পরিবেশ দূষণ ও তার প্রতিকার রচনা

আজকে আমরা জানবো পরিবেশ দূষণ ও তার প্রতিকার রচনা (Essay on environmental pollution and its remedies) । প্রায় সকল শ্রেণির  (2-10পর্যন্ত)।  নিচে গুরুত্বপূর্ণ পরিবেশ দূষণ ও তার প্রতিকার রচনা  ৪টি   রচনা দেওয়া হলো:

পরিবেশ দূষণ ও তার প্রতিকার রচনা
Essay on environmental pollution and its remedies

পরিবেশ দূষণ ও তার প্রতিকার রচনা

Class 2-3

ভূমিকা :  অনুকূল পরিবেশ মানুষের জীবন ও অস্তিত্বের জন্য অপরিহার্য। আমাদের চারপাশে যা কিছু রয়েছে যেমন- রাস্তাঘাট, নদী-নালা, নর্দমা-পুকুর, গাছপালা, গোচারণ ক্ষেত্র সবই পরিবেশের অপরিহার্য উপাদান। নানা কারণে এ উপাদানগুলো দূষিত হয়ে থাকে। যার ফলে মানবজীবন হুমকির সম্মুখীন হয়। মানবজীবনে পরিবেশের প্রভাব, গুরুত্ব ও অবদান অপরিসীম।

পরিবেশ কী : পারিপার্শ্বিক অবস্থাকে বলা হয় পরিবেশ। ইংরেজিতে যাকে Environment বলে তাকেই বাংলায় পরিবেশ বলে।

পরিবেশদূষণ শুরু : মানবসভ্যতার বিকাশের সাথে সাথে পরিবেশ দূষণের শুরু। এক সময় মানুষ আগুনের ব্যবহার শিখল। বন কেটে গৃহ নির্মাণ করল। সেই সাথে সভ্যতার বিচিত্র বিকাশের প্রতিক্রিয়ায় পরিবেশ হতে থাকল দূষিত। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নে শুরু হলো নতুন যুগেরও নতুন সভ্যতার। শুরু হলো নগর জীবনের। গড়ে ওঠল অসংখ্য কারখানা, যানবাহনের প্রাচুর্য দেখা দিল পথে পথে। সবুজ বিপ্লব ঘটাতে এল কীটনাশক। আণবিক ও পারমাণবিক বোমার তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে গেল আকাশে-বাতাসে। ফলে পরিবেশ দূষণ দেখা দিল ব্যাপকভাবে।

দূষণের প্রতিক্রিয়া : পৃথিবীর অধিবাসীরা নিজেদের কার্যকলাপের দ্বারা প্রতিনিয়ত পরিবেশ দূষিত করে চলেছে। এতে এই গ্রন্থে জীবজগতের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে উঠেছে। ব্যাপক হারে, বৃক্ষ নিধন, বনাঞ্চল উজাড় করা ইত্যাদি নানা কারণে দেখা দিয়েছে “গ্রিন হাউজ প্রতিক্রিয়া। ধোয়া, ধুলা, বালি, কীটনাশক, তেজস্ক্রিয় পদার্থ প্রভৃতি বায়ু দূষণের প্রধান কারণ। তেলের দহনজাত ধোয়া থেকে সালফার ডাই-অক্সাইড, যানবাহনের ধোঁয়া থেকে বেক্লাপাইরিন-হাঁপানি ও ফুসফুসের রোগের কারণ।

পরিবেশ দূষণের ফল : পরিবেশদূষণের জন্য ঝড়, বন্যা, খরা, অনাবৃষ্টি প্রভৃতি হচ্ছে দায়ী। গাছপালার সঙ্গে বৃষ্টির একটা প্রাকৃতিক যোগসূত্র রয়েছে। কাজেই গাছপালা কমে আসার সঙ্গে সঙ্গেবৃষ্টিপাত কমে এসেছে।

প্রতিকার  প্রতিরোধ: পরিবেশদূষণে মানুষের স্বাস্থ্যহানি, রোগ,শোক, অর্থ ও সম্পদের অপচয় ইত্যাদি যেসব ক্ষতি সাধিত হয় তা থেকে মানুষকে অবশ্যই রক্ষা করতে হবে। প্রকৃতির মধ্যে ভারসাম্য রক্ষার পথ বের করতে হবে। এর জন্য নানা পদ্ধতি প্রয়োগ করা যেতে পারে। পৃথিবীর পরিবেশদূষণের ফলে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছিল তার প্রেক্ষিতে দূষণ রোধ করার প্রচেষ্টা চলে। এর জন্য বিভিন্ন দেশে প্রতিরোধ আইন হয়েছে। বাংলাদেশেও নতুন আইনের মাধ্যমে জেল, জরিমানা ইত্যাদির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। প্রতি বছর ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালন করা হয়।

উপসংহার : পরিবেশ সংরক্ষণের দায়িত্ব কেবল সরকার বা কোন সংস্থা বা ব্যক্তি-বিশেষের নয়, এ দায়িত্ব প্রতিটি ব্যক্তির।তাই পরিবেশ দূষণের বিপদ সম্পর্কে প্রতিটি মানুষকে সচেতন করে তুলতে হবে। এ পৃথিবী, এদেশকে সব দিক থেকে বাসযোগ্য রাখা আমাদের সবার দায়িত্ব। এ দায়িত্ব আমরা প্রত্যেকে যদি পালন না করি, তবে এ পৃথিবীকে বাঁচানো কঠিন হয়ে পড়বে।

রচনা লেখার নিয়ম | প্রবন্ধ রচনা লেখার সঠিক নিয়মাবলী

পরিবেশ দূষণ রচনা

পরিবেশ দূষণ ও তার প্রতিকার রচনা
পরিবেশ দূষণ Environment pollution

পরিবেশ দূষণ ও তার প্রতিকার রচনা

Class 4-5

ভূমিকা : পৃথিবী নামক গ্রহটিকে যে আলো-বাতাস-পানি-গাছপালা ঘিরে রয়েছে তাই তার প্রকৃতি। এ প্রকৃতির সবচেয়ে সুবিধাভোগী হলো মানুষ বলা হয়ে থাকে, মানুষ পরিবেশের সৃষ্টি। মানুষ তার প্রতিভা, পরিশ্রম আর দক্ষতা দিয়ে আবিষ্কার করেছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিভিন্ন অনুষঙ্গ। অধিগত করেছে জীবন-বিকাশের নানা উপকরণ। তাই দিয়ে সে তার নিজের প্রয়োজন ও রুচি অনুযায়ী তৈরি করেছে তার পরিবেশ। এ পরিবেশের মধ্যেই তার বিকাশ, তার বিনাশের ইঙ্গিত। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বিজ্ঞানের বিজয়গৌরবে মোহান্ধ মানুষ পৃথিবীর পরিবেশকে বিষাক্ত করেছে । চারদিকে ছড়িয়ে দিয়েছে ক্ষতিকর সব আবর্জনা । তার ফল হয়েছে বিষময়। পরিবেশ দূষিত হয়েছে। আর দূষিত পরিবেশ প্রাকৃতিক ভারসাম্য বিনষ্ট করছে। তাই গোটা জীবজগতের অস্তিত্বই আজ বিপন্ন।

পরিবেশ দূষণের কারণ : পরিবেশ দূষণের নানাবিধ কারণ রয়ে এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো-  জনসংখ্যা বৃদ্ধি , সম্পদের বিনষ্টিকরণ,  মাটি দূষণ ,  পানিদূষণ,  শব্দদূষণ ইত্যাদি।

জনসংখ্যা বৃদ্ধি : ম্যালথাসের  তত্ত্ব অনুযায়ী, জনসংখ্যার অস্বাভাবিক বৃদ্ধির পাশাপাশি পর্যাপ্ত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না থাকায় প্রকৃতিতে ভারসাম্যহীন অবস্থার সৃষ্টি হয়। জনসংখ্যা বৃদ্ধি  পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। কারণ অপরিকল্পিতভাবে দিন দিন জনসংখ্যা বেড়ে চললে বাসস্থান, খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা এবং চিকিৎসাক্ষেত্রে সংকট দেখা দেয়। ফলে পরিবেশ দূষিত হয়। সমাজবিজ্ঞানীদের মতে, শুধু রাজধানীর নগরজীবনই নয়— গোটা বাংলাদেশের পরিবারকেন্দ্রিক সমাজ জীবন এক বিপর্যয়ের প্রতিক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।

বনজ সম্পদের বিনষ্টিকরণ:  আমাদের প্রাকৃতিক অন্যতম  সম্ভার হলো গাছপালা। বনজ সম্পদ মানব্জাতির প্রয়োজনীয় তা অপরিসীম। কিন্তু মানুষ বাচার পথ খুঁজতে গিয়ে মানুষ প্রকৃতি ও পরিবেশের ওপর নির্মম হস্তক্ষেপ করছে। পৃথিবীর সর্বত্রই বনজ সম্পদ ধ্বংসের তাণ্ডবলীলা চলছে। উন্নত বিশ্বের অধিবাসীরা আরামে থাকার জন্য ওজোন স্তরের বিরাট ক্ষতিসাধন করছে, যা নিয়ে সারা বিশ্বই শঙ্কিত।

মাটি দূষণ :ভালো ও উন্নত জাতের ফসল ফলানোর জন্য ও কীটপতঙ্গের হাত থেকে ফসল রক্ষার জন্য কৃষকেরা অপরিকল্পিতভাবে এবং ব্যাপকহারে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করছে। ব্যাপকহারে এসব ব্যবহারের ফলে জীবজগৎ প্রাণিজগৎ এবং পরিবেশ দারুণ হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে।

পানিদূষণ : আমাদের দেশের অধিকাংশ শিল্পকারখানা ঘনবসতিপূর্ণ নগর  এছাড়াও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আধুনিক চটকল, কাপড় কল, কয়লা ধোলাই কল, চিনি কল, কাগজের কল, ভেষজ তেল তৈরির কারখানা, চামড়া পাকা করার কারখানা ইত্যাদি। এসব কল-কারখানার আবর্জনা প্রতিনিয়ত নদ-নদীকে দূষিত করছে।। এগুলোর অধিকাংশেরই দূষিত বর্জ্য শোধনের কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই বর্জ্যপদার্থ পাশের এলাকায় বা নদীর পানিতে ফেলা হয় যা এলাকার পরিবেশ ও নদীর পানি দূষিত করতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে।

শব্দদূষণ : শব্দদূষণ এ যুগের এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শহরে শব্দদূষণের মাত্রা সর্বাধিক। প্রতিনিয়তই এখানে মোটর গাড়ির হর্ন, কল-কারখানার বিকট আওয়াজ, বাজি-পটকার শব্দ, রেডিও-টেলিভিশনের শব্দ, লোকজনের চিৎকার-চেঁচামেচি, উৎসবের মত্ততা, মাইকে চড়া সুর, সব মিলে-মিশে অপস্বর সৃষ্টির এক মহাযজ্ঞ চলছে। শব্দ দূষণের পরিণাম ভয়াবহ। এর ফলে মানুষের শ্রবণ-ক্ষমতার বিলোপ ঘটে। মানসিক বিপর্যয় দেখা যায়, রক্তচাপ বেড়ে যায়। অনিদ্রা রোগের উদ্ভব হয়।

প্রতিকার :  পরিবেশ দূষণকে সহনীয় মাত্রায় রাখার জন্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। পরিবেশ দূষণের ভয়াবহতা সম্পর্কে গণমাধ্যমে প্রচার করতে হবে এবং গণসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। বনভূমি ধ্বংস কঠোরভাবে বন্ধ করতে হবে । দেশের মোট আয়তনের নূন্যতম ২৫% এলাকায় বনায়ন করতে হবে। জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে বাতাস, সৌর ও পানি বিদ্যুতের মতো পুনর্ব্যবহারযোগ্য জ্বালানির প্রচলন করতে হবে। শিল্প-কারখানা ও গৃহস্থালির বর্জ্য পরিশোধনের মাধ্যমে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে হবে। কৃষিতে রাসায়নিক সার ব্যবহার কমিয়ে জৈবসারের ব্যবহার বাড়াতে হবে। কীটনাশকের ব্যবহার কমাতে হবে এবং পরিবেশবান্ধব কৃষি ব্যবস্থা প্রণয়ন করতে হবে। পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধের কাজকে সামাজিক আন্দালনে রূপ দিতে হবে। এ ছাড়াও জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার রোধ ও শিক্ষার হার বাড়াতে হবে।

উপসংহার: পরিবেশ দূষণ সমস্যা নিয়ে আজ সকল দেশই চিন্তিত। মানবসভ্যতার অস্তিত্বই আজ সংকটের মুখোমুখি এসে দাঁড়িয়েছে ।আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশে এ সমস্যা আরও প্রকট। তবে জাতির স্বার্থে তার মোকাবেলা প্রয়োজন।

পরিবেশ দূষণ ও তার প্রতিকার রচনা

পরিবেশ দূষণ ও তার প্রতিকার রচনা

class7- 8

ভূমিকা: পরিবেশ দূষণ বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান  সমস্যা । নির্মল বাতাস, বিশুদ্ধ পানি ও পর্যাপ্ত খাদ্য সুস্থ ও সুন্দরভাবে মানুষকে বাঁচতে সহায়তা করে। কিন্তু ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপে ও ভোগবিলাসের জন্যে উপকরণ তৈরি করতে গিয়ে মানুষ ইচ্ছেমত প্রকৃতি ধ্বংস করছে। মানুষের হাতে দূষিত হচ্ছে জীবনের অপরিহার্য উপাদান পানি ও বায়ু। পরিবেশ দূষণের মারাত্মক সমস্যা মানুষের জীবনকে ঠেলে দিয়েছে হুমকির মুখে। আজ পরিবেশ দূষণ নিয়ে উদ্বিগ্ন বিশ্বের সকল পরিবেশ বিজ্ঞানী।

পরিবেশ দূষণের কারণ: অষ্টাদশ শতাব্দীতে বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার  ছিল  স্থীর। জনসংখ্যা বৃদ্ধি পরিবেশ দূষণের অন্যতম কারণ। জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে প্রাকৃতিক সম্পদ – জল-মাটি-বায়ুর ওপর পড়েছে প্রচণ্ড চাহিদার চাপ। শুরু হয়েছে বনসম্পদ বিনষ্টের অমিত উল্লাস। একই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উদ্ভিদজগৎ ও প্রাণিজগৎ। অক্সিজেনের প্রধান উৎস গাছপালা। যে জায়গায় গাছপালা নেই, সে জায়গায় জনপ্রাণীও নেই। বর্তমানে প্রকৃতি ও পরিবেশের ভারসাম্য এসে পৌঁছেছে এক সংকটজনক অবস্থায়। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ক্রমবর্ধমান হারে শক্তি উৎপাদনের চাহিদা। শক্তি উৎপাদনের সঙ্গে সঙ্গে নির্গত হয় মানুষের স্বাস্থ্য ও পরিবেশ দূষক নানা উপজাত দ্রব্য। এতে বায়ু, জল, খাদ্যদ্রব্য মারাত্মকভাবে দূষিত হচ্ছে। এসব উপজাত দ্রব্যই নানাবিধ দুরারোগ্য ব্যাধির দ্রুত প্রসারণের কারণ।

শিল্প-কারখানার বর্জ্য, গাড়ির বিষাক্ত ধোঁয়া বাতাসের সাথে মিশে সৃষ্টি করছে বায়ু দূষণ। তা ছাড়া এর ফলে বাতাসের অতি প্রয়োজনীয় ওজোন স্তরে ধরেছে ফাটল, ফলে পৃথিবী ক্রমেই হয়ে উঠছে উত্তপ্ত। মানুষ তার গৃহনির্মাণ, শিল্প- কারখানার কাঁচামাল ও জ্বালানি কাঠের প্রয়োজনে প্রতিদিন উজাড় করছে বনভূমি। এতে বাতাসে অক্সিজেন কমছে। বাড়ছে কার্বন-ডাই-অক্সাইড। ফলে বৃষ্টিপাত হ্রাস পাচ্ছে। পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে ও হিমবাহের বরফ গলে উঁচু হয়ে উঠছে সাগরের পানি।

পরিবেশ দূষণ সমস্যা ও বাংলাদেশ: সীমিত ভূখণ্ড ও সম্পদ এবং অতি ঘন জনবসতি ও দুর্যোগপ্রবণ ভৌগোলিক অবস্থান বাংলাদেশের মানুষকে বার বার বিপর্যস্ত করেছে। বাংলাদেশের পরিবেশ দূষণের উল্লেখযোগ্য কারণগুলো হলো:

১. জনবিস্ফোরণ; জনসংখ্যা বৃদ্ধির চাপে বাংলাদেশে মুক্তাঞ্চল, জলাভূমি ও বনভূমির পরিমাণ কমছে। নষ্ট হচ্ছে প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য।

২. মাটি দূষণ : জনসংখ্যার চাপে উৎপাদন বাড়াতে গিয়ে জমিতে ব্যাপক হারে সার ও কীটনাশক ব্যবহৃত হচ্ছে। এতে মাটির দূষণ ঘটছে। রাসায়নিক উপাদান বৃষ্টিতে ধুয়ে নদী ও জলাশয়ে মিশে গিয়ে পানি দূষিত হচ্ছে।

৩. শিল্প দূষণ: নদীর তীরে অবস্থিত কলকারখানা থেকে নিঃসৃত তরল রাসায়নিক বর্জ্য পানিকে দূষিত করছে। কলকারখানার নির্গত ধোঁয়া বায়ুমণ্ডলকে দূষিত করছে।

৪. বন উজাড়করণ: জনসংখ্যা বৃদ্ধির চাপে প্রতি বছর বনভূমি উজাড় হচ্ছে। ফলে ভূমিক্ষয়ের মাত্রা বাড়ছে, বন্যা প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে এবং দেশের গড় তাপমাত্রা বাড়ছে।

৫. ডিপ টিউবওয়েল স্থাপন: ডিপ টিউবওয়েল স্থাপন ও ব্যবহারের ফলে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে চলে যাচ্ছে। এর ফলে শুষ্ক মৌসুমে পানির সংকট বাড়ছে।

৬. ভূমির অপর্যাপ্ততা: পাহাড় কেটে বসতবাড়ি তৈরি করায় প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। শহরের বিপুল মানুষের চাপে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে।

পরিবেশ দূষণের প্রতিক্রিয়া: মানুষ যেসব জিনিস ব্যবহার করে তার পরিত্যাক্ত বিষাক্ত পদার্থই দূষণের সৃষ্টি করে। বাতাস, পানি ও শব্দ- এ তিন শ্রেণিতে দূষণকে ভাগ করা চলে। বাতাসে জীবনের অস্তিত্বের ক্ষতিকর পদার্থের মাত্রা বেশি হলে তাকে বলে বায়ুদূষণ।বিভিন্ন কারণে বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইড, মিথেইন, নাইট্রাস অক্সাইড এবং ক্লোরোফ্লোরো কার্বন গ্যাস বেড়ে যাবার ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে, বরফ গলার পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে, ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে। যার প্রতিক্রিয়ায় বহু শহর-নগর, দ্বীপ, নিম্নাঞ্চল, পানিতে তলিয়ে যাবে। তাছাড়া খরা, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, ঝড়, ঘূর্ণিঝড় ইত্যাদি ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে। পরিবেশ বিপর্যয়ের ফলে ইতোমধ্যে পৃথিবী থেকে ৭৬ রকমের প্রাণী ও কয়েক হাজার গাছপালা বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। ১৩২ রকমের স্তন্যপায়ী প্রাণী ও ২৬ রকমের প্রজাতির পাখির বংশ বিলুপ্তির পথে। বহু সমতলভূমি মরুভূমিতে পরিণত হচ্ছে। যানবাহন কলকারখানা থেকে প্রতিবছর ২০ কোটি টন কার্বন ডাই অক্সাইড, ১৫ কোটি টন সালফার ডাই অক্সাইড, ৫ কোটি টন হাইড্রো কার্বন ও অন্যান্য গ্যাস নির্গত হয়ে বাতাসে জমা হচ্ছে।

প্রতিকার: দূষণের ভয়াবহ পরিণামের কথা ভেবে বিশ্বের সভ্যমানুষ আজ আতঙ্কিত। কী উপায়ে এ ভয়ংকর সমস্যার মোকাবিলা সম্ভব তা নিয়ে ভাবনা, পরিকল্পনার শেষ নেই। এ ব্যাপারে গণচেতনা বৃদ্ধির জন্য প্রচারমাধ্যম ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে। তাছাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সব স্তরে পরিবেশ শিক্ষা কর্মসূচির কথাও বিবেচনা করা যেতে পারে । তাহলেই আমরা পরিবেশকে দূষণমুক্ত রাখতে সক্ষম হব।

উপসংহার: পরিবেশ সংরক্ষণের দায়িত্ব কেবল সরকার বা কোন সংস্থা বা ব্যক্তি-বিশেষের নয়, এ দায়িত্ব প্রতিটি ব্যক্তির। এ ব্যাপারে সারা বিশ্বের মানুষের সচেতনতা দরকার।মানবসভ্যতার অস্তিত্বই আজ সংকটের মুখোমুখি এসে দাঁড়িয়েছে।তাই পরিবেশ দূষণের বিপদ সম্পর্কে প্রতিটি মানুষকে সচেতন করে তুলতে হবে। এ পৃথিবী, এদেশকে সব দিক থেকে বাসযোগ্য রাখা আমাদের সবার দায়িত্ব। এ দায়িত্ব আমরা প্রত্যেকে যদি পালন না করি, তবে এ পৃথিবীকে বাঁচানো কঠিন হয়ে পড়বে।

 

পরিবেশ দূষণ ও তার প্রতিকার রচনা

Class 9-10

ভূমিকা: প্রাণের বিকাশের মতো পরিবেশের সম্পর্ক অত্যন্ত নিধিত্ব । কারণ পরিবেশ মানুরে জীবনের বিকাশকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে। পৃথিবীতে জীবনের অস্তিত্বের জন্য প্রথম ও প্রধান পূর্বশর্ত হচ্ছে সুখতা। কিন্তু বেঁচে থাকার জন্য যে সুস্থতার প্রয়োজন পরিবেশ ক্রমেই তা হারিয়ে ফেলছে। চারদিকে ছড়িয়ে দিয়েছে ক্ষতিকর সব আবর্জনা । তার ফল হয়েছে বিষময়। পরিবেশ দূষিত হয়েছে। আর দূষিত পরিবেশ প্রাকৃতিক ভারসাম্য বিনষ্ট করছে। তাই গোটা জীবজগতের অস্তিত্বই আজ বিপন্ন। 

পরিবেশ দূষণের কারণ: পরিবেশ দূষণের অনেকগুলো কারণ রয়েছে। পরিবেশ দূষণের একটি বড় কারণ পৃথিবীতে ক্রমাগত জনসংখ্যার বৃদ্ধি। এর ফলে সীমিত প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর চাহিদার চাপ পড়েছে প্রচণ্ডভাবে। ক্রমবর্ধমান খাদ্যের চাহিদা মেটাতে ভূমিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে চাষাবাদের পরিমাণ, বাড়ছে কৃত্রিম সার ও কীটনাশকের ব্যবহার। এতে বিনষ্ট হচ্ছে চাষযোগ্য ভূমির প্রাকৃতিক শক্তি। রাসায়নিক শিল্প-কারখানা থেকে প্রতিদিন নদী, হ্রদ, সমুদ্রে মিশছে বিপুল পরিমাণ বিষাক্ত বর্জ্যদ্রব্য। আশপাশের পানি দূষিত হয়ে পড়ছে।

পরিবেশ দূষণের শ্রেণি: আমাদের পরিবেশ দূষণকারী অপদ্রব্যগুলো মোটামুটি দু ভাগে বিভক্ত। ১. প্রাকৃতিক ও ২. কৃত্রিম। প্রাকৃতিক দূষণের মধ্যে রয়েছে সীসা, পারদ, সালফার ডাই-অক্সাইড, কার্বন ডাই-অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড ইত্যাদি। এর মধ্যে কতকগুলো আবার আমাদের মল-মূত্র ও শরীরের পচন থেকে উৎপন্ন তার ওপর আছে কৃত্রিম দৃষকের সমস্যা। কৃত্রিম-দূষকের অন্তর্গত হলো নানা কীটনাশক, গুঁড়ো সাবান, ওষুধপত্র ও প্রসাধন সামগ্রী, এমনকি প্লাস্টিকও। এসব যৌগের কয়েকটি আমাদের পরিবেশে বহুদিন ধরে টিকে থাকে। রোদ, জল, বাতাস, জীবাণু এদের কোনো ক্ষতিই করতে পারে না। এ ধরনের যৌগ নিয়েই পরিবেশ-বিজ্ঞানীদের দুশ্চিন্তা বেশি। কেননা কিছুদিন আগেও পৃথিবীর বুকে এ ধরনের যৌগের অস্তিত্ব ছিল না ।

বায়ুদূষণ  নানা প্রতিক্রিয়া: দূষণের প্রকৃতি ও পদ্ধতির মধ্যেও রয়েছে বিভিন্নতা। আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদের অন্যতম সম্ভার হলো বায়ু। সেই বায়ু দূষণ আজ বিশ্বজুড়ে। মানুষের স্বাস্থ্যের পক্ষেও এ এক গুরুতর সমস্যা। ঝুল জাতীয় কার্বন কণা থেকে শুরু করে ভারী ধাতু, জটিল জৈব যৌগ নিউক্লীয় আবর্জনা, জীবাশ্ম জ্বালানি অর্থাৎ তেল, কয়লা ইত্যাদি পুড়িয়ে কার্বন ডাই-অক্সাইড বাতাসে ছড়িয়ে দেওয়া ক্লোরোফ্লুরোমিথেন, নাইট্রাস ‘অক্সাইড, রাসায়নিক ধোঁয়া ইত্যাদি সবই হলো বায়ু দূষণকারী দ্রব্য। বাতাসে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ নিয়ত বাড়ছে। এর ফলে পৃথিবীতে তাপমাত্রা ক্রমশই বেড়ে চলেছে। অকাল-বর্ষণ, খরা, ঝড়-ঝঞ্ঝা, কুয়াশা এরই ফলে। এরকম আবহাওয়ায় চাষবাস হয় অনিশ্চিত। কুয়াশা আর তেল, কয়লা দহনের ফলে নির্গত গ্যাসের মিশ্রণে ধোঁয়াশার সৃষ্টি। এর ক্ষতিকারক ক্ষমতা মারাত্মক। মাথাধরা, শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, দীর্ঘস্থায়ী ব্রংকাইটিস, ফুসফুস-ক্যান্সার এ জাতীয় দূষণের ফল। বিভিন্ন যানবাহনের নির্গত ধোঁয়া সূর্যের আলোর সংস্পর্শে এসে তৈরি করে আলোক রাসায়নিক ধোঁয়া। অক্সাইড ও হাইড্রো কার্বনের বিক্রিয়ায় আরও কিছু বায়ু দূষকের সৃষ্টি হয়। ওজোন গ্যাস ও পারক্সি-অ্যাসিটালনাইট্রেট তাদের মধ্যে অন্যতম। এতে তরিতরকারি ও শস্যের ক্ষতির পরিমাণ মারাত্মক। এ ছাড়া আরও এক ধরনের বায়ুদূষক আবহাওয়ায় ছড়িয়ে থাকে। ওগুলো হলো বাতাসে ভেসে বেড়ানো জীবাণু। অ্যালার্জিজনিত রোগে ওইসব জীবাণুর ভূমিকা অনেক।

পানি দূষণ: পানিদূষণ আধুনিক সভ্যতার আর এক অভিশাপ। পৃথিবীর সমুদ্র, নদনদী, পুকুর, খালবিল ইত্যাদির পানি নানাভাবে দূষিত হচ্ছে। ভারী ধাতু, হ্যালোজেন নিষিক্ত হাইড্রোকার্বন, কার্বন ডাই-অক্সাইড, পেট্রোলিয়াম, কৃত্রিম তেজস্ক্রিয় পদার্থ, সর্বোপরি সংলগ্ন শহরের নির্গমন নালা বেয়ে আসা দূষিত তরল আবর্জনা— এগুলোই পানি দূষণের প্রধান উপকরণ। তা ছাড়া পারিপার্শ্বিক আবহাওয়ার পরিবর্তনেও সমুদ্রের দূষণ হচ্ছে। নদীর তীরে গড়ে উঠেছে সমৃদ্ধ ঘন বসতিপূর্ণ জনপদ, শহর।

পুকুর, খালবিল দূষণের জন্য নালা-নর্দমা, ঘর-বাড়ির আবর্জনা ইত্যাদি দায়ী। এর থেকেই দূষিত হয় মাটি, দূষিত হয় পানীয়জল সমুদ্র, নদী, খাল- বিল, পুকুরের মাছেও নানারূপ দূষণ ছড়িয়ে পড়ছে। বিস্তার লাভ করছে নানারকমের সংক্রামক রোগ। মাঝে মাঝে তা মহামারির আকার ধারণ করে। মৃত্যু এসে ছিনিয়ে নিয়ে যায় কত জীবন । এমনি করেই দিনের পর দিন জনস্বাস্থ্য বিনষ্ট হচ্ছে।

শব্দদূষণ:শব্দদূষণের জন্যও পরিবেশ দূষিত হয়। শহরে শব্দদূষণের মাত্রা সর্বাধিক। কলকারখানার বিকট আওয়াজ; যানবাহনের হর্ন, রেডিও, টিভি, ভিসিআর, ক্যাসেট প্লেয়ারের বিকট শব্দ, উৎসবের মত্ততা; মাইকের চড়া আওয়াজ ইত্যাদি শব্দও পরিবেশ দূষণের কারণ। শব্দদূষণের ফলে মানুষের শ্রবণ ক্ষমতা লোপ পায়। মানসিক বিপর্যয় দেখা দেয়। রক্তচাপ বেড়ে যায়। হৃৎস্পন্দন বৃদ্ধি ও স্নায়বিক অস্থিরতাও শব্দ দূষণের পরিণাম। শব্দের ২০ থেকে ৪০ ডেসিবেল পর্যন্ত মাত্রা হলো স্বাভাবিক। ঢাকায় এখন শব্দের পরিমাণ ৬০ থেকে ৬৫ ডেসিবেল, কোথাও কোথাও ৮০ ডেসিবেল।

তেজস্ক্রিয় দূষণ: আয়নকারী বিকিরণ শক্তির এক ক্ষমতাশালী উৎস। সায়ানাইড বা অন্যান্য বিকারকের তুলনায় এর তাপশক্তি দশ কোটি গুণ তীব্র। পারমাণবিক যুদ্ধ, পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যে তেজস্ক্রিয় দূষণের বিপদ সবচেয়ে বেশি নিহিত। ১৯৬৩-তে একটি মার্কিন নিউক্লীয় সাবমেরিন আটলান্টিক সাগরে হারিয়ে যায়। তা থেকে প্রচুর পরিমাণে তেজস্ক্রিয় পদার্থ ছড়িয়ে পড়ে প্রাকৃতিক পরিবেশে। নিউক্লীয় জ্বালানি উৎপাদনকেন্দ্রের আবর্জনা তার ক্ষতিকারক ক্ষমতা নিয়ে ৬০০ বছর টিকে থাকতে পারে। প্লুটোনিয়ামের অর্ধ আয়ু ২৪,৩৬০ বছর এবং তার ক্ষতি করার ক্ষমতা ওই অর্ধ আয়ুর কয়েক গুণ সময় পর্যন্ত বজায় থাকে।

দূষণের প্রতিকার:পরিবেশকে দূষণমুক্ত রাখতে হলে আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা দরকার। এজন্য পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ বিভাগকে (ডিইপিসি) আরও শক্তিশালী করা দরকার এবং প্রস্তাবিত পরিবেশ বিভাগের আওতায় পরিবেশগত ও প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাকে জোরদার করা দরকার।বায়ু দূষণের প্রতিকারের জন্য গ্রহণ করা হয়েছে কল-কারখানার দহন-প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে নির্গত দূষকের পরিমাণ কমানোর ব্যবস্থা। নির্দিষ্ট এলাকায় যাতে দূষণের প্রভাব ঘনীভূত না হয় তার জন্য দৃষকগুলোকে আরও বড় এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে, দহনে উৎপন্ন গ্যাসে অতিরিক্ত কোনো পদার্থ মিশিয়ে দেওয়ার, যাতে নির্গত হওয়ার আগেই কোনো কোনো দূষক অপসারিত হতে পারে । তাছাড়া গ্রহণ করা হয়েছে বৃক্ষরোপণ পরিকল্পনা। দূষণ প্রতিরোধী উদ্ভিদের সংখ্যা বাড়ানো খুবই জরুরি। সমুদ্র দূষণের প্রতিকারের জন্য প্রয়োজন বিভিন্ন উপদ্বীপ ও উপকূল অঞ্চলে সমুদ্র দূষণের পরিমাণ নিয়মিত পরিমাপ করা, প্রয়োজন সেসব এলাকায় দূষণবিরোধী বিধি-নিষেধ কার্যকর করা। দূষিত পানিকে পানযোগ্য করে তুলতে হলে উপযুক্ত পরিগ্রাবণ দরকার। শব্দদূষণের কুপ্রভাব কমানোর প্রধান উপায় হলো, কানে তুলো ব্যবহার কিংবা শব্দ-বিরোধী কক্ষের ব্যবহার। প্রযুক্তিবিদ্যার সাম্প্রতিক অগ্রগতিতে এমন কতকগুলো পদ্ধতির উদ্ভাবন হয়েছে, যাতে পরমাণু চুল্লির আবর্জনা-নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হচ্ছে। এর ফলে হয়তো নিউক্লীয় বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উপজাত দ্রব্যে কোনো তেজস্ক্রিয়তা থাকবে না ।

উপসংহার: পরিবেশদূষণ মানবজাতির জন্য এক মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। পরিবেশ সংরক্ষণের দায়িত্ব কেবল সরকার বা কোন সংস্থা বা ব্যক্তি-বিশেষের নয়, এ দায়িত্ব প্রতিটি ব্যক্তির।এ ব্যাপারে সারা বিশ্বের মানুষের সচেতনতা দরকার।মানবসভ্যতার অস্তিত্বই আজ সংকটের মুখোমুখি এসে দাঁড়িয়েছে। তাই ১৯৭২ সালে ‘মানুষের পরিবেশ’ নিয়ে সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের অধিবেশন হয় স্টকহোম-এ। ১৯৯২ সালে ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে অনুষ্ঠিত হয় বারো দিনব্যাপী ধরিত্রী সম্মেলন। আমাদের দেশেও প্রতিবছর ৫ই জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবসরূপে পালিত হচ্ছে। ২০০১ সালে সুইজারল্যান্ডের জেনেভাতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বিশ্ব পরিবেশ সম্মেলন। ২০০৯ সালের কোপেনহেগেন জলবায়ু সম্মেলন ব্যর্থ হয়ে যাওয়ার পর ২০১৪ সালে পেরুর লিমায় বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। আজ পরিবেশ দূষণ মানবসভ্যতার এক ভয়ংকর বিপদ। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ পৃথিবী গড়ে তোলার লক্ষ্যে যে কোনো মূল্যে পরিবেশ দূষণ রোধ করার প্রয়োজন অনস্বীকার্য। 

 

আশা করি আপনি আপনার কাংখিত রচনাটি পেয়ে গেছেন।পরিবেশ দূষণ ও তার প্রতিকার রচনা ছাড়াও নিচে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি রচনা দেওয়া হলো।

আরও জানুন :

স্বাধীনতা দিবস রচনা class 2- 10

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ রচনা – (আমাদের মুক্তিযুদ্ধ)

বিজয় দিবস রচনা / মহান বিজয় দিবস / ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস

মোবাইল ফোন রচনা – (Mobile ফনেEssay in Bengali)

শিক্ষা বিস্তারে গণমাধ্যমের ভূমিকা রচনা

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী রচনা –(মুজিববর্ষ)

কম্পিউটার রচনা : Essay on Computer in বেংাল

ডিজিটাল বাংলাদেশ রচনা: Digital Bangladesh Essay

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *