হাতের লেখা সুন্দর করার কৌশল এবং দ্রুত করার উপায়
আপনি কি হাতের লেখা সুন্দর করার জন্য হাতের লেখা সুন্দর করার কৌশল খুঁজছেন? হাতের লেখা সুন্দর করার উপায় কিংবা হাতের লেখা সোজা করার উপায় কি এসব বিষয়ে জানতে চাচ্ছেন?
কিভাবে হাতের লেখা ভালো করা যায় তার সকল টিপস (Hand Writing Tips) এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। (How to improve your handwriting in Bangla)
সুন্দর হাতের লেখা মানুষের মেধা এবং ব্যক্তিত্বের পরিচয় বহন করে এবং ভালো হাতের লেখার মাধ্যমেই হয়ে ওঠা যায় অন্য মানুষদের থেকে অনন্য (unique)।
যে কোনো সুন্দর জিনিসই আমাদের ভীষণভাবে আকর্ষণ করে থাকে। সুন্দর হাতের লেখাও এর ব্যতিক্রম নয়। আর ইংরেজি হাতের লেখা সুন্দর করার উপায় কিংবা বাংলা হাতের লেখা সুন্দর করার উপায়গুলোই আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে।
ছোট শিশু মাইশা। নতুন নতুন স্কুলে যাওয়া শুরু করেছে। পড়াশোনায় সে অত্যন্ত মনোযোগী। কিন্তু পরীক্ষা দিয়ে তার মায়ের কাছে এসে কেঁদে অস্থির। কারণ, সব প্রশ্নের উত্তরই তার জানা কিন্তু সময়ের মধ্যে নাকি লেখা শেষ করতে পারেনি!
আর ওদিকে আনিসাকে নিয়েও ওর বাবা মায়ের চিন্তার শেষ নেই। কারণ স্কুল থেকে অভিযোগ এসেছে ওর লেখা নাকি বোঝাই যায় না! তার হাতের লেখা সুন্দর করার কৌশল জানা নেই।
নতুন নতুন স্কুলে যাওয়া শুরু করেছে এমন শিশুদের সাথে এ ধরনের ঘটনা প্রায় সবসময়ই ঘটে থাকে। শুধু নতুন স্কুলে যাওয়া বাচ্চাই নয়, হাতের লেখা ভালো না থাকার কারণে বিভিন্ন ধরনের কথা শুনতে হয় এমন বড়দের সংখ্যাও কিন্তু কম নয়।
একজন স্টুডেন্ট (student) এর হাতের লেখার বিকল্প নেই। একজন স্টুডেন্ট হিসেবে হাতের লেখা সুন্দর করা অবশ্যই প্রয়োজন। হাতের লেখা ভালো থাকলে পরীক্ষার খাতায় ভালো marks পাওয়ার সুযোগ থাকে।
কারণ, লেখা ভালো হলে খাতা দেখতে অনেক ভালো লাগে এবং খাতাটি clean লাগে। তাই হাতের লেখা ভালো করলে extra marks পাওয়ার সুযোগ থাকে।
আর তাই আজকের আর্টিকেলে হাতের লেখা সুন্দর করার উপায় কিংবা হাতের লেখা ভালো করার কৌশল এবং হাতের লেখা সোজা করার উপায় কি, হাতের লেখা সুন্দর করার কোর্স কোথায় করবেন এবং বেশ কিছু সুন্দর হাতের লেখার নমুনা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি।
তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে হাতের লেখা সুন্দর করা যায় এবং হাতের লেখা দ্রুত করার উপায় কি?
হাতের লেখা সুন্দর করার কৌশল – (Handwriting Tips Bangla)

আধুনিক যুগে লেখালেখি অনেক অফিসেই হয়না। সবাই কম্পিউটারের মাধ্যমে তথ্য উপাত্ত আদান প্রদান করেন। কিন্তু কম করে হলেও আমাদের সকলকে লিখতে হয়।
এই যেমন সিগনেচার করার সময় কিছু কমেন্ট, কিংবা পরীক্ষার সময় অথবা অটোগ্রাফ দেয়ার সময় লেখার প্রয়োজন হয়।
তাছাড়াও অনেক কাজে লেখার দরকার হয়। এটা সার্বজনীন পদ্ধতি যা থেকে রেহাই নেই। তাই হাতের লেখা সুন্দর করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তবে খারাপ হাতের লেখা নিয়ে যারা ইতিমধ্যেই নাজেহাল অবস্থায় আছেন তাদের জন্য আমার এই লেখাটি কিছুটা হলেও কাজে আসবে।
হাতের লেখা সুন্দর করার উপায় এবং দ্রুত করার পদ্ধতি
বেশ কিছু হাতের লেখা সুন্দর করার কৌশল রয়ছে। এগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কিছু হাতের লেখা ভালো করার কৌশল বা নিয়মগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো (15 simple steps to improve your handwriting in 30 days):
কলম, কালি, মন লিখে কিন্তু তিনটা
কলম,কালি ও গভীর মনোযোগ এক সাথে হলেই কিন্ত হাতের লেখা সুন্দর হতে বাধ্য। তাই বাংলা কিংবা ইংরেজি হাতের লেখা অনুশীলন করার সময় লেখার প্রতি গভীর মনোযোগ দিন।
সুন্দর হাতের লেখা নির্বাচন করা
যে ধরনের হাতের লেখা আপনি পছন্দ করেন সেই রকমের লেখাই আপনি শিখতে পারবেন। অনেক ধরনের বাংলা হাতের লেখার স্টাইল রয়েছে।
প্রথমে একটি লেখার ধরণ পছন্দ করুন। অর্থাৎ কোন স্টাইলের লেখা আপনার ভালো লাগে।
এজন্য আপনি সহপাঠি বিভিন্ন বন্ধুদের হাতের লেখা দেখতে পারেন। এর মধ্যে যাদের লেখা ভালো, দেখতে হবে তারা কিভাবে লিখছেন।
এমনিতে বাংলা হাতের লেখা ফন্ট অনেক রয়েছে। তবে আমি যেটা বলতে চাই হাতের লেখা স্বাভাবিক ফন্ট (General font) ব্যবহার করেই লেখা ভালো।
স্বাভাবিক ফন্টে লেখা দেখতে অনেক ভালো লাগে যেমন, বইয়ের লেখার ফন্ট।
অনেকেই আছেন যারা বিভিন্ন স্টাইলে লিখেন। তবে আমি বলবো, বই এর মত করে লিখলে সহজেই হাতের লেখা ভালো করা যায়।
আপনি ভালোলাগা যেকোনো স্টাইল (handwriting style) নির্বাচন করতে পারেন লেখার জন্য।
হাতের লেখা সোজা করার চেষ্টা করুন
সুন্দর হাতের লেখার জন্য লেখার লাইন সোজা করা অনেক জরুরী। এজন্য আপনি ডায়েরি বা লাইন টানা খাতা ব্যবহার করতে পারেন। আসলে লেখা ভালো করার জন্য আপনাকে চেষ্টা অবশ্যই করতে হবে।
আর লেখার সারি যদি বাঁকা হয় তাহলে লাইন টানা খাতায় কিছুদিন লিখে চেষ্টা করলে সারি সোজা হয়ে যেতে পারে।
আর আমার মতে, লেখা ভালো করতে হলে প্রথম তবে আপনাকে বাংলা বর্ণমালা গুলো লিখতে হবে।
বর্ণগুলো অনেকবার খাতায় লিখে ভালো করার চেষ্টা করতে হবে। এটি বাক্য অনুযায়ী লেখার সময় আপনার হাতের লেখা ভালো করতে সাহায্য করবে। আর ওভাররাইটিং করা যেতে পারে। যারা হাতের লেখা ভালো হয়েছে তার লেখার প্রতিটি অক্ষরের উপর ওভাররাইটিং করা যেতে পারে।
অধিক চেষ্টা করা
আসলে চাইলেই এমনি এমনি লেখা ভালো করা যায় না এজন্য আপনাকে অধিক চেষ্টা এবং কঠোর পরিশ্রম অবশ্যই করতে হবে।
লেখা ভালো করার পেছনে আপনাকে সময় দিয়ে চেষ্টা করতে হবে। যত বেশি বেশি লিখবেন ততো আপনার হাত fresh হবে এবং লেখা ভালো হওয়া শুরু হবে।
এজন্য আপনি প্রতিদিন কিছু সময় ধরে চেষ্টা করতে পারেন। অথবা প্রতিদিন কোন রচনা বা প্রবন্ধ লিখতে পারেন। এতে আপনার হাত চালু হবে।
সময় মেইনটেইন করে লেখা practice করা
আমরা যদি ধীরে ধীরে দিয়ে লিখি, তাহলে সবার লেখা অবশ্যই ভালো হয়। কিন্তু পরীক্ষার বেলায় ধীরে ধীরে লিখলে কোনভাবেই পুরো প্রশ্নের উত্তর লেখা সম্ভব নয়।
এজন্য আপনাকে ঘড়িতে সময় দেখে দেখে তাড়াতাড়ি লিখতে হবে। যেমন, পরীক্ষায় একটি বাংলা সৃজনশীল প্রশ্ন 20 থেকে 25 মিনিটের মধ্যেই লেখা শেষ করা আবশ্যক।
তাই যত দ্রুত লিখতে পারবেন তত লাভ আপনার হবে। এই উপায়টি হাতের লেখা দ্রুত করার ক্ষেত্রে অনেক ভালো উপকার করবে।
বর্ণমালা অনুশীলন
আপনি প্রতিটি বর্ণ কিভাবে লিখবেন তা আপনাকে প্রথমেই সিলেক্ট করে নিতে হবে। আপনারা হয়তো দেখেছেন কেজি স্কুলের শিক্ষার্থীদের ডট পদ্ধতি কিংবা বর্ণ দেখে তার পাশে বর্ণ লেখা পদ্ধতিতে হাতের লেখা অনুশীলন করানো হয়। এই পদ্ধতিটি অনেক কার্যকরি।
আপনি যদি একটি বর্ণ সুন্দর করে দ্রুত লিখতে পারেন তবেই আপনি সুন্দর লেখা লিখতে পারবেন। যদি বর্ণ দেখে বর্ণ লেখার ক্ষেত্রে অক্ষরগুলো আঁকাবাকা কিংবা খুব বেশি হেলে দুলে যায় তবে ডট পদ্ধতি আবশ্যক। হাতের লেখা সুন্দর করা নিয়মের একটা রুপ মাত্র।
সোজা করে লেখা অনুশীলন
হাতের লেখা যদি সোজা না হয় তবে অনেক সমস্যা। একটি লেখা দেখতে সুন্দর দেখায় তখনি যখন সব লেখাগুলো সোজা সাজানো থাকে। বর্ণ সোজা করার জন্য নিয়মিত ডট পদ্ধতি অনুশীলন করতে হবে।
আর লাইন সোজা করার জন্য রুলার কিংবা রুল পেপারে লিখতে হবে। ইংরেজি লেখার ক্ষেত্রে অবশ্যই রুল পেপারে লিখে অনুশীলন করতে হবে।
স্পষ্ট অক্ষরে লেখা
বর্ণমালা অনুশীলনের উদ্দ্যেশ্যই ছিল স্পষ্ট লেখা। যদিও অনেকেই দ্রুত লিখতে গিয়ে বর্ণকে বিকৃত রুপে উপস্থাপন করে থাকে। তাই যদি কোন বর্ণ কেউ না বুঝতে পারে তবে তার প্রতি গুরুত্বারোপ করতে হবে।
যার লেখা যত দ্রুত পড়া যায় (লেখক ব্যতিত অন্য কেউ পড়তে হবে) তার লেখার মুল্য তত বেশি। তাই লেখার মুল উদ্দ্যশ্য যখন অন্যকে দিয়ে পড়ানো তখন পাঠকের কথাই মাথায় রাখবেন। এজন্য স্পষ্ট করে লিখবেন।
সময় ব্যয় এবং টাইম ফ্রেম নির্ধারণ
আপনি একদিনে হাতের লেখা পরিবর্তন করবেন কিংবা ভালো করবেন? পারবেন না। এটা এতটা সহজ কাজ নয়।
এর জন্য আপনাকে একটি টাইম ফ্রেম বেঁধে দিতে হবে। আমি সবসময় নতুনদেরকে একমাস সময় নিতে বলি এবং প্রতিদিন একঘন্টা।
যদি কেউ এর কম সময় দেন এবং পিছিয়ে আসেন তবে তিনি সত্যিই চেষ্টা করেন নি। অনেকের ক্ষেত্রে আর আগেই হয়, কিন্তু বেশিরভাগ মানুষ এর চেয়ে বেশি সময় নিয়ে থাকেন।
বেশি করে পড়ুন এবং দ্রুত পড়ুন
আপনি যখন লিখবেন তখন পড়াটাও জরুরী। তবে নিজের লেখাটাই পড়ুন একটু বেশি। দ্রুত পড়ুন। অন্যকে দিয়েও পড়ান। যদি বেশি করে পড়েন তবে নিজের কোথায় ভুল হচ্ছে তা বুঝতে পারবেন।
দ্রুত পড়তে গেলে বুঝতে পারবেন আপনি কোথায় অস্পষ্ট করে লিখেছেন। সহকর্মী কিংবা বন্ধকে দিয়ে পড়ান, দেখুন তারা দ্রুত পড়তে পারে কি না। যদি পারে তবেই বুঝবেন উন্নতি হচ্ছে।
কিছু সহজ নিয়ম মেনে চলুন
লেখায় ভুল হয়, এই ভুলের মাত্রা কমানোর চেষ্টা করুন। কাটাকাটি করা মানুষের অনেক পুরনো অভ্যাস। তাই এক টানে কেটে আবার লিখুন।
কাগজের একপাশে খালি জায়গা রেখে লেখা শুরু করুন। এই খালি জায়গা হচ্ছে মার্জিন। বাম ডান এবং উপর নিচে যথেষ্ট জায়গা রাখুন।
অভার রাইটিং কখনোই করবেন না। এটা বিরক্তিকর। ভাল কলমে লিখুন। খারাপ কলমে দ্রুত লেখা যায় না।
আরো অনেক বিষয় আছে যা লিখতে গেলে আপনার নিজে থেকে চলে আসবে। একসময় আপনাকে সুন্দর এবং দ্রুত লেখা দিয়ে কেউ পিছে টানতে পারবে না।
ভিন্ন ভিন্ন কলম ব্যবহার করুন
হাতের লেখা সুন্দর করতে বা আপনি যে খাতাটায় লিখছেন সেখানে আপনার লেখা সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করতে আলাদা আলাদা কলম ব্যবহার করুন।
যেমন: লেখায় পয়েন্ট করতে জেল পেন, পয়েন্টিং ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলতে মার্কার পেন এবং স্বাভাবিক লেখার জন্য বলপেন ব্যবহার করুন।
বলপেন আপনার লেখা দ্রুত লিখতে সাহায্য করবে আর জেল ও মার্কার পেন আপনার লেখার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবে।
লেখার সময় কলম খুব জোরে চেপে ধরবেন না
লিখতে গিয়ে কখনই কলম খুব বেশী চেপে ধরবেন না। চেপে ধরলে আপনার লেখার গতি কমে যাওয়ার সাথে সাথে লেখার সৌন্দর্য নষ্ট হয়।
তাই আজ থেকেই লেখার সময় কলম সামান্য আলগা করে ধরার অভ্যাস করুন লেখার ধরণ সুন্দর হওয়ার সাথে লেখাও দ্রুত হবে।
লেখার সময় খেয়াল রাখুন লেখা যেন জড়িয়ে না যায়
আমরা অনেক সময় দ্রুত লিখতে গিয়ে একটার সাথে আরেকটা অক্ষর এমনভাবে জড়িয়ে লিখি যে কোনটা কি আলাদা করে বোঝার উপায় থাকেনা। এতে লেখা দ্রুত না হয়ে বরং কাটাকাটি করতে গিয়ে সময় ক্ষেপণ বেশী হয়।
তাই লিখতে গিয়ে লেখা যাতে জড়িয়ে না যায় সেদিকে নজর রাখুন, দেখবেন লেখা নিজে থেকেই সুন্দর হয়ে যাচ্ছে।
লেখা খুব বেশি বড় করে লিখবেন না
লেখার সৌন্দর্য বজায় রাখতে যতোটা পারেন ছোট অক্ষরে লিখতে চেষ্টা করুন। ছোট বলতে মোটামুটি মাঝারি আকারের।
বড় বড় লেখা আপনার লেখার সৌন্দর্য নষ্ট করার পাশাপাশি দ্রুত লেখার পথে বাধা সৃষ্টি করে।
হাতের পাশাপাশি বাহুকে লেখাতে সংযুক্ত করুন
এটা ঠিক লেখার ক্ষেত্রে সব থেকে বেশী হাতের প্রয়োজন পরে। কিন্তু দ্রুত লিখতে গেলে আপনাকে হাতের পাশাপাশি বাহুকেও ব্যবহার করতে হবে। আপনি যদি শুধুমাত্র হাত শক্ত করে লিখে যান লেখা খারাপ হবে ও সময় বেশী লাগবে।
তাই লেখার সময় হাত শক্ত না রেখে শিথিল করে লিখুন ও হাতের বাহুর ব্যবহার ঘটান, এতে লেখা দ্রুত ও সুন্দর হবে।
Also Read –
- রচনা লেখার সঠিক নিয়ম
- চিঠি লেখার নিয়ম বাংলাতে
- সংবাদ প্রতিবেদন লেখার নিয়ম
- ইংরেজি থেকে বাংলা অনুবাদ করার নিয়ম
কিভাবে হাতের লেখা সুন্দর করা যায় ? হাতের লেখা ভালো করার কৌশল

- লেখার স্টাইল বা ধরণ (যেমন, সোজা/খাড়া বা বাঁকা/কাত) যে রকমই হোক না কেন, অক্ষরগুলোর আকার ও আকৃতি একই রকম হতে হবে। অক্ষর ছোট-বড় বা মোটা-চিকন করা যাবে না।
- এমন কিছু অক্ষর আছে যেগুলো সঠিকভাবে লিখতে পারলে অন্য অনেক অক্ষরও ভালো ভাবে লেখা যায়। যেমন, ‘ব’ সুন্দর করে লিখতে পারলে আরো লেখা যায় ‘ক’ ‘র’ ‘ধ’ ‘ঝ’ বা ‘ঋ’। আবার কিছু অক্ষর এর অংশ বিশেষ ব্যবহার করা যায় অন্য অক্ষর এর মধ্যে।
- শব্দ লেখার ক্ষত্রে, অক্ষরগুলোর মধ্যে কম কিন্তু সমান দূরত্ব রাখতে হবে। প্রতিটি শব্দের মধ্যে কমপক্ষে একটি অক্ষরের পরিমাণ দূরত্ব থাকতে হবে।
- অবশ্যই লাইন সোজা হতে হবে। লাইন সোজা করতে শুরুতে দাগ টানা খাতায় লেখা চর্চা করা যেতে পারে।
- লেখার কগজের বামে, ডানে, উপরে ও নীচে সঠিক মার্জিন রাখতে হবে। প্রয়োজনে ভাঁজ করা অথবা দাগ টেনে নেওয়া যেতে পারে।
- কোনো শব্দ বা লাইন ভুল হলে তা এক দাগে কেটে দিতে হবে। বেশী কাটাকাটি করা যাবে না।
- দাঁড়ি, কমা, সেমিকোলন, ‘আ’ কার, ‘ই’ কার ইত্যাদি ছোট ছোট অংশের প্রতি নজর দিতে হবে। বিন্দু বা গোল চিহ্ন-গুলো সঠিকভাবে গোল করতে হবে।
- খেলাধুলা বা পড়ালেখার মত, হাতের লেখা ভালো করার ক্ষেত্রে নিয়মিত চর্চার বিকল্প নেই। প্রথমে আস্তে আস্তে ভালো করে লিখতে হবে। পরবর্তীতে দ্রুত লিখলেও লেখা ভালো হবে।
ইংরেজি হাতের লেখা সুন্দর করার উপায়
ইংরেজি হাতের লেখা সুন্দর করার উপায় হিসেবেও উপরের hand writing tips সমূহ উপকারে আসবে।
তবে বাংলা হাতের লেখার চেয়ে ইংরেজি হাতের লেখা ভালো করা যায় সহজেই। একটু চেষ্টা করলেই ভালো করা যেতে পারে।
FAQ
হাতের লেখা সুন্দর করার উপায় বা সহজ কৌশল কি?
হাতের লেখা সুন্দর, সোজা এবং দ্রুত করার জন্য বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ এবং কার্যকরী টিপস উপরে উল্লেখ করা হয়েছে। এই কৌশলগুলো অবলম্বন করে লেখা অনুশীলন করলে আপনি অল্প দিনেই হাতের লেখা ভালো করতে সক্ষম হবেন।
হাতের লেখা সুন্দর করতে কত দিন সময় লাগবে?
হাতের লেখা সুন্দর করার অনেকগুলো ধাপ আছে। যেগুলো ফলো করে লেখা অনুশীলন করলে খুব কম সময়েই আপনার খারাপ হাতের লেখা পরিবর্তন করে ভালো করতে পারবেন। তবে হাতের লেখার সুন্দর করতে আপনাকে কমপক্ষে দুই মাস প্রতিদিন প্রাক্টিস করতে হবে।
হাতের লেখা সুন্দর করার জন্য কোন কোর্স করা যাবে?
বাংলা হাতের লেখা সুন্দর করার কৌশল শিখতে আপনি রবি টেন মিনিট স্কুলের “সুন্দর ও দ্রুত বাংলা হাতের লেখা” কোর্স করতে পারেন। এই কোর্স আপনার অথবা আপনার সন্তানের বাংলা হাতের লেখা নিয়ে সকল সমস্যার কার্যকর সমাধান হিসেবে কাজ করবে। এই কোর্সটি বিশেষ করে শিশুদের বাংলা হাতের লেখার দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য তৈরি করা হয়েছে।
আমাদের শেষ কথা
বন্ধুরা, আজকের আর্টিকেলে হাতের লেখা সুন্দর করা সহজ কৌশল বা উপায়গুলো সুন্দরভাবে আলোচনা করা হয়েছে।
আশা করি আপনারা আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে হাতের লেখা দ্রুত করার উপার কিংবা হাতের লেখা সোজা করার উপায়গুলো ভালোভাবে জানতে এবং বুঝতে পেরেছেন।
Tips to improve your handwriting in Bangla এই আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করবেন। আর কিছু জানার থাকলে অবশ্যই নিচে কমেন্ট করবেন।
অবশ্যই পড়ুন –