সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কাকে বলে ? (What Is Social Media)
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কাকে বলে

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির কল্যাণে পৃথিবী আজ আমাদের হাতের মুঠোয়। আর এটি অনেকাংশে সম্ভব হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে। বর্তমানে ইন্টারনেট সুবিধা ব্যবহার করে আমরা পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তের সাথে মতেই সংযোগ স্থাপন করতে পারি। আর তার সহজ উপায় হলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।
মূলত পৃথিবীর নানা পরিপ্রেক্ষিতে আজ নানা ধরনের যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে যোগাযোগের ক্ষেত্রে আমরা ভৌগোলিক দূরত্বের বাধাকে অতিক্রম করতে পারছি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কি বা সোশ্যাল মিডিয়া কাকে বলে এ বিষয়ে নিচে জেনে নিই।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কাকে বলে ? (What Is Social Media)
যে মাধ্যমের সাহায্যে প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষ একে অন্যের সাথে দ্রুততম সময়ে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে তাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।
এই যোগাযোগ মাধ্যমগুলো মূলত অনলাইন নির্ভর হয়ে থাকে। বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে Facebook, Twitter, Linkedin প্রভৃতি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
বিশ্বজুড়ে সকল বয়সের মানুষের মাঝেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। বর্তমান যুগে কর্মব্যস্ততার কারণে মানুষ আগের মতো সামাজিক যোগাযোগের জন্য সেভাবে সময় দিতে পারছে না।
আর তাই পরিচিত মহলে যোগাযোগের সহজ ও বিশ্বস্ত মাধ্যম হিসেবে তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকেই বেছে নিয়েছে।
আশা করি সোশ্যাল মিডিয়া কি এ বিষয়ে বুঝতে পেরেছেন।
জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলো কি কি ? (Famous Social Networks)
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা সোশ্যাল মিডিয়া গুলোর মধ্যে বর্তমানে Facebook সবচেয়ে জনপ্রিয়।
২০০৪ সালে মার্ক জুকারবার্গ জনপ্রিয় এ মাধ্যমটি আবিষ্কার করেন । এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা তথ্য আদান প্রদান এবং পারস্পরিক যোগাযোগ রক্ষা করতে পারে।
জনপ্রিয়তার নিরিখে এর পরপরই টুইটারের অবস্থান।
এরপর আরও অনেক জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম রয়েছে যেগুলো প্রচুর পরিমাণে লোকেরা ব্যবহার করে থাকেন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে LinkedIn, Instagram, Whatsapp, Pinterest ইত্যাদি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ইতিহাস – (History of Social Media)
৭০ এর দশকে প্রথম ই মেইল প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়।
তবে গত শতাব্দীর শেষ দিকে ইন্টারনেট প্রযুক্তি একটা পরিণত পর্যায়ে এসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর আবির্ভাব ঘটে।
১৯৯৪ সালে Geocities এর মাধ্যমে সর্বপ্রথম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের যাত্রা শুরু। এর পরের বছর theglobe.com ও tripod.com নামে দুটি মাধ্যম তৈরি হয়।
পরবর্তীতে ১৯৯৭ সালে Sixdegrees.com মাধ্যমটির দ্বারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ধারণার বিস্তৃতি ঘটে। এরপর myspace Orkut, Bebo প্রভৃতি মাধ্যমগুলোর দ্বারা virtual জগতের প্রতি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা আকৃষ্ট হতে থাকে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ক্ষেত্রে ২০০৪ সালে ফেসবুক আবিষ্কার এক নতুন মাত্রা যোগ করে।
খুব অল্প সময়ে এই মাধ্যমটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে । এছাড়াও টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউবসহ আরও নানা ইলেকট্রনিক মাধ্যম যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে জনপ্রিয়তা লাভ করে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের উপকারিতা – (Benefits of Social Media)
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মূলত মানুষের পারস্পরিক যোগাযোগের উদ্দেশ্যে তৈরি হয়েছে। এর মাধ্যমে আমরা খুব সহজে একে অন্যের সাথে যুক্ত হতে পারছি। এসব মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন ধরনের তথ্য পেয়ে থাকি।
স্বাধীন মত প্রকাশের ক্ষেত্রেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে এ সকল মাধ্যম এখন কেবল সামাজিক যোগাযোগের ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ নেই।
সময়ের সাথে সাথে এসব মাধ্যমের কর্মপরিসরও বিস্তৃত হয়েছে। বর্তমানে নানা ব্যবসায়িক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে কেন্দ্র করে।
বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সহায়তায় এখন মানুষ ঘরে বসে আয় করতে পারছে।
তাছাড়া এগুলোর সহায়তার আমরা স্বল্পখরচে ঘরে বসেই নানা ধরনের সেবা লাভ করতে পারছি।
যেমন, আমারা বাড়িতে বসেই অনলাইন শপিং এর মাধ্যমে আমাদের প্রয়োজনীয় জিনিস কিনে নিতে পারি।
সামাজিক নানা অসংগতির বিরুদ্ধে ঐকমত্য তৈরিতে যোগাযোগ মাধ্যমগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। ইতিবাচক ও নেতিবাচক নানা মতাদর্শ এবং রাজনৈতিক আদর্শের বিস্তৃতি ঘটছে এসব মাধ্যমে।
সর্বশেষ
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কি অথবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কাকে বলে এ বিষয়ে আশা করি আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগেছে।
এ বিষয়ে আরও জানার থাকলে অবশ্যই নিচে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।
অবশ্যই পড়ুন –