয়া যাবে না।
এরপরে ডানদিক থেকে নিচে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করতে হবে।
স্টেপ ৩:
এই ধাপে আপনাকে নিবন্ধনাধীন ব্যক্তির পিতার তথ্য এবং মাতার তথ্য দিতে হবে।
প্রথমে পিতার জন্ম নিবন্ধন নম্বর এর জায়গায় পিতার জন্ম সনদ অনুযায়ী নম্বরটি লিখতে হবে। এটি লিখার পর অটোমেটিকভাবে পিতার নাম বাংলা এবং ইংরেজিতে এবং পিতার জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বরের ঘরগুলো পূরণ হয়ে যাবে, আর এগুলো আপনি এডিট (edit) করতে পারবেন না।
এরপর পিতার জাতীয়তা সিলেক্ট করতে হবে।
একইভাবে মাতার জন্ম নিবন্ধন নম্বর টাইপ করলেও মাতার জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর এবং নাম অটোমেটিক পূরণ হয়ে যাবে। এরপর মাতার জাতীয়তা সিলেক্ট করতে হবে।
মনে রাখবেন,
এই প্রক্রিয়ার জন্য নিবন্ধনাধীন ব্যক্তির পিতা এবং মাতার জন্ম নিবন্ধন সনদ অবশ্যই ডিজিটাল করা থাকতে হবে। যদি পিতা ও মাতার জন্ম সনদ অনলাইনে না থাকে, তাহলে শিশুর অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন আবেদন করতে পারবেন না।
তবে যার জন্ম নিবন্ধনের জন্য apply করবেন তার জন্ম সাল যদি 2000 সালের আগে হয়, তাহলে তার পিতা মাতার জন্ম নিবন্ধন নম্বর এর প্রয়োজন হবে না এবং পিতা মাতার নাম লিখে দেওয়া যাবে।
এরপর পরবর্তী বাটনে ক্লিক করতে হবে।
স্টেপ ৪:
এখন আপনাকে নিচের মত ইন্টারফেস দেখানো হবে। এখান থেকে কোনোটিই নয় সিলেক্ট করতে হবে।
এরপর পরবর্তী বাটনে ক্লিক করতে হবে।
স্টেপ ৫:
এখানে স্থায়ী ঠিকানা নামে একটি লেখা দেখতে পারবেন। স্থায়ী ঠিকানার উপরে জন্মস্থান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা একই এরকম একটি অপশন দেখতে পারবেন।
যদি আপনার জন্মস্থান ও স্থায়ী ঠিকানা একই হয়, তাহলে এই অপশনটি দের টিক মার্ক দিতে হবে।
এরপর বর্তমান ঠিকানার জায়গায় যদি আপনার স্থায়ী ঠিকানা ও বর্তমান ঠিকানা একই হয়, তাহলে আপনাকে আগের মত এই অপশনে টিক মার্ক দিতে হবে।
আর যদি একই না হয় তাহলে টিকমার্ক না করে আলাদা আলাদাভাবে ঠিকানা গুলো লিখে দিতে হবে।
এর পরে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করতে হবে।
স্টেপ ৬:
এই স্টেপে আপনাকে আবেদনকারীর তথ্য দিতে হবে।
এর মানে হলো, এখানে আবেদনকারী ব্যক্তির সহিত সম্পর্ক নামে একটি অপশন দেখতে পারবেন।
আপনি যার জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করছেন, সেই ব্যক্তির যদি পিতা আপনি হন, তাহলে এখানে পিতা সিলেক্ট করতে হবে।
এরকম ভাবে যেকোন একটি সিলেক্ট করুন। অথবা আপনি যদি নিজেই নিজের জন্ম নিবন্ধন আবেদন করছেন তাহলে নিজ সিলেক্ট করুন।
এরপর আবেদনকারীর নাম, মোবাইল নম্বর এবং ইমেইল এড্রেস সঠিকভাবে দিয়ে দিন এর পরে আপনাকে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করতে হবে।
স্টেপ ৭:
পরবর্তী বাটনে ক্লিক করলে আপনার জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম টির সকল তথ্য সঠিক আছে কিনা তা একবার যাচাই করে নিতে বলা হবে। সব ঠিক থাকলে আবার পরবর্তী বাটনে ক্লিক করতে হবে। এরপর আবেদন পত্রটি সাবমিট হয়ে যাবে।
সাথে সাথে আপনার মোবাইলে একটি টেক্সট মেসেজ চলে আসবে, এখানে একটি রেজিস্ট্রেশন নম্বর উল্লেখ করা থাকবে।
এই ধাপে আপনি আবেদন ফরম প্রিন্ট করার অপশন পেয়ে যাবেন। যদি আপনি কম্পিউটার ব্যবহার করেন তাহলে print বাটনে ক্লিক করে আবেদনপত্রটি প্রিন্ট করে নিতে পারবেন।
আর আপনি যদি মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন, তাহলে আপনাকে একটি অতিরিক্ত কাজ করতে হবে, কেননা মোবাইল ফোন দিয়ে তো এটি প্রিন্ট করা সম্ভব নয়।
তাই আপনাকে নিকটস্থ কম্পিউটার সার্ভিস এর দোকানে যেতে হবে, যারা কম্পিউটার সেবা দিয়ে থাকেন।
তার কাছে গিয়ে এসএমএস এর মাধ্যমে যে রেজিস্ট্রেশন নম্বর টি আপনি পেয়েছেন, সেটি এবং জন্ম তারিখটি তাকে প্রদান করলে আবেদনপত্রটি আপনি প্রিন্ট করে নিতে পারবেন।
এই আবেদনপত্রটি আপনার পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশন অথবা ইউনিয়ন পরিষদে জমা দিতে হবে এর সাথে অবশ্যই প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র প্রদান করতে হবে।
নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করতে কি কি লাগে?
শিশুর বয়স যদি শূন্য থেকে 45 দিন হয় তাহলে,
- ইপিআই টিকা কার্ড
- পিতা ও মাতার ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি
- বাসার হোল্ডিং নম্বর এবং হোল্ডিং ট্যাক্স এর রশিদ
- অভিভাবকের ফোন নম্বর
শিশুর বয়স 45 দিন থেকে 5 বছর হলে,
এজন্য উপরের ডকুমেন্টসগুলো প্রয়োজন হবে।
শিশুর বয়স ৫ বছরের বেশি হলে,
- শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক পরিচালিত প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট অথবা মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট এর কপি।
- পিতা-মাতার অনলাইন জন্ম নিবন্ধনের কপি
- পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি
- বয়সের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য চিকিৎসক কর্তৃক প্রদানকৃত প্রত্যয়ন পত্র।
উপরে উল্লেখিত কাগজপত্র বা ডকুমেন্টসগুলো নতুন জন্ম নিবন্ধন করার ক্ষেত্রে প্রয়োজন হবে।
কিভাবে জন্ম সনদ পেতে পারবেন?
প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র সহ অনলাইন আবেদন পত্র আপনার পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশন অথবা ইউনিয়ন পরিষদ অফিসে প্রথমে জমা দিতে হবে।
এর সাথে নির্ধারিত জন্ম নিবন্ধন ফি সহ আপনাকে প্রদাণ করতে হবে। এর ২৪ ঘন্টা পরেই আপনি জন্ম নিবন্ধন সনদ সংগ্রহ করতে পারবেন।
আজকে আমরা কি জানলাম,
বন্ধুরা, অনলাইনে নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন কিভাবে করতে হয় এবং কিভাবে জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম পূরণ করতে হয় এই বিষয়ে আজকের আর্টিকেলে আমি আপনাদের ভালোভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেছি।
আশা করি আর্টিকেলটি আপনার অনেক উপকারে আসবে। আর আমি সর্বদাই আপনাদের উপকারে আসে, এরকম নতুন নতুন আর্টিকেল আমার ব্লগে শেয়ার করে থাকি।
যদি আর্টিকেটি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে সোশ্যাল মিডিয়ায় যেমন ফেসবুকে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার অবশ্যই করবেন।
তাছাড়া আর্টিকেলের সাথে জড়িত কোন প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই নিচে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।
অবশ্যই পড়ুন –
খুব সুন্দর পোষ্ট। নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার ক্ষেত্রে এটি খুবই উপকারী একটি পোষ্ট। ধন্যবাদ আপনাকে।
মূল্যবান মতামত কমেন্ট করে জানানোর জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।