পর্যায় সারণি প্রশ্ন জ্ঞানমূলক ও অনুধাবনমূলক
আজকের আর্টিকেলে আমরা জানবো class 9-10 এর পর্যায় সারণি প্রশ্ন জ্ঞানমূলক ও অনুধাবনমূলক ।
পর্যায় সারণি প্রশ্ন
পর্যায় সারণি প্রশ্ন জ্ঞানমূলক :

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন-পর্যায় সারণির মূল ভিত্তি কি
উত্তর :পর্যায় সারণির মূল ভিত্তি ইলেকট্রন বিন্যাস
প্রশ্ন-১. IUPAC কী?
উত্তর: IUPAC একটি আন্তর্জাতিক রসায়ন ও ফলিত রসায়ন সংস্থা।
প্রশ্ন-২. ক্ষার ধাতু কী?( ক. বো. ১৫)
উত্তর: পর্যায় সারণিতে গ্রুপ-1-এ অবস্থিত মৌলসমূহকে ক্ষারধাতু বলা হয়।
প্রশ্ন-৩. আয়নীকরণ শক্তি কাকে বলে?
উত্তর: গ্যাসীয় অবস্থায় কোনো মৌলের একমোল বিছিন্ন পরমাণু থেকে সবচেয়ে শিথিলভাবে যুক্ত একমোল ইলেকট্রনকে অসীম দূরত্বে সরিয়ে নিতে যে পরিমাণ শক্তির প্রয়োজন হয় তাকে সে মৌলের আয়নীকরণ শক্তি বলে।
প্রশ্ন-৪. পর্যায়বৃত্ত ধর্ম কাকে বলে?
উত্তর: মৌলসমূহের কতিপয় ধর্ম পর্যায়ক্রমে পরিবর্তিত হয়, তাদেরে পর্যায়বৃত্তিক ধর্ম বলা হয় ।
প্রশ্ন-৫. তড়িৎ ঋণাত্মকতা কী?
উত্তর: কোনো মৌলের অণুতে পরমাণু কর্তৃক শেয়ারকৃত ইলেকট্রনযুগলে নিজের দিকে আকর্ষণ করার তুলনামূলক ক্ষমতাকে সেই মৌলের তড়িৎ ঋণাত্মকতা বলা হয় ।
প্রশ্ন-৬. পর্যায় সারণির অষ্টক তত্ত্বটি লেখো। (রা. বো. ১৬)
উত্তর: “মৌলগুলোকে তাদের পারমাণবিক ভর অনুযায়ী সাজালে প্রতি অষ্টম মৌলসমূহের ধর্মের মিল দেখা যায়।” -এটাই অষ্টক তত্ত্ব ।
প্রশ্ন-৭. আধুনিক পর্যায় সূত্রটি লেখো। ( ক. বো. ১৬)
উত্তর: “মৌলসমূহের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মাবলী তাদের পারমাণবিক সংখ্যা অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে আবর্তিত হয়।”
প্রশ্ন-৮. ত্রয়ী সূত্র কাকে বলে?
উত্তর: পর্যায় সারণির ৩টি মৌলকে পারমাণবিক ভরের ক্রমাণুসারে পরপর সাজালে দেখা যায়, মাঝের মৌলটির পারমাণবিক ভর ১ম ও ৩য় মৌলের পারমাণবিক ভরের সমান বা কাছাকাছি, একে ডোবেরিনের ত্রয়ী সূত্র বলে ।
প্রশ্ন-৯. ইলেকট্রন আসক্তি কাকে বলে?
উত্তর: অসীম দূরত্ব হতে একমোল ইলেকট্রনকে কোনো মৌলের একমোল বিচ্ছিন্ন গ্যাসীয় পরমাণুতে যোগ করে এক মোল একক ঋণাত্মক চার্জযুক্ত আয়নে পরিণত করতে যে পরিমাণ শক্তি নির্গত হয়, তাকে সে মৌলের ইলেকট্রন আসক্তি বলে ।
প্রশ্ন-১০. অবস্থান্তর মৌল কী?
উত্তর: যে সব d-ব্লক মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাসে d অরবিটাল ইলেকট্রন দ্বারা অপূর্ণ অর্থাৎ d^1- d’^9 কাঠামো থাকে তাদেরকে বিশেষভাবে অবস্থান্তর মৌল বলে।
প্রশ্ন-১১. পর্যায় সারণি কী?
উত্তর: বিভিন্ন মৌলের মধ্যে ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মের মিল এবং এ সকল ধর্মের ক্রম পরিবর্তন দেখানোর জন্য মৌলসমূহকে যে সারণিতে সাজানো হয়েছে তাকে পর্যায় সারণি বলে।
প্রশ্ন-১২.অভিজাত ধাতু কাকে বলে?
উত্তর: সোনা, রূপা প্রভৃতি কম সক্রিয় ধাতুকে অভিজাত ধাতু বলে ।
প্রশ্ন-১৩. নিকৃষ্ট ধাতু কী?
উত্তর: লোহা, দস্তা, প্রভৃতি অধিক সক্রিয় ধাতুকে নিকৃষ্ট ধাতু বলে।
প্রশ্ন-১৪, ম্যান্ডেলিফের সংশোধিত পর্যায় সূত্রটি লেখো।
উত্তর: মৌলসমূহের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মাবলি তাদের পারমাণবিক সংখ্যা অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে আবর্তিত হয়।
প্রশ্ন-১৫. গ্রুপ সংখ্যা কাকে বলে?
উত্তর: পর্যায় সারণির খাড়া স্তম্ভগুলোকে গ্রুপ সংখ্যা বলে।
প্রশ্ন-১৬, মুদ্রা ধাতু কী?( দি. বো. ১৫)
উত্তর: যে সকল ধাতু মুদ্রা তৈরিতে ব্যবহৃত হয় তাদেরকে মুদ্রা ধাতু বলে।
প্রশ্ন-১৭. নিষ্ক্রিয় গ্যাস কাকে বলে? ( য.বো. ১৬)
উত্তর: পর্যায় সারণির গ্রুপ-18 তে অবস্থিত মৌলসমূহকে নিষ্ক্রিয় গ্যাস বলে ।
প্রশ্ন-১৮. হ্যালোজেন কী?( রা.ব.বো১৭;কু.বো১৫)
উত্তর: পর্যায় সারণির গ্রুপ-17 তে অবস্থিত মৌলসমূহকে এক হ্যালোজেন বলে।
প্রশ্ন-১৯. কোন গ্রুপের মৌলদের হ্যালোজেন বলা হয়? (চ. বো ১৭)
উত্তর: গ্রুপ-17 এর মৌলগুলোকে হ্যালোজেন বলা হয়
প্রশ্ন-২০. পর্যায় সারণির আনুভূমিক সারিগুলোকে কী বলে?
উত্তর : পর্যায় সারণির অনুভূমিক সারিগুলোকে পর্যায় (Period) বলে।
প্রশ্ন-২১. পর্যায় সারণিতে কয়টি গ্রুপ আছে?
উত্তর : পর্যায় সারণিতে ১৪টি গ্রুপ আছে।
প্রশ্ন-২২. কে সর্বপ্রথম পর্যায় সারণি তৈরি করেন?
উত্তর : রুশ বিজ্ঞানী মেন্ডেলিফ সর্বপ্রথম পর্যায় সারণি তৈরি করেন।
প্রশ্ন-২৩. পর্যায় সারণির উলম্ব রেখাগুলোকে কী বলা হয়?
উত্তর : পর্যায় উল্লম্ব রেখাগুলোকে গ্রুপ (group) বলে ।
প্রশ্ন-২৪. F,Cl, Br মৌলগুলো কোন গ্রুপে অবস্থিত?
উত্তর : F. Cl, Br মৌলগুলো ১৭ নং গ্রুপ (VIVA) তে অবস্থিত।
প্রশ্ন-২৫.ধাতুর অক্সাইডগুলো কোন প্রকৃতির?
উত্তর : ধাতুর অক্সাইডগুলো ক্ষারকীয় ।
প্রশ্ন-২৬. একই পর্যায়ের বাম থেকে ডানে মৌলের ধাতব ধর্মের কী পরিবর্তন হয়?
উত্তর : একই পর্যায়ে বাম থেকে ডানে মৌলের ধাতব ধর্ম হ্রাস পায়।
পর্যায় সারণি প্রশ্ন জ্ঞানমূলক ও অনুধাবনমূলক :
পর্যায় সারণি প্রশ্ন জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
১। মেন্ডেলিফের পর্যায় সূত্রটি লিখ। | (কু.বো ‘ ২১: রা.বো ‘১৯: সিবো’ ২১:২০, যবো ১৯)
উত্তর: মৌলসমূহের ভৌত ও রাসায়নিক বৃদ্ধির সাথে পর্যায়ক্রমে আবর্তিত হয় ।ধর্মাবলি তাদের পারমাণবিক।
২।মেন্ডেলিফের সংশোধিত পর্যায় সূত্রটি লিখ।
উত্তর: মৌলসমূহের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মাবলী তাদের পারমাণবিক সংখ্যা অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে আবর্তিত হয়।
৩। ল্যান্থানাইড সারির মৌল কাকে বলে?
উত্তর: পর্যায় সারণিতে পর্যায় 6 এর যে সকল মৌলের সর্বশেষ ইলেকট্রন উপস্তরে প্রবেশ করে তাদেরকে ল্যান্থানাইড সাবির মৌল বলে।
৪। আয়ন কাকে বলে?( য.বো ২১)
উত্তর: রাসায়নিক বিক্রিয়ার সময় যেসব পরমাণু বা পরমাণুগুচ্ছ (যৌগমূলক) এক বা একাধিক ইলেকট্রন গ্রহণ বা বর্জনের মাধ্যমে ধনাত্মক বা ঋণাত্মক আধানগ্রন্থ হয় তাদেরকে আয়ূন বলে।
৫। পর্যায় সারণি কাকে বলে? (চ.বো. ২১, দি.বো. ২১; ঢা.ৰো ২০)
উত্তর: পারমাণবিক সংখ্যার ক্রমানুসারে প্রায় একই ধরনের ধর্মবিশিষ্ট মৌলসমূহকে একই শ্রেণীভুক্ত করে, আবিষ্কৃত সব মৌলকে স্থান দিয়ে মৌলসমূহের যে সারণি তৈরি করা হয়, তাকে মৌলের পর্যায় সারণি বলা হয়।
৬। পর্যায় কাকে বলে?[চ.বো ২১ |
উত্তর: পর্যায় সারণির আনুভূমিক 7 টি সারিকে পর্যায় বলা হয় ।
৭। অষ্টক সূত্রটি বিবৃত কর ।অথবা, নিউল্যান্ডের অষ্টক সূত্রটি বিবৃত কর।(ব.বো. :২১; রা. বো. ১৬ সি.বো: ২১ |)
উত্তর: মৌলসমূহকে যদি পারমাণবিক ভরের ছোট থেকে বড় অনুযায়ী সাজানো যায় তবে যেকোনো একটি মৌলের ধর্ম তার অষ্টম মৌলের ধর্মের।অর্ধেক বা তার কাছাকাছি হয়, একে ডোবেরাইনারের ত্রয়ীসূত্র বলে ।
৯। আয়নিকরণ শক্তি কাকে বলে?অথবা, আয়নিকরণ শক্তি কী?[দি বো :২১; রা.বো : ২১ [দি.বো ২০]
উত্তর: গ্যাসীয় অবস্থায় কোনো মৌলের এক মোল গ্যাসীয় পরমাণু থেকে এক মোল ইলেকট্রন অপসারণ করে এক মোল ধনাত্মক আয়নে পরিণত করতে যে শক্তির প্রয়োজন হয়, তাকে ঐ মৌলের আয়নিকরণ শক্তি বলে ।
১০। আধুনিক পর্যায় সূত্রটি লেখ ।
উত্তর: “মৌল সমূহের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মাবলি তাদের পারমাণবিক সংখ্যা অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে আবর্তিত হয়।”
১১। মুদ্রা ধাতু কাকে বলে? অথবা, মুদ্রা ধাতু কি?(ঢা. বো ১৯, বা বো ১৯, যবো ২১,२०)
উত্তর: পর্যায় সারণিতে গ্রুপ-1। এ অবস্থিত তামা (Cu), রূপা (Ag) সোনা (Au) কে মুদ্রা ধাতু বলে।
১২। তড়িৎ ঋণাত্মকতা কাকে বলে?
উত্তর: সমযোজী বন্ধনীয় ইলেকট্রন যুগলকে কোনো পরমাণু কর্তৃক নিজের দিকে আকর্ষণ করার ক্ষমতাকে উক্ত পরমাণুর তড়িৎ ঋণাত্মকতা বলে ।
১৩। হ্যালোজেন কাকে বলে?
উত্তর: গ্রুপ-17 তে অবস্থিত 6টি মৌল যথা- ফ্লোরিন (F), ক্লোরিন (CI). ব্রোমিন (Br), আয়োডিন (I), অ্যাস্টাটিন (At) এবং টেনেসিন ( Ts) কে একত্রে হ্যালোজেন বলা হয়। হ্যালোজেন শব্দের অর্থ লবণ উৎপাদনকারী (salt maker) | হ্যালোজেন সমূহের মূল উৎস সামুদ্রিক লবণ।
১৪। পর্যায় সারণির কোন গ্রুপের মৌলকে নিষ্ক্রিয় গ্যাস বলা হয়?
উত্তর: পর্যায় সারণিতে গ্রুপ-18 তে অবস্থিত মৌলসমূহকে নিষ্ক্রিয় গ্যাস বলা হয়।
১৫। নিষ্ক্রিয় গ্যাস কাকে বলে?(য. বো. ১৬)
উত্তর: পর্যায় সারণিতে গ্রুপ-18 এ অবস্থিত মৌলসমূহকে নিষ্ক্রিয় গ্যাস বলে । এগুলো হলো- হিলিয়াম (He), নিয়ন (Ne), আর্গন (Ar), ক্রিপ্টন (Kr), জেনন (Xn), রেডন (Rn) ও ওগানেসন (Og)।
১৬। ক্ষার ধাতু কাকে বলে?[ব.বো. ১৫]
উত্তর: হাইড্রোজেন ব্যতিত পর্যায় সারণিতে গ্রুপ-1 এ অবস্থিত মৌলসমূহ যেমন- Li, Na, K, Rb, Cs এবং Fr কে ক্ষার ধাতু বলা হয় ।
১৭। 2012 সাল পর্যন্ত শনাক্তকৃত সর্বমোট মৌলের সংখ্যা কত?
উত্তর: 118 টি ।
১৮। ত্রয়ী সূত্রটি লিখ।
উত্তর: পর্যায় সারণির দুটি মৌলের পারমাণবিক ভরের গড় অন্য একটি মৌলের পারমাণবিক ভরের প্রায় সমান এবং মৌল তিনটির ধর্ম একইরকম।
১৯ । অপধাতু বলতে কী বুঝ?
উত্তর: যে সকল মৌল কোনো কোনো সময় ধাতুর মতো আচরণ করে এবং কোনো কোনো সময় অধাতুর মতো আচরণ করে তাদের অপধাতু বলে। উদাহরণ- সিলিকন, আর্সেনিক, বোরন ইত্যাদি।
২০। পর্যায় সারণিতে ৪র্থ পর্যায়ে কতটি মৌল আছে?
উত্তর: পর্যায় সারণিতে ৪র্থ পর্যায়ে 18টি মৌল আছে।
২১। IUPAC এর পূর্ণরূপ কী?
উত্তর: IUPAC এর পূর্ণরূপ হলো- International Union of Pure and Applied Chemistry
২২। কোন বিজ্ঞানী কত সালে সর্বপ্রথম পর্যায় সারণির তালিকা প্রকাশ করেন?
উত্তর: রুশ বিজ্ঞানী মেন্ডেলিফ (Dmitri | Mendeleev) 1869 সালে সর্বপ্রথম পর্যায় সারণির তালিকা প্রকাশ করেন।
২৩।পর্যায় সারণির জনক কে?
উত্তর : পর্যায় সারণির জনক মেন্ডেলিফ।
২৪।মুদ্রা ধাতু কাকে বলে?
উত্তর : পর্যায় সারণির গ্রুপ-১১ এর মৌলসমূহকে মুদ্রা ধাতু বলে।
২৫।অভিজাত ধাতু কাকে বলে?
উত্তর : যে সকল ধাতু রাসায়নিকভাবে নিস্ক্রিয় তাদেরকে অভিজাত ধাতু বলে। যেমন : রূপা।
২৬।ম্যাগনেসিয়াম পর্যায় সারণির কোন পর্যায়ে অবস্থিত?
উত্তর : তৃতীয় পর্যায়ে
২৭। মৃৎক্ষার ধাতুগুলো কতটি ইলেকট্রন ত্যাগ করে আয়নিক যৌগ গঠন করে?
উত্তর : ২টি
২৮. আধুনিক পর্যায় সূত্রটি লিখ।
উত্তর : মৌলিক পদার্থ এবং তাদের থেকে সৃষ্ট যৌগিক পদার্থসমূহের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মাবলি তাদের পারমাণবিক সংখ্যার বৃদ্ধির সঙ্গে পর্যায়ক্রমে আবর্তিত হয়।
পর্যায় সারণি প্রশ্ন জ্ঞানমূলক ও অনুধাবনমূলক
পর্যায় সারণি প্রশ্ন
পর্যায় সারণি প্রশ্ন অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর :
প্রশ্ন-১, Li ও Li^+ এর মধ্যে কোনটির আকার বড়? ব্যাখ্যা করো। (রা. বো ১৭)
উত্তর: Li এর পারমাণবিক সংখ্যা 3। এর ইলেকট্রন বিন্যাস হলো-
Li →1s^2 2s^1
Li এর ইলেকট্রন বিন্যাস দুটি শক্তিস্তরে বিদ্যমান। Li হতে একটি
ইলেকট্রন ত্যাগের ফলে Li^+আয়ন তৈরি হয়। তখন এর ইলেকট্রন বিন্যাস হয়-
Li→1s^2
Li- এতে একটি প্রধান শক্তিস্তর বিদ্যমান। যেহেতু Li এর প্রধান শক্তিস্তর দুটি ও Li ^+এর একটি, তাই Li ও Li এর মধ্যে Li এর পারমাণবিক আকার বড়।
প্রশ্ন-২. He কে গ্রুপ 2-এ রাখা হয়নি কেন ব্যাখ্যা করো। (ব. বো. ১৬)
উত্তর: গ্রুপ 2- মৌলের সর্বশেষ শক্তিস্তরে ২টি ইলেকট্রন থাকে। যোজ্যতাস্তরের এ ২টি ইলেকট্রন বর্জন করে স্থিতিশীলতা অর্জনের মাধ্যমে তারা রাসায়নিক বন্ধন গঠন করে। He এর সর্বশেষস্তরে ২টি ইলেকট্রন থাকা সত্ত্বেও তা দ্বিত্ব পূর্ণ। দ্বিত্ত্বপূর্ণ হওয়ার কারণে ইলেকট্রনদ্বয় ত্যাগ করা সম্ভব হয় না অর্থাৎ কোনো রাসায়নিক বন্ধনে অংশগ্রহণ করে না। এজন্য He কে গ্রুপ-2 রাখা যৌক্তিক না।
প্রশ্ন-৩. ক্লোরিনের তড়িৎ ঋণাত্মকতা ব্রোমিন অপেক্ষা বেশি কেন? ব্যাখ্যা করো। (ক. বো. ১৬)
উত্তর: সমযোজী বন্ধনে শেয়ারকৃত ইলেকট্রন যুগলকে কোনো মৌলের পরমাণু কর্তৃক নিজের দিকে আকর্ষণ করার ক্ষমতাকে এ পরমাণুর তড়িৎ ঋণাত্মকতা বলে। ক্লোরিনের আকার ব্রোমিন অপেক্ষা ছোট হওয়ায় বন্ধন ইলেকট্রনের উপর এর আকর্ষণ বেশি হয়। কারণ আকার ছোট হওয়ায় নিউক্লিয়াস হতে বন্ধন ইলেকট্রনের দূরত্ব হ্রাস পায়। তাই ক্লোরিনের তড়িৎঋণাত্মকতা 3.0 যেখানে ব্রোমিনের 2.8 ।
প্রশ্ন-৪. 18নং গ্রুপকে শূন্য গ্রুপ বলা হয় কেন?
উত্তর: পর্যায় সারণির সর্বশেষ 18 নং গ্রুপটিতে হিলিয়াম (He), নিয়ন (Ne) আর্গন (Ar), ক্রিপটন (Kr), জেনন (Xe) ও রেডন (Rn) প্রভৃতি মৌলগুলো অবস্থিত। এ সকল মৌলগুলোর সর্ববহিঃস্তরে ৮টি ইলেকট্রন বিদ্যমান অর্থাৎ এদের অষ্টকপূর্ণ। তাই এরা ইলেকট্রন গ্রহণ বা বর্জনের প্রবণতা দেখায় না। ফলে এদের যোজনী শূন্য। তাই পর্যায় সারণিতে এ সকল মৌলের 18 নং গ্রুপকে শূন্য গ্রুপ বলা হয় ।
প্রশ্ন-৫. নাইট্রোজেন এবং ক্লোরিন মৌল দুটির মধ্যে কোনটির আকার ছোট? ব্যাখ্যা করো। ( ক. বো. ১৭)
উত্তর: N ⇒ 1s^2 2s^2 2p^3
F ⇒ 1s^2 2s^2 2p^5
উপরোক্ত ইলেকট্রন বিন্যাসের আলোকে দেখা যাচ্ছে যে, নাইট্রোজেন ও ফ্লোরিন উভয়ই ২য় পর্যায়ের মৌল। নাইট্রোজেন মৌলের সর্বশেষ কক্ষপথে 5টি এবং ফ্লোরিনের সর্বশেষ কক্ষপথে 7টি ইলেকট্রন বিদ্যমান। তাই নিউক্লিয়াসের প্রতি ফ্লোরিন পরমাণুর ইলেকট্রনসমূহের আকর্ষণ নাইট্রোজেন পরমাণুর চেয়ে অধিক। ফ্লোরিন পরমাণুর নিউক্লিয়াসের প্রতি এই অধিকতর আকর্ষণের কারণে এর আকার হ্রাস পায়। তাই ফ্লোরিন মৌল আকারে নাইট্রোজেন অপেক্ষা ছোট।
প্রশ্ন-৬. পর্যায় সারণিতে হাইড্রোজেনের অবস্থান ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: হাইড্রোজেনকে পর্যায় সারণিতে গ্রুপ 1 এবং 17 তে স্থান দেওয়া যায়। হাইড্রোজেনের সর্ববহিস্থ স্তরে রয়েছে একটি ইলেকট্রন, তাই এটিকে গ্রুপ 1 তে অবস্থান দেয়া যায়। আবার এটি নিষ্ক্রিয় মৌল He এর আগের মৌল এবং গ্রুপ 17 মৌলসমূহের ন্যায় অধাতব বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করে। ফলে হাইড্রোজেনকে দুটি গ্রুপেই স্থান দেওয়ার পক্ষে যুক্তি রয়েছে।
প্রশ্ন-৭, অবস্থান্তর মৌল বলতে কী বোঝায়? (চ. বো, ১৬)
উত্তর: পর্যায় সারণিতে অবস্থিত গ্রুপ-৩ থেকে গ্রুপ-১১ পর্যন্ত মৌলসমূহকে অবস্থান্তর মৌল বলা হয়। এদের নিজস্ব বর্ণ রয়েছে। | এরা ধাতব পদার্থ প্রচুর ব্যবহৃত হয়। সর্ববহিঃস্থ শক্তিস্তরের ইলেকট্রন প্রদান করে এরা আয়নিক যৌগ গঠন করে ।
প্রশ্ন-৮. Ne মৌলটিকে 18 নং গ্রুপের মৌলদের সাথে স্থান দেয়া হয়েছে কেন? ব্যাখ্যা করো। (চ. বো. ১৭)
উত্তর: Ne মৌলের পারমাণবিক সংখ্যা 10। সুতরাং মৌলটির ইলেকট্রনবিন্যাস হলো :
Ne(10) = 1s^2 2s^2 2p^6
ইলেকট্রন বিন্যাস হতে দেখা যায়, মৌলটির সর্বেশেষ শক্তিস্তরে আটটি ইলেকট্রন আছে। পর্যায় সারণীতে যে সকল মৌলের সর্ববহিঃস্থ স্তর অষ্টকপূর্ণ তাদেরকে 18 নং গ্রুপে বা নিষ্ক্রিয় গ্যাসের সাথে এক সাথে রাখা হয়। আর এজন্যেই Ne মৌলকে 18 নং গ্রুপে স্থান দেওয়া হয়েছে।
প্রশ্ন-৯. সিলিকেনের ইলেকট্রন বিন্যাস করে পর্যায় সারণিতে তার অবস্থান নির্ণয় করো। (রা. বো. ১৬)
উত্তর: Si (14) ⇒ 1s^2 2s^2 2p^6 3s^2 3p^2
ইলেকট্রন থেকে দেখা যায় যে, সিলিকনের ইলেকট্রন বিন্যাসের জন্য প্রয়োজনীয় সর্বমোট কক্ষপথ সংখ্যা হল 3 । সুতরাং সিলিকন তৃতীয় পর্যায়ে অবস্থিত এবং যেহেতু ৩য় পর্যায়ে অবস্থিত তাই সর্ববহিঃস্থ শক্তিস্তরে উপস্থিত ইলেকট্রন সংখ্যার সাথে দশ যোগ করে গ্রুপ সংখ্যা হয় 14 ।
প্রশ্ন-১০. 17 নং গ্রুপের মৌলসমূহকে হ্যালোজেন মৌল বলা হয় কেন?
উত্তর: পর্যায় সারণির গ্রুপ 17-এ অবস্থিত মৌলসমূহ যথাক্রমে ফ্লোরিন (F), ক্লোরিন (CI), ব্রোমিন (Br), আয়োডিন (I) এবং অ্যাস্টাটিন (Ai)। হ্যালোজেন শব্দটির হ্যালোজ অর্থ সামুদ্রিক লবণ এবং জেনাস অর্থ উৎপাদন করা। অর্থাৎ হ্যালোজেন মানে সামুদ্রিক লবণ উৎপাদক। উল্লেখিত মৌলসমূহ সমুদ্রের পানিতে পাওয়া যায় এবং সমুদ্রের পানি থেকে এদের উৎপাদন করা হয় বলে এদেরকে হ্যালোজেন মৌল বলা হয়।
প্রশ্ন-১১, পটাসিয়ামকে ক্ষার ধাতু বলা হয় কেন? (রা. বো. ১৭, কু. বো. ১৬)
উত্তর: পটাশিয়াম পানির সাথে বিক্রিয়া করে KOH উৎপন্ন করে। KOH পানিতে সম্পূর্ণরূপে বিশ্লেষিত রূপে থাকে। বিক্রিয়া-
K+H2O→KOH
KOH → K^+(aq) + OH^- (aq)
উপরিউক্ত কারণে পটাসিয়ামকে ক্ষার ধাতু বলা হয়।
প্রশ্ন-১২, অষ্টক তত্ত্ব বলতে কী বোঝ?
উত্তর: 1864 সালে ইংরেজ বিজ্ঞানী জন নিউল্যান্ড মৌলসমূহকে তাদের পারমাণবিক ভর অনুযায়ী সাজায়ে দেখতে পান প্রতি অষ্টম মৌলের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মের পুনরাবৃত্তি ঘটে। এ সূত্র মতে পা, ভরের ক্রমানুসারে সজ্জিত Li তার পূর্ববর্তী ৮ম মৌল Na এবং পরবর্তী ৮ম মৌল K এর ধর্মের অনুরূপ। এ তত্ত্বটি অষ্টক তত্ত্ব নামে পরিচিত।
প্রশ্ন-১৩. পটাসিয়ামের তুলনায় সোডিয়ামের গলনাঙ্ক বেশি কেন?(রা., কু. বা., 19)
উত্তর: পর্যায় সারণির একই গ্রুপে পটাসিয়ামের (K) উপরে সোডিয়াম (Na) অবস্থিত। তাই K-এর তুলনায় Na এর আকার ছোট এবং ইলেকট্রন মেঘের ঘনত্ব বেশি। ইলেকট্রন ঘনত্ব বেশি হলে পরমাণুর অণুসমূহ পরস্পরের খুব কাছাকাছি থাকে এবং এর বন্ধন আকর্ষণও বেশি হয়। তাই পটাসিয়ামের তুলনায় সোডিয়ামের গলনাঙ্ক বেশি।
প্রশ্ন-১৬, X ও Y ধাতুদ্বয়কে গ্রুপ-2 তে অবস্থান দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: কোন মৌলের সর্ববহিঃস্থ শেলের ইলেকট্রনসংখ্যা অনুসারে তার গ্রুপ নির্ধারণ করা হয়। মৃৎক্ষার ধাতুসমূহের সর্ববহিস্থ স্তরে দুইটি
ইলেকট্রন থাকে। তাই এদেরকে গ্রুপ 2তে অবস্থান দেয়া হয়েছে।
প্রশ্ন-১৭. বিভিন্ন মৌলকে সারণিতে সাজানোর প্রয়োজন পড়ল কেন?
উত্তর : বিভিন্ন মৌলের ধর্মাবলীর মধ্যে যথেষ্ট সাদৃশ্য বিদ্যমান। একই ধর্ম বিশিষ্ট বিভিন্ন মৌলকে সম-শ্রেণীভূক্ত করলে, মৌলটির শ্রেণী জানলেই তার বিভিন্ন ধর্ম সম্পর্কে ধারণা করা সহজ হবে। তাই বিভিন্ন মৌলগুলোকে সারণিতে সাজানোর প্রয়োজন দেখা দেয় ।
প্রশ্ন-১৮. ফসফরাস মৌলের পর্যায় সারণিতে অবস্থান ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : কোন মৌলের সর্ববহিঃস্থ শেলের ইলেকট্রন সংখ্যা অনুসারে তার গ্রুপ এবং শেলের স্তরের সংখ্যা অনুসারে পর্যায় নির্ধারণ করা হয়। ফসফরাস (15) এর ইলেকট্রন বিন্যাস 2,8,5। এর শেল সংখ্যা 3টি এবং সর্ববহিঃস্থ স্তরে ইলেকট্রন সংখ্যা 5। অতএব এটি পর্যায় সারণিতে গ্রুপ 15 ও ৩য় পর্যায় এ অবস্থান করবে।
প্রশ্ন-১৯. গ্রুপ-1 ধাতুগুলোর যোজনী 1 কেন?
উত্তর : একটি মৌল যে কয়টি ইলেকট্রন আদান-প্রদান বা শেয়ার করতে পারে তাই তার যোজনী ।
গ্রুপ 1 ধাতুগুলোর সর্ববহিস্থ স্তরে 1টি করে ইলেকট্রন বিদ্যমান। ফলে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় এরা 1টি ইলেকট্রন দান করে নিষ্ক্রিয় গ্যাসের ইলেকট্রন বিন্যাস লাভ করে এবং স্থিতিশীল হয়। তাই এদের যোজনী 1.
প্রশ্ন-২০. পর্যায় সারণিতে হাইড্রোজেনের অবস্থান ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : হাইড্রোজেনকে পর্যায় সারণিতে গ্রুপ 1 এবং 17 তে স্থান দেওয়া যায়। হাইড্রোজেনের সর্ববহিস্থ স্তরে রয়েছে একটি ইলেকট্রন, তাই এটিকে গ্রুপ 1 তে অবস্থান দেয়া যায়। আবার এটি নিষ্ক্রিয় মৌল He এর আগের মৌল এবং গ্রুপ 17 মৌলসমূহের ন্যায় অধাতব বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করে। ফলে হাইড্রোজেনকে দুটি গ্রুপেই স্থান দেওয়ার পক্ষে যুক্তি রয়েছে ।
প্রশ্ন ২১.পর্যায় সারণির একই গ্রুপে উপর থেকে নিচের দিকে কি কি পরিবর্তন লক্ষ করা যায়?
উত্তর: পর্যায় সারণির একই গ্রুপে উপর থেকে নিচের দিকে মৌলের-
১. আয়নিকরণ শক্তি হ্রাস পায়।
২. তড়িৎ ঋণাত্মকতা হ্রাস পায়।
৩. ইলেকট্রন আসক্তি হ্রাস পায়।
৪. অধাতব বৈশিষ্ট্য হ্রাস পায়।
৫. পারমাণবিক আকার বৃদ্ধি পায়।
প্রশ্ন-২২ পর্যায় সারণির মৌলগুলোকে ধর্মের সাদৃশ্য ভিত্তিক সাজানো হয়েছে কেন?
উত্তর: পর্যায় সারণির বিভিন্ন মৌলের ধর্মাবলীর মধ্যে যথেষ্ট সাদৃশ্য বিদ্যমান। মৌলগুলোকে তাদের ধর্মের সাদৃশ্যের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট শ্রেণীতে এজন্যই সাজানো হয়েছে যে- যাতে করে কোনো মৌলের শ্রেণী জানলেই এর বিভিন্ন ধর্ম সম্পর্কে ধারণা লাভ করা যায়।
প্রশ্ন-২৩.একই গ্রুপে উপর থেকে নিচে পরমাণুর আকার বৃদ্ধি পায় কেন?
উত্তর: পরমাণুর ইলেকট্রন বিন্যাসে যখন নতুন একটি শেল বা ইলেকট্রন স্তর যুক্ত হয় তখন তার আকার বৃদ্ধি পায়। একই গ্রুপে উপর থেকে নিচে নামলে নতুন একটি করে শক্তিস্তর যুক্ত হয়। ফলে পরমাণুর আকার বৃদ্ধি পায়।
প্রশ্ন-২৪একই পর্যায়ে বাম থেকে ডানে পরমাণুর আকার হ্রাস পায় কেন?
উত্তর: একই পর্যায়ে বাম থেকে ডানে গেলে শক্তিন্তর সংখ্যা একই থাকে,কিন্তু একটি করে ইলেকট্রন বৃদ্ধি পায়। ফলে তারা ধনাত্মক নিউক্লিয়াসকে আরও বেশি আকর্ষণ করে এবং সংকুচিত হয়। তাই পরমাণুর আকার হ্রাস পায়।
প্রশ্ন-২৫. কোন মৌলগুলোকে ল্যান্থানাইড ও অ্যাক্টিনাইড সিরিজের মৌল বলা হয়?
উত্তর: পর্যায় সারণিতে পর্যায়-6 এর যে সকল মৌলের সর্বশেষ ইলেকট্রন ি উপস্তরে প্রবেশ করে তাদেরকে ল্যান্থানাইড মৌল বলে।
অ্যাক্টিনাইড সিরিজ: পর্যায় সারণির পর্যায় 7 এর যে সকল মৌলের সর্বশেষ ইলেকট্রন [ উপস্তরে প্রবেশ করে তাদেরকে অ্যাক্টিনাইড মৌল বলে। ল্যান্থানাইড ও অ্যাক্টিনাইড উভয় সিরিজের মৌলগুলোকে মূল পর্যায় সারণির নিচে পৃথকভাবে অবস্থান দেয়া হয়েছে।
প্রশ্ন-২৬.CI মৌলের আয়নিকরণ শক্তি অধিক কেন? ব্যাখ্যা কর। [চবো :১৯]
উত্তর: আয়নিকরণ শক্তি একটি পর্যায়বৃত্ত ধর্ম। পর্যায় সারণির একই পর্যায়ে বামদিক থেকে ডানদিক অগ্রসর হতে থাকলে পারমাণবিক সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে আয়নিকরণ শক্তি ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেতে থাকে। কারণ একই পর্যায়ে পারমাণবিক সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও শক্তিস্তর বৃদ্ধি পায় না। ফলে বহিঃস্থ শক্তিস্তরের ইলেকট্রনের উপর নিউক্লিয়াসের আকর্ষণ বল ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেতে থাকে। ফলে ইলেকট্রন অপসারণ করে ধনাত্মক আয়নে পরিণত করতে অধিক শক্তির প্রয়োজন হয়। তাই আয়নিকরণ শক্তি ও বেশি হয়। Cl মৌল তৃতীয় পর্যায়ের সবচেয়ে ডানের একঘর আগে অবস্থিত। ফলে CI মৌল থেকে ইলেকট্রন অপসারন করে ধনাত্মক আয়নে পরিণত করতে অধিক শক্তির প্রয়োজন হয়। তাই CI পরমাণুর আয়নিকরণ শক্তি অধিক।
পর্যায় সারণি প্রশ্ন
প্রশ্ন-২৭.পর্যায় সারণিতে ‘He’ কোন গ্রুপে অবস্থিত? ব্যাখ্যা করো। [ব.বো. ১৯]
উত্তর: He এর পারমাণবিক সংখ্যা 2 এবং ইলেকট্রন বিন্যাস হলো- 1s^2 ইলেকট্রন বিন্যাস অনুসারে He এর অবস্থান পর্যায় সারণির গ্রুপ-2 এ হওয়া উচিত। গ্রুপ-2 এর মৌলসমূহ রাসায়নিকভাবে সক্রিয় কিন্তু He রাসায়নিকভাবে নিষ্ক্রিয়। গ্রুপ-2 এর প্রত্যেকটি মৌলের সর্বশেষ শক্তিস্তরে দুটি ইলেকট্রন আছে (ns^2) এবং তা অপূর্ণ। কিন্তু He এর সর্বশেষ ১ম শক্তিস্তর দুটি ইলেকট্রন (1s^2) দ্বারা পূর্ণ। আমরা জানি, নিষ্ক্রিয় মৌলসমূহের সর্বশেষ শক্তিস্তর ইলেকট্রন দ্বারা পূর্ণ এবং তারা রাসায়নিকভাবে নিষ্ক্রিয়। নিষ্ক্রিয় মৌলসমূহ গ্রুপ-18 তে অবস্থিত। সুতরাং, He পর্যায় সারণির গ্রুপ-18 তে অবস্থিত ।
প্রশ্ন-২৮.পর্যায় সারণির মূল ভিত্তি কি?
উত্তর : পর্যায় সারণির সত্যিকার ভিত্তি হচ্ছে মৌলসমূহের ইলেকট্রন বিন্যাস। পর্যায় সারণি সৃষ্টির সময় মৌলসমূহের পারমাণবিক ভরকে ভিত্তি ধরা হয়েছিল। পরবর্তীতে পারমাণবিক সংখ্যাকে ভিত্তি ধরা হয়। কিন্তু বর্তমানে একথা সর্বজনস্বীকৃত যে, পর্যায় সারণির সত্যিকার ভিত্তি হচ্ছে মৌলসমূহের ইলেকট্রন বিন্যাস।
পর্যায় সারণি প্রশ্ন :
পর্যায় সারণি mcq এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসমূহ
*পারমাণবিক ভরের সাথে সম্পর্কিত করে ত্রয়ী সূত্র প্রদান করেন বিজ্ঞানী ভোরেরা ইনার 1829 সালে।
*মৌলিক পদার্থ সমূহকে ধাতু ও অধাতু দুই ভাগে ভাগ করেন ল্যাভয়সিয়ে।
*ল্যাভয়সিয়ে ছক তৈরির কাজ শুরু করছিলেন ৫৬টি মৌল নিয়ে।
*অস্টক তত্ত্বের প্রবর্তক মন নিউল্যান্ড।
*মেন্ডেলিফ পর্যায় সূত্র প্রদান করেন 1969 সালে।
*পারমাণবিক সংখ্যার ধারণা দেন হেনরি মোসলে 1913 সালে।
*মেন্ডেলিফ আধুনিক পর্যায় সারণির প্রবর্তন করেন ৬৭টি মৌল নিয়ে যেখানে আবিষ্কৃত মৌল হলো 63টি।
*ল্যান্থানাইড ও অ্যাকটিনাইড সিরিজের মৌল সংখ্যা ১৫টি করে।
*ল্যান্থানাইড ও অ্যাকটিনাইড সারির অবস্থান পর্যায় 6 এবং পর্যায় 7 এ।
*নিষ্ক্রিয়া গ্যাস গুলো 18 নং অবস্থিত।
*হ্যালোজেন গুলো 17নং গ্রুপে অবস্থিত।
*প্রাচীনকালে ব্যবসা বাণিজ্য ও বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার হতো Cu, Ag Au.
*মুদ্রা ধাতুর অবস্থান গ্রুপ-11 এ.
*মৃৎক্ষার ধাতু সমূহ Be,Mg, Ca, Sr, Ba, Ra.
*ক্ষার ধাতু সমূহ Li, Na, K, Rb, Cs, Fr.
*হ্যালোজেন সমূহ F, Cl, Br, I, At.
*হ্যালোজেন শব্দের অর্থ লবণ উৎপাদনকারী।
*পর্যায় সারণির সুবিধা নতুন মৌল আবিষ্কারে, রসায়ন পাঠ সহজীকরণে, গবেষণা ক্ষেত্রে।
*একটি মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাস s ^2 2s^2 2p^6 3s^2 3p^1 হলে পর্যায় সারণিতে মৌলটির অবস্থান ৩য় পর্যায় ও গ্রুপ-3 এ।।
*পর্যায় সারণিতে বাম থেকে ডানে গেলে বৃদ্ধি পায়- আয়নিকরণ শক্তি, ইলেকট্রন আসক্তি, তড়িৎ ঋণাত্মকতা, অধাতব ধর্ম। পর্যায় সারণিতে বাম থেকে ডানে গেলে হ্রাস পায় পারমাণবিক আকার, ধাতব ধর্ম।
*পর্যায় সারণিতে একই গ্রুপের উপর থেকে নিচে গেলে বৃদ্ধি পায় – পারমাণবিক আকার, ধাতব ধর্ম
*পর্যায় সারণির একই গ্রুপের উপর থেকে নিচে গেলে হ্রাস পায়- অধাতব ধর্ম, আয়নিকরণ শক্তি, ইলেকট্রন আসক্তি, তড়িৎ ঋণাত্মকতা।
*পর্যায় সারণির ব্যতিক্রম হিলিয়ামের অবস্থান, হাইড্রোজেনের অবস্থান, ল্যান্থানাইড সারির অবস্থান।
*পর্যায় সারণির সত্যিকার মূল ভিত্তি ইলেকট্রন বিন্যাস।
*হাইড্রোজেনের বেশির ভাগ ধর্মের মিল দেখা যায় ক্ষার ধাতুর সাথে।
*আচরণ পর্যায় সারণির চতুর্থ পর্যায়ে অবস্থিত।
*মেন্ডেলিফের পর্যায় সারণিতে আনুভূমিক সারি ও খাড়া কলামের সংখ্যা ছিল যথাক্রমে 12টি ও ৪টি।
*পর্যায় সারণিতে আর্গনকে পটাশিয়ামের আগে স্থান দিয়েছিলেন মেন্ডেলিফ।
*IUPAC কর্তৃক স্বীকৃত মৌলের সংখ্যা ১১৮টি।
*একটি মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাস 2, 8, 18, 8.2 হলে পর্যায় সারণিতে মৌলটির অবস্থান- ৫ম পর্যায় ও গ্রুপ-2 এ।
*পর্যায় সারণির গ্রুপ-18 কে শূন্য গ্রুপ বলা হয়। এই গ্রুপে মোট ৭টি মৌল- হিলিয়াম (He), নিয়ন (Ne). আর্গন (Ar), ক্রিস্টন (Kr), জেনন .(Xe). (Rn) রেডন, ওগানেসন (Og)
*ধাতু ও অধাতুর বৈশিষ্ট্য বহন করে সিলিকন (Si), আর্সেনিক (As), বোরন (B)।
*ক্ষার ধাতুসমূহের সক্রিয়তার ক্রম- Cs > Rb >K> Na
*হ্যালোজেন গ্রুপ এর মৌলসমূহের সক্রিয়তার ক্রম- ফ্লোরিন > ক্লোরিন > ব্রোমিন > আয়োডিন।
*পর্যায় সারণিতে 18 গ্রুপের মৌলগুলোর ভৌত অবস্থা গ্যাসীয় ।
*চুনের পানি হলো ক্যালসিয়াম হাইড্রোক্সাইড [Ca(OH)2]।
* ক্যালসিয়াম কার্বনেটের (CaCO3) অধঃক্ষেপের বর্ণ সাদা।
*শামুক, ঝিনুক, ডিমের খোসা ইত্যাদিতে ক্যালসিয়াম কার্বনেট (CaCO3) যৌগ বিদ্যমান ।
পর্যায় সারণি প্রশ্ন
পর্যায় সারণি প্রশ্ন mcq / বহুনির্বাচনি

পর্যায় সারণি প্রশ্ন mcq / বহুনির্বাচনি

পর্যায় সারণি প্রশ্ন mcq / বহুনির্বাচনি

সংকেত কাকে বলে ? আণবিক, গাঠনিক, এনালগ এবং ডিজিটাল সংকেত
পর্যায় সারণি কাকে বলে ? আধুনিক পর্যায় সারণির বৈশিষ্ট্য
রসায়ন কি বা কাকে বলে ? রসায়নের জনক কে ও কেন ?
কোন মৌলটির ইলেকট্রন আসক্তি কম?
ক্ষার কাকে বলে / ক্ষারক কাকে বলে | ক্ষার ও ক্ষারকের মধ্যে পার্থক্য
আইসোটোপ কাকে বলে ? উদাহরণসহ সংজ্ঞা(Isotope)
নিউটনের প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় সূত্র ব্যাখা ও উদাহরণসহ
বিজ্ঞান কি বা বিজ্ঞান কাকে বলে? বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা