সংবাদ প্রতিবেদন লেখার নিয়ম

সংবাদ প্রতিবেদন লেখার নিয়ম SSC:

সংবাদ প্রতিবেদন লেখার নিয়ম
কিভাবে একটি সংবাদ প্রতিবেদন রচনা করতে হয় Class 10।

কোন নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে প্রয়োজনীয় সকল তথ্য অনুসন্ধানের পর সেটিকে সুসংগঠিত করে বিবরণী আকারে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট উপস্থাপন করাকেই প্রতিবেদন বলা হয়। অথবা যেকোন নির্দিষ্ট বিষয় সংশ্লিষ্ট তথ্য সমৃদ্ধ বিবরণীকে প্রতিবেদন বলা যেতে পারে।

যেকোন বিষয় নিয়ে একটি প্রতিবেদন রচনা করা যেতে পারে। আজকের আর্টিকেলে সংবাদ প্রতিবেদন লেখার নিয়ম অথবা পত্রিকায় প্রকাশের জন্য প্রতিবেদন লেখার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।

তার আগে চলুন জেনে নেওয়া যাক প্রতিবেদন সম্পর্কিত প্রাথমিক আলোচনা।

Table of Contents

প্রতিবেদন কি ?

প্রতিবেদন হচ্ছে ইংরেজি রিপোর্ট (report) শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ।

নির্দিষ্ট কোনো বিষয় সম্পর্কে প্রয়োজনীয় অনুসন্ধানের পর যে তথ্যনির্ভর বিবরণ লেখা বা তৈরি করা হয়, তাকে প্রতিবেদন বলে।

এতে সুপারিশসহ কোনো কাজের বস্তুনিষ্ঠ বর্ণনা তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদনে কাজের নির্দেশ, পরামর্শ এবং প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত ইত্যাদি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।

প্রতিবেদনের শ্রেণিবিভাগ:

প্রতিবেদনকে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন:

  1. সংবাদ প্রতিবেদন
  2. সাধারণ প্রতিবেদন
  3. কারিগরি প্রতিবেদন

প্রতিবেদনের প্রকৃতি:

প্রতিবেদন রচনাকারীকে বলা হয় প্রতিবেদক। প্রতিবেদকের কাজের ফল বা বিবরণই প্রতিবেদন।

প্রতিবেদকের কাজ হলো কোনো বিষয়ের তথ্য – উপাত্ত, সিদ্ধান্ত, ফলাফল ইত্যাদি যেকোনো একটি বা একাধিক বিষয়ের যথাযথ অনুসন্ধানের পর বিবরণী তৈরি করে কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা বিভাগে পেশ করা।

এ ধরনের প্রতিবেদনকে বলা হয় তদন্ত প্রতিবেদন

কোনো এলাকার কোনো বিশেষ ঘটনা বা সড়ক দুর্ঘটনার বিবরণ পত্রিকায় প্রকাশের জন্য তৈরি করা হলে তাকে বলা হয় সংবাদ প্রতিবেদন

আবার এসব ঘটনা নিয়মিতভাবে ঘটতে থাকলে তার কারণ নির্ণয় এবং তা রোধের উপায় সম্পর্কে পরামর্শ, দেওয়ার উদ্দেশ্যে যে প্রতিবেদন তৈরি করা হয়, তাকে বলা যায় সাধারণ প্রতিবেদন

প্রতিবেদনের গুরুত্ব ও প্রতিবেদকের দায়িত্ব

প্রতিবেদনে বিশেষ কৌশলে কোনো সমস্যার বিবরণ দিয়ে তা সমাধানের উপায় সম্পর্কে ইঙ্গিত করা হয়। এ ক্ষেত্রে প্রতিবেদকের দায়িত্ব হচ্ছে প্রত্যক্ষ তদন্তের নির্ভুল ও তথ্যনির্ভর বক্তব্য পেশ করা।

বর্তমানে কর্মজীবনের নানা জটিলতায় প্রতিবেদনের গুরুত্ব বেড়েছে এবং দৈনন্দিন জীবনে এর উপযোগিতাও লক্ষ করা যাচ্ছে।

প্রতিবেদন থেকে কোনো বিষয় সম্পর্কে খুঁটিনাটি ও বিস্তারিত তথ্য – উপাত্তের পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত ও পরিকল্পনা গ্রহণ করা যায়। নির্ভুল তথ্যের প্রতিবেদন যেকোনো প্রতিষ্ঠানের কার্যাবলি পরিচালনায় সহায়ক হয়।

এ জন্য প্রতিবেদককে অত্যন্ত সতর্ক ও সততার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হয়। কারণ ভুল তথ্য পরিবেশিত হলে প্রতিবেদনের মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হতে পারে।

তদন্তের পর সুস্পষ্ট ভাষায় বক্তব্য উপস্থাপন করে প্রতিবেদক তার সুচিন্তিত সুপারিশ পেশ করবেন, যাতে সহজে সমস্যা সমাধানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যায়। কাজেই দায়িত্বশীল প্রতিবেদকের তৈরি প্রতিবেদনের গুরুত্ব অনস্বীকার্য।

আশা করি উপরে প্রতিবেদন সম্পর্কিত প্রাথমিক আলোচনার মাধ্যমে আপনারা প্রতিবেদন কাকে বলে বা সংবাদ প্রতিবেদন কি এবং প্রতিবেদনের প্রকারভেদ এসব বিষয়ে ভালোভাবে জানতে পেরেছেন।

এখন চলুন জেনে নেওয়া যাক সংবাদ প্রতিবেদন লেখার নিয়ম Class 10।

সংবাদ প্রতিবেদন লেখার নিয়ম

সংবাদ প্রতিবেদন লেখার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করার আগে আপনাদের একটি বিষয়ে আগেই ভালোভাবে জেনে নেওয়া দরকার।

মনে রাখবেন,

সংবাদ প্রতিবেদন এবং পত্রিকায় প্রকাশের জন্য প্রতিবেদন একই। এর মানে হলো পত্রিকায় প্রকাশের জন্য প্রতিবেদন এবং সংবাদ প্রতিবেদন বলতে একই ধরনের প্রতিবেদনকে বোঝায়।

মনে করুন,

  1. মনে কর, তোমার নাম আবরার জুবায়ের তাজ। তুমি দৈনিক সমকাল পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার। মাদককে না বলুন শিরোনামে একটি সংবাদ প্রতিবেদন প্রণয়ণ কর।
  2. মনে কর, তোমার নাম সফিক। তুমি দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার একজন জেলা সংবাদদাতা। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণ ও প্রতিকার সম্বন্ধে পত্রিকায় প্রকাশের জন্য একটি প্রতিবেদন প্রণয়ন কর।

উপরে প্রতিবেদন রচনা করার জন্য দুইটি প্রশ্ন উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রথম প্রশ্নটিতে মাদককে না বলুন শিরোনামে একটি সংবাদ প্রতিবেদন প্রণয়ন করতে বলা হয়েছে এবং দ্বিতীয় প্রশ্নটিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণ ও প্রতিকার সম্বন্ধে পত্রিকায় প্রকাশের জন্য একটি প্রতিবেদন প্রণয়ণ করতে বলা হয়েছে।

এর মানে হলো, যদি পত্রিকায় প্রকাশের জন্য প্রতিবেদন লিখতে বলা হয় তাহলেও সংবাদ প্রতিবেদন লেখার নিয়ম অনুসারে প্রতিবেদনটি রচনা করতে হবে।

তাহলে আশা করি সংবাদ প্রতিবেদন এবং পত্রিকায় প্রকাশের উপযোগী প্রতিবেদন একই ধরনের এ বিষয়ে আপনারা সঠিক ধারণা পেয়ে গেছেন। এক্ষেত্রে একজন রিপোর্টার হিসেবে সংবাদপত্রে প্রকাশের উপযোগী প্রতিবেদন লিখতে হয়।

তাহলে চলুন নিচে সংবাদ প্রতিবেদন বা পত্রিকায় প্রকাশের উপযোগী প্রতিবেদন লেখার নিয়ম জেনে নিই।

সংবাদ প্রতিবেদন অথবা পত্রিকায় প্রকাশের জন্য প্রতিবেদন লেখার নিয়ম

  • সংবাদ প্রতিবেদন প্রণয়ন করার ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ অথবা সম্পাদকের কাছে কোনো আবেদনপত্র লেখার প্রয়োজন হয় না।
  • সংবাদ প্রতিবেদন একটি শিরোনাম (headline) দিয়ে লেখা শুরু করতে হয়।
  • শিরোনামের পর প্রতিবেদকের নাম, পদবি, স্থান এবং তারিখ লিখে প্রতিবেদনের প্রথম অনুচ্ছেদ লিখতে হয়।
  • সংবাদ প্রতিবেদন এক বা একাধিক অনুচ্ছেদের সমন্বয়ে রচনা করা যেতে পারে। যে বিষয়ে প্রতিবেদনটি প্রণয়ন করা হবে, সেই পুরো বিষয়টি ধারাবাহিকভাবে বর্ণনা করতে হয়।
  • প্রতিবেদন লেখা শেষ হলে বিনীত নিবেদক, ইতি, প্রতিবেদক এগুলো লেখা যাবে না।
  • পত্রিকায় প্রকাশের জন্য লেখা প্রতিবেদনের শেষে কোন খাম দিতে হয় না। তবে প্রতিবেদন লেখা শেষে প্রতিবেদক ও প্রতিবেদন সম্পর্কিত একটি তথ্য-ছক দেওয়া যেতে পারে।
  • এই ধরনের প্রতিবেদন রচনার ক্ষেত্রে প্রতিবেদককে অবশ্যই নিরপেক্ষ, নির্মোহ ও নৈর্ব্যক্তিক হতে হবে।

তাহলে কিভাবে একটি সংবাদ প্রতিবেদন প্রণয়ন করতে হয় এ বিষয়ে আশা করি আপনারা জানতে পেরেছেন।

এখন নিচে কয়েকটি সংবাদ প্রতিবেদন অথবা সংবাদ প্রতিবেদন লেখার নমুনা তুলে ধরা হয়েছে।

নিচে উল্লেখিত প্রতিবেদনগুলোর মাধ্যমে আপনারা সংবাদ প্রতিবেদন লেখার নিয়ম এসএসসি (Class 10) অথবা পত্রিকায় প্রকাশের উপযোগী প্রতিবেদন লেখার নিয়ম সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পারবেন।

১। মনে কর, তুমি দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার কুমিল্লা অঞ্চলের প্রতিনিধি। সম্প্রতি দেশে সড়ক দূর্ঘটনা বেড়ে যাওয়ার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে পত্রিকায় প্রকাশের জন্য একটি প্রতিবেদন রচনা কর।

উত্তর:

সড়ক দূর্ঘটনা বৃদ্ধির কারণ ও প্রতিকার

নিজস্ব সংবাদদাতা, ১৪ জানুয়ারি, ২০২২, কুমিল্লা

বর্তমান সময়ে আমাদের দেশে সড়ক দুর্ঘটনা একটি নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। গণমাধ্যমের মাধ্যমে আমরা জানতে পারছি প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন জায়গায় সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে এবং এর মাধ্যমে অনেক প্রাণহানি ঘটছে। এক পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, বাংলাদেশে প্রতিদিন গড়ে চার থেকে পাঁচজন লোক মারা যায়। কিন্তু বিগত কয়েক বছরে এর সংখ্যা গাণিতিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।

সড়ক দুর্ঘটনা অত্যন্ত মর্মান্তিক। এটি আমাদের জীবন থেকে কেড়ে নেয় আপনজনদের। দেশের অনেক মেধা এই সড়ক দুর্ঘটনার কারণে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। সচেতনতার অভাবকে সড়ক দুর্ঘটনার মূল কারণ হিসেবে গণ্য করা যায়। এ ছাড়া অন্য কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে – চালকদের বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানো, অতিরিক্ত যাত্রী বহন, অদক্ষ চালক, ত্রুটিপূর্ণ গাড়ি রাস্তায় নামানো, গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোনে কথা বলা, নেশাগ্রস্ত হয়ে গাড়ি চালানো, এক গাড়ির সাথে অন্য গাড়ির প্রতিযোগিতা, ট্রাফিক আইন মেনে না চলা প্রভৃতি।

সড়ক দুর্ঘটনা রোধের জন্য প্রয়োজনীয় আইন ও শাস্তির বিধান, যা আমাদের দেশে নেই। এর কারণে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে। সড়ক দুর্ঘটনা রোদে সারা দেশে আন্দোলন গড়ে উঠেছে। নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। এ ছাড়া অন্যান্য সংগঠনও সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সরকারকে নানা সুপারিশ করছে। তাই সড়ক দুর্ঘটনা রোধে নিম্নোক্ত সুপারিশ করছি –

  1. চালকদের সুষ্ঠুভাবে প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
  2. গাড়িতে অতিরিক্ত যাত্রী বহনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
  3. ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানে দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে।
  4. ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন রাস্তায় নামানো যাবে না।
  5. রাস্তাঘাট সংস্কার করতে হবে।
  6. ট্রাফিক আইন মানতে সবাইকে বাধ্য করতে হবে।
  7. দুর্ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
  8. চালকদের নৈতিক প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
প্রতিবেদনের শিরোনাম : সড়ক দুর্ঘটনা বৃদ্ধির কারণ ও প্রতিকার
প্রতিবেদকের নাম : প্রতিনিধি, কুমিল্লা অঞ্চল
ঠিকানা : দৈনিক প্রথম আলো কুমিল্লা/ঢাকা
প্রস্তুতের সময় ও তারিখ : সকাল ৯ টা, ২০ জানুয়ারি, ২০২২

২। মনে কর, তুমি হীরক। দৈনিক সমকাল পত্রিকার একজন প্রতিনিধি। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণ ও প্রতিকার সম্বন্ধে পত্রিকায় প্রকাশের জন্য একটি প্রতিবেদন প্রণয়ন কর।

উত্তর:

দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি জনজীবনে দুর্ভোগ

স্টাফ রিপোর্টার, ২৫ এপ্রিল, ২০২২:

অতি সম্প্রতি সাধারণের ব্যবহার্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির অস্বাভাবিক  মূল্যবৃদ্ধিতে জনজীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ। বলাবাহুল্য বর্তমানে অধিকাংশ দ্রব্যমূল্য ক্রেতাসাধারণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। আকস্মিক ও অস্বাভাবিক এ মূল্যবৃদ্ধির বহু কারণ রয়েছে। যেমন:

  1. এ দেশে প্রায়ই দেখা যায়, মুনাফালোভা মজুতদাররা অধিক মুনাফা। অর্জনের আশায় দ্রব্যের দাম বাড়িয়ে দেয়।
  2. সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘভাতা বৃদ্ধি অন্যতম কারণ। দেশের একটি ক্ষুদ্রতম অংশ এরূপ ভাতা পেলেও এর ফলে ক্ষতির শিকার হয় সমাজের বৃহত্তম অংশ।
  3. সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুষ্ঠু নীতিমালার অভাবেও বাজারে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি পরিলক্ষিত হয়।
  4. ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট তৈরি করে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করে।

প্রত্যাশিত এরূপ মূল্যবৃদ্ধি এ দেশে নতুন নয়। প্রতিদিন সকালে বাজারে ঢুকেই এ দেশের মানুষ জানতে পারে মূল্যবৃদ্ধির খবর। কী কারণে এ বৃদ্ধি, তার খবর জানা এ দেশে অসম্ভব। অথচ বিশ্বের যেকোনো দেশের ক্ষেত্রে জনগণকে জানিয়েও এমনটি ঘটলে জনগণ তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষুব্ধ হয়ে পড়ে। ফলে জনসাধারণের কাছে সরকারকে জবাবদিহি করতে হয়।

নীতিজ্ঞানহীন বিবেকশূন্য এক সম্প্রদায় এসব সমস্যার ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে তৎপর। তারা কখনো কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করছে, কখনোবা চোরাকারবারের মাধ্যমে সেই কৃত্রিম সংকটের শূন্যতা পূর্ণ করছে। এভাবেই দেশি মুদ্রা ও পণ্য এ দুটি পথেই মার খাচ্ছে। পাশাপাশি জনসাধারণের ক্রয়ক্ষমতাও হ্রাস পাচ্ছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি। কেননা গড়পড়তা আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য একটি বাজারব্যবস্থা যেকোনো দেশের সরকারের কাছে তার জনগণের প্রাণের দাবি। দ্রব্যমূল্যের এ ঊর্ধ্বগতি থেকে পরিত্রাণের জন্য সরকারি ও বেসরকারি অভিজ্ঞ মহলের সুদৃষ্টি অবশ্যই থাকা উচিত।

প্রতিবেদনের শিরোনাম : দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি জনজীবনে দুর্ভোগ
প্রতিবেদকের নাম ও ঠিকানা : হীরক, দৈনিক সমকাল, স্টাফ রিপোর্টার
প্রতিবেদনের স্থান ও তারিখ : বাগেরহাট জেলা
তারিখ : ২০ মার্চ ২০২২
প্রতিবেদন তৈরির সময় : বিকেল ৫টা

৩। সুন্দর হাতের লেখা প্রতিযোগিতা বিষয়ক সংবাদ প্রতিবেদন।

উত্তর:

চারুকলায় সুন্দর হাতের লেখা প্রতিযোগিতা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক, ঢাকা, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের উদ্যোগে সুন্দর হাতের লেখা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন স্কুল – কলেজের প্রায় ৩৫০ জন শিক্ষার্থী এই আয়োজনে অংশগ্রহণ করে। সকাল নয়টায় অনুষদ প্রাঙ্গণের বকুলতলায় প্রতিযোগিতা শুরু হয়।

নির্দিষ্ট রচনা থেকে লেখার জন্য শিক্ষার্থীদের এক ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়। দুটি বিভাগে ছিল এ আয়োজন বাংলা ও ইংরেজি। বিকালে ছিল পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। প্রতি বিভাগে তিন জন করে মোট ছয় জনকে পুরস্কৃত করা হয়।

বিচারক হিসেবে ছিলেন এই চারুকলা অনুষদের শিক্ষক অধ্যাপক মুকুল কুমার মিত্র, ড. আয়শা সুলতানা ও ড. আফজাল হোসেন খান। জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন সংস্কৃতিকর্মী জনাব ফজলুল হক। এরপর চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক পর্ব উপভোগ করেন উপস্থিত দর্শক ও অতিথিবৃন্দ।

৪। বিদ্যালয়ে শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন সম্পর্কিত সংবাদ প্রতিবেদন।

উত্তর:

রূপনগর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপিত

জবেদ হোসেন, মিরপুর, ঢাকা, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১

মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে রূপনগর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গতকাল ২১ শে আয়োজন করা হয়। বিদ্যালয়ের শিক্ষক – শিক্ষার্থীরা প্রভাতফেরির মাধ্যমে বিদ্যালয়ের শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক ব্রুয়ারি ২০২১ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার অর্পণ করেন। এ সময়ে সবার কণ্ঠে ধ্বনিত হতে থাকে একুশের গান আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি।

ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে আবৃত্তি ও সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শিক্ষার্থীরা বাংলা সাহিত্যের প্রখ্যাত কবিদের নির্বাচিত কবিতা আবৃত্তি করে। আবৃত্তি শেষে দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করে বিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক দল।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে ছিল আলোচনা সভা। মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এর উপরে আলোচনা করেন বিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক আবেদুর রহমান। তিনি বলেন, মহান ভাষা আন্দোলনের চেতনা বাঙালি জাতিকে উদ্বুদ্ধ করেছিল স্বাধিকার আন্দোলনে। বর্তমান প্রজন্মের কাছে তা প্রেরণার উৎস। এরপর আবৃত্তি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিজুর রহমান।

আমাদের শেষ কথা

আজকের আর্টিকেলে সংবাদ প্রতিবেদন লেখার নিয়ম অথবা পত্রিকায় প্রকাশের উপযোগী প্রতিবেদন লেখার নিয়ম সম্পর্কে সম্পূর্ণ আলোচনা করা হয়েছে।

কিভাবে একটি সংবাদ প্রতিবেদন রচনা করতে হয় এ বিষয়ে আশা করি আজকের আর্টিকেলে আপনারা জানতে পেরেছেন।

এসএসসি পরীক্ষায় কিভাবে সংবাদ প্রতিবেদন লিখতে এ বিষয়ে উপরে ভালোভাবে আলোচনা করা হয়েছে।

যদি আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করবেন। আর আর্টিকেলের সাথে জড়িত কোন প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই নিচে কমেন্ট করে জানাবেন।

অবশ্যই পড়ুন –

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *